প্রবীর মিত্র

প্রবীর মিত্র বাংলা চলচ্চিত্রের একজন বর্ষীয়ান শক্তিমান অভিনেতা। প্রায় চার যুগ ধরে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তাকে অন্য কোন ধরনের পেশার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতেও বাধা দিয়েছে।

প্রথমদিকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন। যেমন- ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, চাবুকসহ বেশ কিছু ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সর্বশেষ নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ছবিতে। পরবর্তী সময় নায়ক না হয়ে চরিত্রাভিনেতার দিকে মনোযোগী হয়ে ওঠেন তিনি। ‘বড় ভালো লোক ছিল’ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া ‘সীমার’ ও ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেও দুইবার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন।

তার অভিনীত আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয়–পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। বংশপরম্পরায় পুরনো ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা প্রবীর মিত্র। ওই এলাকার একটি সড়কের নাম তার ঠাকুরদা’র নামে ‘হরিপ্রসন্ন মিত্র রোড’ রাখা হয়েছে। স্কুলে পড়া অবস্থায় জীবনে প্রথমবারের মতো নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এটি ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’। চরিত্র ছিল প্রহরী। এরপর পুরনো ঢাকার লালকুঠিতে শুরু হয় তার নাট্যচর্চা। পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ছবির গল্প ও সংলাপ লিখেছিলেন তারই স্কুল জীবনের বন্ধু এটিএম শামসুজ্জামান।

প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজন্তা মিত্র ২০০০ সালে মারা গেছেন। তার এক মেয়ে তিন ছেলে। ছোট ছেলে ২০১২ সালে ৭ই মে মারা গেছেন। প্রবীর মিত্র ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

 

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র
ডাকনাম প্রবীর মিত্র
জন্ম তারিখ আগস্ট ১৮, ১৯৪৩
মৃত্যু তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০২৫
জন্মস্থান চান্দিনা, কুমিল্লা। পৈতৃকবাড়ি - শাক্তা, কেরানীগঞ্জ।

কর্মপরিধি

পুরষ্কার

পুরষ্কার বছর ফলাফল বিভাগ/গ্রহীতা চলচ্চিত্র
জয়ী শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা দুই নয়নের আলো