কেরামত মাওলা

কেরামত মাওলা মূলত মঞ্চ অভিনেতা, তবে বেতার, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনেও অভিনয় করেছেন। ১৯৫৯ সালে ঢাকা আর্ট কলেজে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু তার আগে থেকেই অভিনয় করছেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন তার অভিনয় দেখে বলেছিলেন, ‘তুই ভালো অভিনয় করিস’, এই প্রেরণা থেকেই অভিনয় চালিয়ে গিয়েছেন।

অভিনয় জীবনে প্রবেশ সম্পর্কে দৈনিক প্রথম আলোর সাথে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ১৪ বছর বয়সে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাড়াটে চাই নাটকের মধ্য দিয়ে শুরু করেছিলাম অভিনয়। এখন যেখানে জোনাকি সিনেমা হল, তখন সেখানে ছিল মাঠ। সেই মাঠে মঞ্চস্থ হয়েছিল প্রযোজনাটি। এরপর স্বাধীনতা-পূর্ববর্তীকালে ড্রামা সার্কেল এবং স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে থিয়েটার আরামবাগ, থিয়েটারসহ বিভিন্ন নাট্যদলে কাজ করেছি। মঞ্চ থেকে শুরু করে বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র—সব মাধ্যমেই কাজ করেছি আমি।

লিটু আনাম

লিটু আনাম বাংলাদেশের একজন অতি পরিচিত মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে ১৯৯৮ সালে শমী কায়সারের বিপরীতে মোহন খানের পরিচালনায় ‘দূরে কোথাও’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করেন লিটু আনাম। তার অভিনীত নাটকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।

লিটু আনাম অভিনয় শুরু করেছিলেন বাল্যকালে। স্কুলে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছুটি নাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হন এবং প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। ঠাকুরগাঁও-এ শৈশব কৈশোর কাটানো লিটু আনাম সেখানে একটি থিয়েটার দলও গঠন করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে ঢাকায় এসে তিনি ঢাকা থিয়েটার-এ যোগ দেন। ১৯৯১ সালে হুমায়ূন ফরিদীর নির্দেশনায় মঞ্চ নাটক ‘ভূত’ এ তিনি প্রথম অভিনয় করেন।

লিটু আনাম বিয়ে করেছেন ডঃ ইনামুল হক এবং লাকি ইনামের বড় কন্যা হৃদি হককে। অভিনেতা সাজু খাদেম সম্পর্কে লিটু আনামের ভায়রা ভাই।

সুমনা সোমা

সুমনা সোমা টিভি নাটকের জনপ্রিয় মুখ হলেও বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সোমা প্রশংসিত হয়েছেন। প্রয়াত নায়ক মান্নার বিপরীতে ‘রাজধানী’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এরপর তিনি ‘মিলন’, ‘না বোলনা’, ‘নন্দিত নরকে’, ‘বীরাঙ্গনা ৭১’, ও ‘আদম’ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেছেন।

দিদারুল আলম বাদল

দিদারুল আলম বাদল একজন চলচ্চিত্রকার। তিনি ‘নন্দিত নরকে’ ও ‘না বোলনা’ ছবি প্রযোজনা করেছেন এবং ‘না বোলনা’ ছবি পরিচালনা করেছেন।

বেলাল আহমেদ

বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতার নাম বেলাল আহমেদ। ‘নয়নের আলো’ চলচ্চিত্র পরিচালনা করে তিনি নিজেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি মোট নয়টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন, এর মধ্যে সর্বশেষ চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। Continue reading