এককালের ঢাকাই চলচ্চিত্রের সমালোচিত অভিনেত্রী ছিলেন ময়ূরী। অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত নায়িকাদের শীর্ষে মুনমুনের পরেই ময়ূরীর নাম পাওয়া যায়। মুনমুন যখন চলচ্চিত্র জগতের মধ্য গগনে তখন চলচ্চিত্রে একই শ্রেণীর ছবিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন চলচ্চিত্রের জুনিয়র শিল্পী সেতুর মেয়ে ময়ূরী। ১৯৯৮ সালে ‘মৃত্যুর মুখে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আগমন করেন।
ময়ূরীকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন মাহমুদ নামে একজন প্রযোজক। ছবির পরিচালক ছিলেন কবি আবুল হাসানের ছোট ভাই প্রয়াত আবিদ হাসান বাদল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি নির্মিত হলেও ময়ূরী ছবিটিতে ছিলেন না। ‘মৃত্যুর মুখে’র পর তিনি ক্যারিয়ার সজীব রাখার জন্য এমন একটি ঘরানার প্রযোজকদের ছবিতে জড়িত হতে থাকেন যারা কখনও ভালো ছবি নির্মাণ করেন না। এই সময়ে তিনি আলেকজান্ডার বো, অমিত হাসান, শাহীন আলম, মেহেদীর বিপরীতে কাজ করতে থাকেন।
প্রায় তিনশ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ময়ূরী যার বেশীরভাগই সমালোচিত। নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘চার সতীনের ঘর’ ছবিতে শক্তিমান চলচ্চিত্রাভিনেতা আলমগীরের স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন ময়ূরী। অশ্লীলতার বিরুদ্ধে অভিযানের ফলে ময়ূরী কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি সার্কাসে কাজ শুরু করেন। ‘নিউ সুপার সার্কাস’-এর হয়ে কাজ করেন ময়ূরী। শীতের মৌসুমে যাত্রাপালায়ও দেখা যায় তাঁকে।
ময়ূরী বিবাহিত। তার স্বামী রেজাউল করিম মিলন টাঙ্গাইলের একটি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৯ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। তাদের একটি সন্তানও আছে। ২০১৫ সালে মারা যান মিলন। এর পর থেকে ময়ূরী একাই আছেন। মগবাজারে নিজের ফ্ল্যাটেই থাকেন। তবে সম্প্রতি ঢাকাই চলচ্চিত্রের উদিয়মান নায়ক শ্রাবণ খানকে তিনি বিয়ে করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল বিভিন্ন গনমাধ্যমে। শ্রাবণ খান সংবাদমাধ্যমকে এর সত্যতা স্বীকার করেন।