‘কোকিলকণ্ঠী’ শব্দটির সঙ্গে যে নামটি জুড়ে আছে, তিনি বেবী নাজনীন। বিনোদন জগতে তিনি ব্লাক ডায়মন্ড নামে খ্যাত। নব্বই পরবর্তী আধুনিক বাংলা গানের ভুবন যার স্বরগ্রামের সঙ্গে উঠতো, নামতো, নাজনীন তাদের অন্যতম।
১৯৮০ সালে তিনি এহতেশামের ‘লাগাম’ চলচ্চিত্রে প্রথম গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৮৭ সালে মকসুদ জামিল মিন্টুর সংগীত পরিচালনায় প্রকাশিত প্রথম অ্যালবাম ‘পত্রমিতা’। এটিই তার সংগীতজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তারপর ‘নিঃশব্দ সুর’, ‘কাল সারা রাত’, ‘প্রেম করিলেও দায়’, ‘দুচোখে ঘুম আসে না’ অ্যালবামগুলো আধুনিক গানে বেবী নাজনীনের অবস্থান শক্ত করে। ‘ওই রংধনু থেকে’, ‘কাল সারা রাত ছিল স্বপনের রাত’, ‘এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল’, ‘দুচোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পর’, ‘আমার ঘুম ভাঙ্গাইয়া গেল রে মরার কোকিলে’, ‘মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে’, ‘কই গেলা নিঠুর বন্ধু রে সারা বাংলা খুঁজি তোমারে’, ‘পুবালী বাতাসে’, ‘ও বন্ধু তুমি কই কই রে…’, এমন অনেক জনপ্রিয় গান আজও দেশের মানুষের মুখে ফেরে। তার সর্বশেষ একক অ্যালবাম ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড বেবী নাজনীন’।
চলচ্চিত্রে তার গাওয়া জনপ্রিয় গানসমূহ হল এন্ড্রু কিশোরের সাথে ‘খুনের পরিণাম’ ছবির “চুপি চুপি একটু শোনো”, আসিফ আকবের সাথে ‘ইতিহাস’ ছবির “তুমি কই তুমি কই”, ‘ভিলেন’ ছবির “এই মনটা তোমারই দিওয়ানা” প্রভৃতি।
কর্মজীবনের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে তিনি নাম লেখান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতিতে। কোনঠাসা হয়ে একপর্যায়ে পাড়ি জমান বিদেশে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে ঢাকা ফিরেন।