সাইফুদ্দিন

বাংলাদেশের প্রথম সবাক ছবি মুখ ও মুখোশে অভিনয়ের মাধ্যমে যে গুটিকয়েক লোক চলচ্চিত্রের এবং নিজেদের চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু করেন তাদের মধ্যে সাইফুদ্দিন অন্যতম। বিভিন্নরকম চরিত্রে অভিনয় করলেও তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি টিভি নাটকেও অভিনয় করেন।

সাইফুদ্দিন তার অভিনয়ের জন্যে জাতীয় পর্যায়ে সর্ব্বোচ্চ স্বীকৃতি লাভ করেন ১৯৭৯ সালে। ‘সুন্দরী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরষ্কার লাভ করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে সাইফুদ্দিন আহমেদ  বিয়ে করেছিলেন সুফিয়া বেগমকে। তাদের সংসারে এক ছেলে কর্ণেল সাইদ আহমেদ এবং তিন মেয়ে (বড় মেয়ের নাম শিখা)। মুখ ও মুখোশের পরিচালক আব্দুল জব্বার খান সম্পর্কে তার ভগ্নীপতি হন।

১৯২৭ সালে জন্মের মধ্য দিয়ে সাইফুদ্দিনের জীবনযাত্রা শুরু হয়েছিল। বার্ধ্যক্যে পৌছার পর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অভিনয়জগৎ থেকে দূরে ছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে। তিনি হাসন রাজা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও সংলাপ মনে রাখতে না পারার দরুণ অভিনয় থেকে স্বেচ্ছায় সরে আসেন। ২০১০ সালের জুন মাসে বাথরুমে পা পিছলে পড়ে তাঁর ঊরুর হাড় ভেঙে যায়। এরপর তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থা দুর্বল থাকায় অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। ২০১০ সালেই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই গুণী প্রবীণ অভিনেতা মৃত্যুবরণ করেন। তার আবাসস্থল কমলাপুরের মায়াকানন জামে মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাকে বনানী কবরস্থানে চিরসমাহিত করা হয়।

সূত্র:
১. উইকিপিডিয়া
২. প্রথম আলো
৩. ডেইলি স্টার

 

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নামসাইফুদ্দিন আহমেদ
ডাকনামসাইফুদ্দিন
মৃত্যু তারিখসেপ্টেম্বর ২৭, ২০১০
জন্মস্থানধুবড়ি, আসাম।

কর্মপরিধি