কাহিনী সংক্ষেপ
মাঝবয়সী বিপত্নীক শশীকান্ত সেনগুপ্ত পেশায় উকিল। এদের সঙ্গে বাস করেন মিনতি-বিদ্যুতের পিসিমা স্নেহময়ী বিধবা অনুপ্রভা দাসী। চিত্রা নদীর কিনারেই শশীকান্ত বাবুদের পুরোনো একতলা একটি বাড়ি। বাড়ির নাম পান্থনীড়। পাকিস্তান আমলের সাম্প্রদায়িকতার সেই বিকারের দিনগুলোতে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেরই নজর ওই বাড়িটির ওপর। কিন্তু শশীকান্ত বাবু এ দেশ ছেড়ে কখনোই যেতে চান নি।
সময় গড়িয়ে যেতে থাকে। বালকবালিকা বাদল ও মিনতি আজ তরুণ-তরুণী। মিনতি নড়াইল কলেজে পড়ে এবং বাদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায়। ভিন্ন সম্প্রদায়ের হলেও শৈশবের খেলার সঙ্গী দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে একসময় জন্মায় প্রেমের অনুভূতি। তরুণ বাদল পড়তে আসে ষাট দশকের ঢাকা বিশ্ববিদালয়ে। সারা দেশজুড়ে তখন গণতন্ত্র ও স্বাধিকারের দাবিতে ছাত্রসমাজ উত্তাল। বাদলও ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে এবং সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্রমিছিলে একদিন গুলিতে নিহত হয়।
শশীকান্ত বাবুর বড়ভাই নিধুকান্ত বাবু গ্রামে থেকে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারি করেন। তার বিধবা মেয়ে বাসন্তী দুর্গাপূজার সময় ধর্ষিতা হয়। বাসন্তী চিত্রা নদীতে ডুবে আত্মহত্যা করে। নিধুকান্ত বাবুর পরিবার দেশত্যাগ করে চলে যায়।
চারদিকের এতসব ঘটনা শশীকান্তবাবুর অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। এক সন্ধ্যায় তিনি হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করেন। মিনতি ও পিসিমা পান্থনীড় ত্যাগ করে কলকাতার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। আর তার কিনারে বহমান এই মানবনাট্যের এক চিরন্তন সাক্ষী হিসেবে বয়ে চলে চিত্রা নদী…।
রিভিউ লিখুন
রিভিউ লিখতে আপনাকে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে।