ইলিয়াস কাঞ্চন

ইলিয়াস কাঞ্চন (Ilias Kanchan) বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের অন্যতম শক্তিমান অভিনেতা। ১৯৭৭ সালে বসুন্ধরা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন তিনি। চলচ্চিত্র অভিনেতা ছাড়াও তার দুটি পরিচয় হল চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক।

তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বসুন্ধরা’। এরপর তিনি ‘সুন্দরী’, ‘শেষ উত্তর’, ‘কাজল লতা’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘রেশমী চুড়ি’, ‘আঁখি মিলন’, ‘কলমীলতা’, ‘চাঁদ সুরুজ’, ‘অভিযান’, ‘জিপসী সর্দার’, ‘নসীব’, ‘পরিণীতা’, ‘ভেজা চোখ’, ‘নীতিবান’, ‘মহান বন্ধু’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘সুখের ঘরে দুখের আগুন’, ‘অচল পয়সা’, ‘ত্যাগ’, ‘স্বজন’, ‘বেপরোয়া’, ‘সিপাহী’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘চেয়ারম্যান’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা অভিনেতা শাখায় এবং ‘শাস্তি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রযোজনা সংস্থার নাম জয় চলচ্চিত্র। তিনি ‘মাটির কসম’ দিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজনা শুরু করেন। এরপর তিনি ‘বদসুরত’, ‘মুন্না মাস্তান’, ‘বাঁচার লড়াই’, ‘বাদশা ভাই’, ‘শেষ রক্ষা’ চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বাবা আমার বাবা’। এরপর তিনি ‘মায়ের স্বপ্ন’ নামেও একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।

ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার আশুতিয়াপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম হাজি আব্দুল আলী, মাতার নাম সরুফা খাতুন। তিনি ১৯৭৫ সালে কবি নজরুল সরকারী কলেজ থেকে এইস এস সি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স অধ্যয়ন শুরু করলেও শেষ করেন নি তিনি। তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, নাম মীরাজুল মঈন।

১৯৯৩ সালে ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন একটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। পরবর্তীতে তিনি ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামের একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।

 

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

ডাকনাম ইলিয়াস কাঞ্চন
জন্ম তারিখ জুন ২৭, ১৯৫৬
জন্মস্থান আশুতিয়া পাড়া, করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ

কর্মপরিধি

পুরষ্কার

পুরষ্কার বছর ফলাফল বিভাগ/গ্রহীতা চলচ্চিত্র
জয়ী আজীবন সম্মাননা