মিশা সওদাগর

পর্দার খারাপ লোক মিশা সওদাগর (Misha Sawdagor) চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন ১৯৮৬ সালে। এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখ কার্যক্রমে নির্বাচিত হন মিশা। ছট্কু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন ১৯৯০ সালে। ‘অমরসঙ্গী’ ছবিতেও তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন, কিন্তু দুটোর একটিতেও সাফল্য পান নি। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিচালক তাকে খল চরিত্রে অভিনয়ের পরামর্শ দেন। তমিজ উদ্দিন রিজভীর ‘আশা ভালোবাসা’ ছবিতে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। আউটডোর শ্যুটিং শেষ করে ফিরে একে একে সাতটি ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন মিশা। ১৯৯৪ সালে ‘যাচ্ছে ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম খলনায়ক হিসেবে পর্দায় উপস্থিত হন।

মিশা সওদাগর ৯০০-রও বেশী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শুরুতে রাজীব, হুমায়ূন ফরীদ, মিজু আহমেদ, আহমেদ শরীফ, নাসির খানদের সাথে দ্বিতীয় ভিলেন হিসেবে অভিনয় করলেও অচিরেই তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে প্রধান ভিলেন হিসেবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন মিশা সওদাগর। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ খল চরিত্রে এবং শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনেতা চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেছেন।

মোহাম্মদ আলী

মোহাম্মদ আলী একজন প্রযোজক। তিনি ‘মা আমার চোখের মনি’, ‘নিষ্পাপ মুন্না’ ও ‘তুই শুধু আমার’ চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।

বদিউল আলম খোকন

বদিউল আলম খোকন (Badiul Alam Khokon) চলচ্চিত্রজগতে তার কর্ম শুরু করেন চাষী নজরুল ইসলামের সহকারী  হিসেবে।

তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ, হিসাববিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সাহারা

অভিনেত্রী সাহারা (Sahara) চলচ্চিত্র জগতে আগমন করেন শাহাদাত হোসেন লিটন পরিচালিত ‘রুখে দাড়াও’ ছবি দিয়ে। নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজা’র স্কুলে পরিচয় হয়েছিল পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন লিটনের সাথে, তারই ফলশ্রুতিতে প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয়। বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন শাকিব খান। নানা কারণে ছবিটি তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। দ্বিতীয় চলচ্চিত্র “ভাড়াটে খুনি”ও ফ্লপ এর খাতায় নাম লিখায়। Continue reading

শাকিব খান

১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন করেন শাকিব খান (Shakib Khan)। নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজার ভাই পরিচয়ে এবং তার অকৃপণ সহযোগিতায় মাসুদ রানা চলচ্চিত্রে এসে শাকিব খান নাম ধারণ করে চলচ্চিত্রে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করেন। প্রথমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় নায়ক হিসেবে অসংখ্য ছবিতে কাজ করার পর পরে প্রধান নায়ক হিসেবে শাকিব দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করেন। ব্যস্ততা, জনপ্রিয়তা, দাপট ইত্যাদি সবদিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে যান তিনি।

বিএমডিবি-তে শাকিব খান সম্পর্কে সকল সংবাদ পাবেন এখানে 

Continue reading

আহমেদ হুমায়ুন

সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে পরিচিত আহমেদ হুমায়ুন (Ahmmed Humayun) এর শুরুটা গায়ক হিসেবে। পরিবারে সঙ্গীতচর্চার প্রচলন ছিল, তিনিও গান করতেন। গানের প্রয়োজনেই ঢাকায় এসেছিলেন, নিজের অ্যালবাম বের করার আগ্রহ ছিল, কিন্তু সুযোগ করে উঠতে পারেন নি। আগে থেকেই সুর করার কিছু অভিজ্ঞতা ছিল, চলচ্চিত্র প্রযোজক নাদিম মাহমুদ সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ দেন।

বর্তমানে হুমায়ূন চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

শওকত আলী ইমন

সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৯৬ সালে রুটি ছবির মাধ্যমে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। কলকাতায়ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন, এগুলো হল অন্যায় অবিচার ও বিচারক।

শওকত আলী ইমন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় নাট্যাভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহকে। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানও আছে। কিন্তু তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। ইমন গায়িকা রেবেকা সুলতানা ও আবিদা সুলতানার বোন।

রাজু চৌধুরী

রাজু চৌধুরী একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলো হল ‘শুটার’ (২০১৬), ‘তুই শুধু আমার’ (২০১৪), ‘এক নাম্বার আসামি’ (২০১৪), ‘তোকে ভালোবাসতেই হবে’ (২০১৪), ‘ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম’ (২০১৩), ‘রোমিও ২০১৩’ (২০১৩), ‘প্রিয়া আমার জান’ (২০১১), ‘অস্ত্র ছাড়ো কলম ধর’ (২০১১), ‘আমার মা আমার অহংকার’ (২০১০), ‘ঠেকাও আন্দোলন’ (২০০৯), ‘সাহেব নামে গোলাম’ (২০০৯), ‘রাজু আমার ভাই’ (২০০৮), ‘ঘুম হারাম’ (২০০৭), ‘জিদ্দী নারী’ (২০০৭), ‘নিষিদ্ধ যাত্রা’ (২০০৬), ও ‘রিভেঞ্জ’ (২০০৫)।