আলেকজান্ডার বো (Alekzandar Bo) বাংলাদেশী অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা। ১৯৯৫ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লম্পট’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে তার যাত্রা শুরু হয়।
মার্শাল আর্ট ভিত্তিক চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা রুবেল এর সহযোগি হিসেবে চলচ্চিত্রে বো’র আগমন। তৎকালীন সময়ে রুবেল-শহীদুল ইসলাম খোকনের জুটি অত্যন্ত সফল ছিল। এই জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর খোকন আলেকজান্ডার বো-কে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মান করেন। বো অভিনীত ‘ম্যাডাম ফুলি’ চলচ্চিত্রটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করলে তিনি অভিনেতা হিসেবে সকলের দৃষ্টি কাড়েন।
মার্শাল আর্টে চারবার ব্ল্যাকবেল্ট জয়ী এই অভিনেতা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে ফুটবল কারাতে উপস্থাপন করে বেশ আলোচিত হয়েছিলেন। প্রায় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা আলেকজান্ডার বো অশ্লীল দৃশ্যের অন্যতম প্রধান অভিনেতা হিসেবে অত্যন্ত সমালোচিত ব্যক্তিত্ব। অশ্লীল চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হলে অন্যান্য অভিনেতাদের মত তিনিও কর্মশূন্য হয়ে পড়েন। সে সময় তার অভিনীত প্রায় সতেরোটি চলচ্চিত্র বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘৭১ এর গেরিলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলেকজান্ডার বো পুনরায় ফিরে আসেন।
পুনরায় চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করার পর অশ্লীল চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে বাংলামেইলের সাথে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আলেকজান্ডার বো চোয়াল শক্ত বলেন, ‘একটা ছবির কথা বলতে পারবেন যে সরাসরি আমি কোনও আপত্তিকর দৃশ্যে অভিনয় করেছি। ব্যাখ্যা করে এই নায়ক বলেন, একটি ছবিতে যখন সাইন করি, তখন কিন্তু গল্পে বলা থাকে ছবিতে একটি অশ্লীল গান আছে। আমার বন্ধুদের অনেকেই বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে একটি অন্যায় করেছে। একটি গানে নায়িকার সঙ্গে সরাসরি দৃশ্যে আমার টেক নেওয়া হয়। এরপর যখন একই গানে দেখবেন নায়িকার মুখ দেখা যায়, কিন্তু নায়কের পিঠ দেখা যায়, তখনই বুঝতে হবে এটি একটি টেকনিক্যাল সন্ত্রাস। আমি চলচ্চিত্রের কিছু মানুষের টেকনিক্যাল সন্ত্রাসের শিকার হয়েছি।‘
আলেকজান্ডার বো ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন।