কাহিনী সংক্ষেপ
একজন পুলিশ কর্মকর্তা। একেবারেই খামখেয়ালি। কাজকর্মে তেমন মন নেই। কিন্তু এই ব্যক্তিই একসময় অসম্ভব সাহসী হয়ে ওঠেন। অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। তার বুদ্ধির কাছে হার মানে অন্যরা। এমনই একটি চলচ্চিত্র কিস্তিমাত (Kistimaat)।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা। একেবারেই খামখেয়ালি। কাজকর্মে তেমন মন নেই। কিন্তু এই ব্যক্তিই একসময় অসম্ভব সাহসী হয়ে ওঠেন। অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। তার বুদ্ধির কাছে হার মানে অন্যরা। এমনই একটি চলচ্চিত্র কিস্তিমাত (Kistimaat)।
আরিফিন শুভ | ||
আঁচল | পিয়া | |
মিশা সওদাগর | ||
টাইগার রবি |
কাহিনী | কাশেম আলী দুলাল |
চিত্রনাট্য | কাশেম আলী দুলাল |
সংলাপ | কাশেম আলী দুলাল |
সঙ্গীত পরিচালক | শচী শামস, নাভিদ হাফিজ, ইমরান মাহমুদুল, শওকত আলী ইমন |
সুরকার | - |
গীতিকার | জাহিদ হাসান অভি |
মুক্তির তারিখ | ৬ অক্টোবর, ২০১৪ |
ফরম্যাট | ডিজিটাল |
রং | রঙিন |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
আজ সপরিবারে Blockbuster Cinemas এ দেখে এলাম ‘কিস্তিমাত’। ভাঁড়ামো এবং over-acting এ ভরপুর একটা সিনেমা। নতুন বোতলে পুরাতন মদ আর কতকাল গেলাবেন আমাদের চলচ্চিত্রকারেরা? আমরা হলে অর্থ ও সময় ব্যয় করে মুভি দেখতে যাই একটু বিনোদন পাবার আশায়। সেখানে বিনোদন দূরে থাকুক, বিরক্ত করা কি এক ধরনের প্রতারণা নয়? আজ হলের বেশিরভাগ দর্শক মুভি শেষ হবার ২০ মিনিট আগেই হল ছেড়ে চলে যায়।
এবার আসি মুভির কাহিনীতে। দু-একটি ত্রুটি থাকলেও সেটা মেনে নেয়া যেত। কিন্তু যে মুভিতে পুরো কাহিনী টাই নড়বড়ে সেখানে সব ত্রুটির ব্যাখ্যা করাও কঠিন। আমি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
# ছবির শুরুতেই দেখানো হয় নায়ক একটি মেয়েকে বাঁচায়। মেয়েটি তাকে ভাই বলে সম্বোধন করে। পরবর্তীতে দেখা যাই সেই মেয়েটিই নায়কের হারিয়ে যাওয়া বোন। বাবা ছিলেন সৎ পুলিশ অফিসার, যার খুনের বদলা নেয় ছেলে।
এটি সেই কাহিনী যা দিয়ে পূর্বে চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে অসংখ্যবার।
# সবাই জানতো নায়কের মা-বোন এক্সিডেন্টে মারা যায়। কিন্তু পরে দেখানো হয় তারা জীবিত। কিভাবে গাড়িতে ফিস্ফোরন হয়ে খাদে পড়ে যাবার পরে তারা বেঁচে গেল সেটা দেখানো হয় নি।
# তুমুল গোলাগুলি চলছে নায়ক-নায়িকা বনাম ভিলেনের দলের। এর মাঝে কথা নেই বার্তা নেই, শুরু হল গান। পুরো হলের দর্শক ঐ মুহূর্তে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।
# মুভির শেষ অংশে ফাইনাল মারামারি। বাংলা মুভির সিলেবাস অনুসরন করে মারামারি শেষ হবার ঠিক পরেই পুলিশের আগমন।
এরকম আরো অসংখ্য উদাহরণ আমি দিতে পারব। সংলাপ আর অভিনয় ছিল প্রচন্ড মাত্রায় যাচ্ছেতাই। শুভর সংলাপে ‘হিরক রাজার দেশে’ ছবির মত ছন্দ মিলিয়ে বলার চেষ্টা লক্ষ্য করা যায় কিন্তু তা উপভোগ্য ছিল না।
এতকিছুর মাঝে মুভিটির যে দিকগুলো ভালো লেগেছে তা বলি। ক্যামেরার কাজ ও ফিল্মের কালার কম্বিনেশন ভালো ছিল। দুটি গান ভালো লেগেছে।
সবশেষে, ছবিটির পেছনে যারা কাজ করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলি। মৌলিক গল্পে ছবি নির্মাণ করুন, দর্শকদের নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করুন। এধরনের মুভি করে হয়তো মুনাফা ঠিকই পাবেন, কিন্তু এই ধরনের চলচ্চিত্রের গল্প ভবিষ্যতে কেউ স্মরণ করবে কিনা সন্দেহ। এভাবে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রির উন্নতি সম্ভব নয়। অন্য দেশগুলোকে দেখে শিখুন। ধন্যবাদ।।
(এটি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত। অনুগ্রহ করে কেউ আক্রমনাত্নক কমেন্ট করবেন না।)
অসাধারন একটি মুভি হয়েছে। আরেফিন শুভর মনোমুগ্ধকর অভিনয়,সিনেমার গুড মেকিং,কালার, অ্যাকশন দৃশ্য,গানগুলো সুন্দর হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে অ্যাকশন দৃশ্য আর ছোটখাট এনিমেশন মুভিটিকে অসাধারন করে তুলেছে। পরিচালক আশিকুর রহমান তার যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। আরেফিন শুভ যে একজন গুণী অভিনেতা তার পরিচয় তিনি দিয়েছেন। আশিকুর রহমান যদি আরো ভাল বাজেট পায় তাহলে তিনি তার যোগ্যতাকে পরিপূর্ণ রুপে যে বিকশিত করতে পারবেন এ মুভিটি দেখলে তা বুঝা যায়। কিছু কিছু ভূল ছিল মুভিটিতে। এগুলো বাদ দিলে বলা যায় কিস্তিমাত দেখার মত একটি মুভি।