News Category:
মাহফুজুর রহমান
এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান।
দিলদার
বাংলা চলচ্চিত্রে দিলদারের (Dildar) প্রধান পরিচয় কৌতুক অভিনেতা। বাস্তবতার দৈনন্দিন ঘানি টানা শেষে ক্লান্ত শরীরে সাধারণ দর্শক যখন তার অভিনয় দেখতেন, তখন তারা মুগ্ধ হতেন, প্রাণ খুলে হাসতেন, ভুলে যেতেন সারা দিনের সব কষ্ট।
অভিনেতা দিলদার চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র কেন এমন হয় এ অভিনয় করার মাধ্যমে। ধীরে ধীরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক অভিনেতার আসন দখল করে নেন তিনি। দিলদারের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তাকে নায়ক করেই নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলী জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
অভিনয়ের জন্য স্বীকৃতিও পেয়েছেন দিলদার। সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে দিলদার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
দিলদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। তিনি ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই তারিখে ইন্তেকাল করেন।
সূত্র:
১. বণিক বার্তা
নাসির খান
ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান খল অভিনেতা নাসির খান। তিনি ‘স্নেহ’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘ভন্ড’, ‘বীর সৈনিক’, ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’ সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
আজিম
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রথম দিকের ফোক-ফ্যান্টাসি ও রোম্যান্টিক ছবির নায়কদের মধ্যে অন্যতম আজিম (Azim)। তার পুরো নাম নূরুল আজিম খালেদ রউফ।
প্রখ্যাত পরিচালক এহতেশামের ‘রাজধানীর বুকে’ ছবি দিয়ে তিনি চলচ্চিত্রে আগমন করেন। পরে তিনি ‘হারানো দিন’, ‘নতুন সুর’, ‘মেঘ ভাঙ্গা রোদ’, ‘ডাক বাবু’ এবং ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ ছবিতে অভিনয় করেন। এই সময়ে তিনি ফোক-ফ্যান্টাসি ধারার ‘সাইফুল মুল্ক্ বদিউজ্জামাল’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘রূপবানের রূপকথা’, ‘পাতালপুরীর রাজকন্যা’, ‘নাগিনীর প্রেম’ এবং ‘আমির সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী’ ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
পরবর্তী কালে তিনি প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবেও নাম লেখান। আজিম পরিচালিত ছবির মধ্যে রয়েছে ‘টাকার খেলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘জীবন মরণ’, ‘বদলা’, ‘গাদ্দার’, ‘দেবর ভাবি’।
আজিমের জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৩ জুলাই সিলেটের হবিগঞ্জে। ১৯৬৭ সালের ৩০ জুন তিনি অভিনেত্রী সুজাতাকে বিয়ে করেন। তিনি ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ ইন্তেকাল করেন।
আবুল কালাম আজাদ
আবুল কালাম আজাদ একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি ‘তুমি শুধু আমার’, ‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’, ‘আমার টার্গেট’, ‘জিদ্দি বউ’, ‘হৃদয় দোলানো প্রেম’ ও ‘ও মাই লাভ’ ছবি পরিচালনা করেছেন।
তিনি ‘বিক্ষোভ’ ও ‘ভালবাসি তোমাকে’ ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
একরামুল ইসলাম একরাম
একরামুল ইসলাম একরাম একজন সহকারী পরিচালক।
মিজানুর রহমান মিজান
মিজানুর রহমান মিজান একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি ‘মিলন সেতু’ ও ‘রাগী’ ছবি পরিচালনা করেছেন। এর আগে তিনি ‘কাবিননামা’, ‘তুমি স্বপ্ন তুমি সাধনা’, ‘প্রেমে পড়েছি’ প্রভৃতি ছবিতে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।