সুষমা সরকার

সুষমা সরকারের পরিচয় তিনি একজন অভিনেত্রী। নির্দিষ্ট কোন গন্ডিতে বাঁধা পড়েন নি, তাই নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞায় আটকাও পড়েন নি। অভিনেত্রী বলেই মঞ্চ-টিভি-চলচ্চিত্র-উপস্থাপনা সর্বক্ষেত্রেই তার বিচরণ।  Continue reading

মুস্তাফিজ

মুস্তাফিজ (Mustafiz) তার বড় ভাই এহতেশামের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। পরিচালক হিসেবে তার প্রথম ছবি ‘হারানো দিন’, যা ঢালিউডের প্রথম সিলভার জুবিলি হিট ছবি।

তিনি ১৯৬২ সালে উর্দু ভাষার ‘তালাশ’ নির্মাণ করে বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করেন। মুস্তাফিজের অন্যান্য ছবিগুলো হল উর্দু ভাষার ‘প্যায়সে’ (১৯৬৪), ‘মালা’ (১৯৬৫), ‘ছোটে সাহেব’ (১৯৬৭), ‘কুলি’ (১৯৬৮), ‘আনাড়ি’ (১৯৬৯), ‘পায়েল’ (১৯৭০) ও ‘মুন্না অউর বিজলী’ (১৯৭০)। ‘মুন্না অউর বিজলী’ ছবিটি বাংলা ভাষায় ‘বিজলী’ ও ‘বাবলু’ নামে পরিচিত। এচাড়া তার পরিচালিত বাংলা ভাষার ছবিগুলো হল ‘ডাক বাবু’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’ ও ‘আলো ছায়া’।

লাল মোহাম্মদ

লাল মোহাম্মদ একজন চিত্রগ্রাহক। তিনি আফজাল চৌধুরী ও জেড এইচ মিন্টুর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ‘সোহরাব রুস্তম’ ছবিতে প্রধান সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন। চিত্রগ্রাহক হিসেবে তার প্রথম ছবি ‘প্রিয় তুমি’। এরপর তিনি ‘কুলি’, ‘মনের মত মন’, ‘টপ লিডার’, ‘আমি জেল থেকে বলছি’, ‘দেবদাস’ প্রভৃতি ছবির চিত্রগ্রহণ করেন।

তার জন্ম ১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থানার বিলরুহুলী গ্রামে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি।

রহিমা

রহিমা খাতুন চলচ্চিত্রাঙ্গনে রহিমা খালা হিসেবে অধিক পরিচিত।  তিনি বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ) প্রথম সবাক বাংলা চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন করেন।

রহিমা অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হল আকাশ আর মাটি, রাজধানীর বুকে, তালাশ, সুতরাং, কাগজের নৌকা, আয়না ও অবশিষ্ট, বেহুলা, ইস ধরতি পর, আনোয়ারা, এতটুকু আশা, সূর্যস্নান, সোনার কাজল, জোয়ার এলো, নাচঘর, ধারাপাত, কার বউ, আপন দুলাল, আগুন নিয়ে খেলা, ভাগ্যচক্র, মিলন, চম্পাকলি, পালাবদল, আবির্ভাব, আলোর পিপাসা, অন্তরঙ্গ, পাতালপুরী, রূপবান, নীল আকাশের নীচে, জয় বাংলা, মোমের আলো, রাখাল বন্ধু, ক খ গ ঘ ঙ, ভাইবোন, কাঞ্চন মালা, জিনা ভি মুশকিল, হীরামন, মধুমালা, নিশি হলো ভোর, সখিনা, গোরী, সপ্তডিঙ্গা, অরুণ বরুণ কিরণ মালা, চোরাবালি, অপরিচিতা, রূপবানের রূপকথা, ময়নামতি, মায়ার সংসার, নাগিনীর প্রেম, আলিঙ্গন, মুক্তি, মলুয়া, যে আগুনে পুড়ি, আদর্শ ছাপাখানা, পীচঢালা পথ, দর্পচূর্ণ, ছদ্মবেশী, নতুন প্রভাত, কাঁচ কাটা হীরে, মন নিয়ে খেলা, তিতাস একটি নদীর নাম, দস্যুরাণী, দয়াল মুরশিদ, আবার তোরা মানুষ হ, চোখের জলে, বাংলার ২৪ বছর, ঈশা খা, ভুল যখন ভাঙলো, অন্তরালে, ত্রিরত্ন, মামা ভাগ্নে, কে আসল কে নকল, জিঘাংসা, সোনার খেলনা, দুই রাজকুমার, লাঠিয়াল, বাদশা, ভাড়াটে বাড়ি, সুজন সখি, কেন এমন হয়, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, তালবেতাল, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, প্রতিনিধি, স্বীকৃতি ইত্যাদি।

রহিমার জন্ম ১৯১৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায়। তিনি কলকাতায় মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে সর্বপ্রথম অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে রেডিওতে নাট্যশিল্পী হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৬ সালের ৯ জুন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

পূর্ণিমা সেন

প্রথম বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর কেন্দ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমা সেন (Purnima Sen)। নায়িকা হিসেবে এটিই তার প্রথম এবং শেষ ছবি। পরবর্তীতে অবশ্য চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে ‘হাম সফর’ আর ‘সোনার কাজল’ ছবিতে অভিনয় করেন ১৯৬২ সালে। Continue reading