আফজাল শরীফ

কমেডি অভিনেতা আফজাল শরীফ (Afzal Sharif) মঞ্চ থেকে পরবর্তীতে টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে আসেন। ১৯৮৪/৮৫ সালে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। Continue reading

আফজাল হোসেন

জনপ্রিয় অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন (Afzal Hossain) কে বাংলাদেশের মানুষ মাত্রই এক নামে চিনে। বহুপ্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি একাধারে একজন অভিনেতা, কবি, লেখক, চিত্রশিল্পী, নির্মাতা এবং বিজ্ঞাপন শিল্পের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। মঞ্চ থেকে শুরু করে টেলিভিশন এবং পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন এই গুণী ব্যক্তি, তবে শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছেন বিজ্ঞাপন শিল্পে। Continue reading

আনোয়ারা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও সফল পার্শ্ব অভিনেত্রী আনোয়ারা।  আনোয়ারা নৃত্যশিল্পী থেকে চরিত্রাভিনেত্রী হয়েছেন। ১৪-১৫ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। আনোয়ারা অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘আযান’। নায়িকা হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৬৭ সালে সৈয়দ আউয়াল ও শিবলী সাদিক পরিচালিত উর্দু ভাষার ছবি ‘বালা’। অভিনেত্রী হিসেবে আনোয়ারার টার্নিং পয়েন্ট একই বছর মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। ওই ছবিতে আলেয়া চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে তিনি সর্বস্তরের দর্শকের প্রশংসা কুড়ান। অভিনয়ের জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

আনোয়ারার জন্ম ১৯৪৮ সালের ১ জুন কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। তার পূর্ণনাম আনোয়ারা জামাল। তার বাবা জামাল উদ্দিন, মা ফরিদুন্নেসা। স্বামী মহিতুল ইসলাম। এক মেয়ে মুক্তি আর নাতনি কারিমা ইসলাম দরদী।

আজিজ রেজা

চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দায় শিল্পীরা গানের ছন্দে তাল মিলিয়ে নাচেন, সেই নাচ দেখে দর্শক মুগ্ধ হয়। শিল্পীদের নিপুণভাবে নাচতে যিনি সাহায্য করেন তিনি নৃত্য পরিচালক। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিন ধরে নৃত্য পরিচালনা করে সুনাম-স্বীকৃতি অর্জন করেছেন এমন একজন আজিজ রেজা। এক হাজারের বেশী চলচ্চিত্রের নৃত্য পরিচালনা করেছেন গুণী এই ব্যক্তি। তার হাত ধরে চলচ্চিত্রে পদার্পন করেছে কিং খান খ্যাত চিত্রনায়ক শাকিব খানের মত অভিনেতারা। Continue reading

আজিজুর রহমান বুলি

আজিজুর রহমান বুলি ১৯৭১ সালে ‘নাচের পুতুল’ ছবির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। শেষ উত্তর ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। তিনি প্রায় ৫০টি ছবি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। আজিজুর রহমান বুলিকে আমেরিকার মরেনভেলি শহরের বাংলাদেশী আমেরিকান ক্যালিফোর্নিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে বিএসসিএস আজীবন সম্মাননা ২০১৪ প্রদান করা হয়।

আজিজুর রহমান

দেশের চলচ্চিত্র জগতের একজন খ্যাতিমান চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে আজিজুর রহমান দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৬০টিরও বেশি ছবি পরিচালনা করে বাংলা চলচ্চিত্রের জননন্দিত সফল চিত্র পরিচালক হিসেবে এ উপমহাদেশে স্থান করে নেন। চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি এ পর্যন্ত তিনি ১০টির মত ছবি নিজে প্রযোজনা করেছেন।

১৯৩৯ সালে তিনি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরের কলসা সাঁতাহার মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম রুপচাঁন প্রামানিক। তিনি স্থানীয় আহসানুল্লাহ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পাস ও ঢাকা সিটি নাইট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর চারুকলা আর্ট ইনস্টিটিউটে কমার্সিয়াল আর্টে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৫৮ সালে খ্যাতিমান পরিচালক এতেহশামের সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৬৭ সালে ময়মনসিংহ লোকাগাঁথা কাহিনী নিয়ে সাইফুল মুল্‌ক্‌ বদিউজ্জামাল 0নামে প্রথম ছবি পরিচালনা করেন।

এ পর্যন্ত তিনি অর্ধশতাধিক ছবি পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালনা ছবিগুলো হলো সমাধান, স্বীকৃতি, গরমিল, অপরাধ, অগ্নিশিখা, লাল কাজল, দিল, অশিক্ষিত, মাটির ঘর, জনতা এক্সেপ্রস, ছুটির ঘন্টা, ও ঘরে ঘরে যুদ্ধ। তার পরিচালিত ছবির মধ্যে অশিক্ষিত, ছুটির ঘন্টা, লাল কাজল ও মাটির ঘর ছবি ব্যাপক ব্যবসাসফল ছবি হিসাবে বিবেচিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য তিনটি ছবি অশিক্ষিত, ছুটির ঘন্টা মস্কোতে, জনতা এক্সেপ্রস তাসখন্দে এবং ছুটির ঘন্টা রুমানিয়াতে প্রদর্শিত হয়। বাংলা ছবির পরিচালনার পাশাপাশি চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমান মেরে আরমান মেরে স্বপ্নে, সাত সেহেলী, বস্তির রানী, পরদেশে রেহেনে দো উর্দু ছবি পরিচালনা করেন। এছাড়া তিনি ভারতে বেশ কিছু বাংলা ছায়াছবি পরিচালনা করেছেন।

ফেসবুক প্রোফাইল: Azizur Rahman

আখতারুজ্জামান

আখতারুজ্জামান চলচ্চিত্রে আসেন ১৯৮৪ সালে ফেরারী বসন্ত (যৌথভাবে) ছবি পরিচালনার মাধ্যমে। তার পরিচালিত অন্যান্য ছবির মধ্যে রয়েছে প্রিন্সেস টিনা খান, নগ্ন আগন্তুক, পোকামাকড়ের ঘর-বসতি ইত্যাদি। এছাড়া তিনি পিঞ্জর, রক্ত পলাশ, ফকির মজনু শাহসহ অসংখ্য ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেন। চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি সাংবাদিক, শিক্ষক, গীতিকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবেও তার সুখ্যাতি রয়েছে।

মৃত্যুর পূর্বে তিনি ‘সূচনা রেখার দিকে’। রাষ্ট্রীয় অনুদানে নির্মিত এ ছবিটি ভবিষ্যত কি এখনো নিশ্চিত না। তার এই ছবিতে ছবিতে ওপার বাংলা-এপার বাংলার মানুষদের মিলনাকাঙ্ক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু, সীমান্ত সংঘর্ষ, বাউল আর অবিভক্ত নদীর পানিবণ্টনসহ বাঙালির জাতিগত সমস্যা উঠে এসেছে।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।

অঞ্জনা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে অঞ্জনা বহুল আলোচিত একটি নাম। দীর্ঘ ৪০ বছরের অভিনয় জীবনে তিনি ৩৫০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় , কত্থক নৃত্য ও মডেলিং এই তিনটিতেই রয়েছে তার সফল বিচরণ। এর পাশাপাশি অঞ্জনা একজন সংগীতশিল্পীও।

মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করা শুরু করেছিলেন অঞ্জনা। নাচ নিয়ে ব্যস্ততার সময়ই মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন। সারথী পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’ ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রজীবন শুরু হয়। আলমগীর কবির পরিচালিত ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অঞ্জনা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

অঞ্জনা নায়করাজ রাজ্জাকের সাথে ৩০টি ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে অশিক্ষিত, রজনীগন্ধা, আশার আলো, জিঞ্জির, আনারকলি, বিধাতা, বৌরানী, সোনার হরিণ, মানা, রামরহিমজন, সানাই, সোহাগ, মাটির পুতুল, সাহেব বিবি গোলাম ও অভিযান উল্লেখযোগ্য। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবি হল মাটির মায়া, রূপালি সৈকতে, মোহনা, গুনাই বিবি, গাংচিল, রাজবাড়ী, নূরী, সুখের-সংসার, অন্ধবধূ, যাদু নগর।

তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘প্রাণ সজনী’, ‘দেশ-বিদেশ’, ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘নেপালি মেয়ে’সহ একাধিক ছবি নির্মিত হয়েছে।

অঞ্জনার জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৭ জুন ঢাকা ব্যাংক কোয়ার্টারে। তার পৈতৃক নিবাস চাঁদপুর। শুরুতে তিনি ‘অঞ্জনা রহমান’ নামে পর্দায় কাজ করলেও বর্তমানে তিনি অঞ্জনা সুলতানা নামেই সমধিক পরিচিত।