মেহেদী

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক নামেই সবাই চেনে, তিনি মেহেদী। তবে এই নামে তিনি বিখ্যাত নন, কুখ্যাত। চলচ্চিত্রের অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য পুরুষদের তালিকা করা হলে যার নাম থাকে সকলের শীর্ষে তিনিই মেহেদী। 

মেহেদীর প্রকৃত নাম মোঃ নাজমুল হক শামীম। চলচ্চিত্রে শামীমের আত্মপ্রকাশ শৈশবেই। তার স্কুলের এক অনুষ্ঠানে বিখ্যাত পরিচালক জহিরুল হক তাকে দেখেন এবং তার বাবাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। তার বাবা রাজী হন। তিনি ১৯৮১ সালে জহিরুল হক পরিচালিত ‘চেনামুখ’ ছবিতে প্রথম শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। ছবিটির প্রযোজক ছিলেন চিত্রনায়ক ফারুক। এরপর শিশু শিল্পী হিসেবে তিনি ৫০টির মত ছবিতে অভিনয় করেন। এ সকল ছবির মধ্যে ধনদৌলত, হাসু আমার হাসু, অন্যায়, মহান, নিয়ত, চেনামুখ, শরীফ বদমাশ, নান্টু ঘটক, জারকা, তিন বাহাদুর, মর্যাদা, নবাব, অহিংসা, কাবিন, বিধাতা, উনিশ বিশ, দিদার, কসম, বিস্ফোরন, নাগজ্যোতি ইত্যাদি অন্যতম। শিশু শিল্পী শামীম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ ছবিতে অভিনয় করে। এই ছবিতে তার ঠোঁটে গাওয়া “বাবা বলে গেলো আর কোন দিন গান করো না” গানটি এতটা জনপ্রিয় হয় যে সারা দেশের সবার মুখে মুখে গানটি স্থান পায়।

তিনি মেহেদী নাম ধারণ করে প্রধান অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেন। প্রধান অভিনেতা হিসেবে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ‘বালিকা হলো বধূ’, ‘নতিজা’ ও ‘পাগল মন’। ২০০০ এর দশকের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত তাকে দ্বিতীয় নায়ক হিসেবে দেখা যায়। এই সময়ে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা বিরোধী অভিযান শুরু হলে অশ্লীল দৃশ্যের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ছিটকে পড়েন। মেহেদীও সেসময় চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেন, লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান।

তার জন্ম কিশোরগঞ্জের কটিয়াদির মিয়াবাড়ীতে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ।

 

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নাম মোঃ নাজমুল হক শামীম
ডাকনাম মেহেদী
জন্মস্থান মানিকখালী, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ।

কর্মপরিধি