জ্যোতিকা জ্যোতি (Jyotika Jyoti) একজন টিভি এবং চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী। এছাড়া তিনি উপস্থাপনাতেও নাম লিখিয়েছেন। তিনি ২০০৪ সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় সেরা দশে স্থান করে নিয়েছিলেন। Continue reading
News Category:
এ কে এম সেলিম
এ কে এম সেলিম একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ‘বাংলার বধূ’, ‘রঙিন সুজন সখি’ ও ‘শান্তি চাই’ ছবিতে প্রধান সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র হল ‘ধরিয়ে দিন’। এছাড়া তিনি ‘মায়াবিনী’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন।
সানোয়ার মোর্শেদ
সানোয়ার মোর্শেদ ‘সুজন সখি’, ‘আশা ভালবাসা’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ ও ‘বুকের ভিতর আগুন’ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ফরিদা ইয়াসমিন
ফরিদা ইয়াসমিন হলেন কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীন ও সাবিনা ইয়াসমীনের বোন। তাদের পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। তারা পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই গান করেছেন। তারা হলেন ফরিদা ইয়াসমিন, ফওজিয়া খান, নীলুফার ইয়াসমিন এবং সাবিনা ইয়াসমিন। ফরিদা সবার বড়। কয়েক বছর আগে সর্বশেষ তার গাওয়া গান নিয়ে বাজারে আসে একটি অ্যালবাম। Continue reading
ফরিদা পারভীন
লালন সাঁইজির গানের বাণী ও সুরকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে যার অবদান সর্বজনস্বীকৃত, তিনি বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বদরবারেও তিনি লালন সাঁইয়ের বাণী ও সুরকে প্রচারের কাজে নিয়েজিত ছিলেন। জাপান, সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরও বহু দেশে লালনসংগীত পরিবেশন করেছেন। লালনসংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। এছাড়া ১৯৯৩ সালের ‘অন্ধ প্রেম’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
ফরিদার জন্ম ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায়। পারিবারিক সূত্রেই গানের ভুবনে আসা। গানের প্রতি বাবার টান ছিল বেশি। দাদিও গান করতেন। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাঁকে। শৈশবে যখন মাগুরায় ছিলেন, তখন ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে সংগীতের হাতেখড়ি হয়। সেটা ১৯৫৭-৫৮ সালের কথা, তখন তিনি মাত্র চার-পাঁচ বছরের মেয়ে। স্বরলিপি দিয়ে নজরুলের গান হারমোনিয়ামে ও কণ্ঠে তোলার কাজটি তিনি ওস্তাদ মীর মোজাফফর আলীর কাছেই প্রথম শেখেন। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত নজরুলসংগীতশিল্পী নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়।
শুরুতে নজরুলসংগীত, পরে আধুনিক গান দিয়ে ফরিদা পারভীনের যাত্রা শুরু হলেও জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে লালন সাঁইয়ের গান গেয়ে। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর লালন সাঁইজির গানের সঙ্গে ফরিদার পারভীনের যোগাযোগ, তখন তিনি কুষ্টিয়াতে থাকতেন। সেখানে তাঁদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন মোকছেদ আলী সাঁই। ১৯৭৩ সালে ফরিদা পারভীন তাঁর কাছেই ‘সত্য বল সুপথে চল’ গান শেখার মাধ্যমে লালন সাঁইজির গানের তালিম নেন। মোকছেদ আলী সাঁইয়ের মৃত্যুর পর খোদা বক্স সাঁই, ব্রজেন দাস, বেহাল সাঁই, ইয়াছিন সাঁই ও করিম সাঁইয়ের কাছে লালনসংগীতের তালিম নেন।
ফরিদা পারভীনের প্রথম স্বামী প্রখ্যাত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আবু জাফর। তাঁর সেই সংসারে রয়েছে তিন ছেলে ও এক মেয়ে; জিহান ফারিয়া, ইমাম নিমেরি উপল, ইমাম নাহিল সুমন ও ইমাম নোমানি রাব্বি।
ফরিদা দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।