বাংলাদেশে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। কৌতুক অভিনয়ের জন্য তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। মঞ্চ নাটক থেকে টিভি পর্দা এবং পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে পদার্পন করলেও মোশাররফ করিম মূলত টিভি অভিনেতা। এক পর্বের নাটক এবং ধারাবাহিক – উভয় ক্ষেত্রেই তিনি শীর্ষ অভিনেতাদের অন্যতম।
অভিনেতা মোশাররফ করিম তার শীর্ষ অবস্থানে একদিনে পৌছান নি। অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছিল ছোটবেলাতেই, স্কুলে পড়াকালীন সময়ে। আগ্রহ থেকেই থিয়েটারের সাথে নিজেকে জড়িয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে যোগ দেন নাট্যকেন্দ্রে, তার সাথেই আছেন এখনো।
১৯৯৯ সালে চ্যানেল আই-য়ে প্রচারিত ফেরদৌস হাসান পরিচালিত নাটক অতিথি’র মাধ্যমে তিনি ছোট পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম দিকের নাটকগুলোতে তিনি সাধারণ অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করলেও তার সাফল্যের সিড়ি উপরের দিকে উঠতে শুরু করে ২০০৪ সালে। এ সময় তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ক্যারাম নাটকে অভিনয় করেন এবং গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এর পরে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রের বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ে তিনি নিয়মিত না হলেও বেশ কিছু সমাদৃত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘টেলিভিশন’, ‘জালালের গল্প’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘হালদা’, ‘কমলা রকেট’ ও ‘মুখোশ’।
মোশাররফ করিম কিছু নাটকও রচনা করেছেন। বন্ধু ইউসুফ হাসান অর্কের উৎসাহেই লিখেছেন নাটক ‘একলব্য আখ্যান’, ‘সীতায়ন’, ‘নমরুদের শকুন’।
মোশাররফ করিমের স্ত্রী রোবেনা রেজা জুঁই। তিনি মূলত সংসারী হলেও অল্প কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, নাম রুবেন রায়ান করিম।