কাহিনী সংক্ষেপ
ষাটের দশকের উত্তাল সময়ের প্রেক্ষাপট হতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগের সময়ের একটি পরিবার কিভাবে যুদ্ধ ও ধর্মের কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় তার গল্প নিয়ে তৈরি এ চলচ্চিত্র। পরিচালকের নিজের ছোটবেলার কাহিনীর জীবনের উপর ভিত্তি করে এ ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে। অত্যন্ত ধার্মিক বাবা কাজী সাহেব তাঁর ছোট্ট ছেলে আনুকে পড়াশোনার জন্য মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন। দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের পাশাপাশি আনুর মাদ্রাসাতেও চরম ও মধ্যপন্থী মতবাদের বিকাশ ঘটতে থাকে। বিভক্তির এই একই চিত্র দেখা যায় গোঁড়া ধার্মিক কাজী ও তাঁর স্বাধীনচেতা স্ত্রী আয়েশার মধ্যে । ধর্মীয় উদারতা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র এবং ইসলামের দুর্বোধ্যতা এ সব কিছু মিলিয়ে মাটির ময়না জাগতিক দ্বন্দ্বের একটি দৃশ্যমান প্রতিকৃতি। Matir Moyna
সিনেমা/ মুভি- মানুষের বিনোদনের অন্যতম সেরা মাধ্যম। কিছু নির্মাতা সিনেমা তৈরি করেন শুধুমাত্র নির্মল বিনোদনের উদ্দেশ্যে। যারা প্রকৃতপক্ষে দূরদর্শী নির্মাতা, তারা তাদের সিনেমায় বিনোদনের পাশাপাশি ডেলিভার করে থাকেন অসাধারন সব ম্যাসেজ। আর বিনোদনের মধ্য দিয়ে বার্তা পৌঁছানোর চমৎকারী ক্ষমতা- সকল নির্মাতাদের মধ্যে থাকেও না। কালে- ভদ্রে এরকম কিছু জিনিয়াস নির্মাতাদের দেখা পাই আমরা। বাংলাদেশের সিনেমা জগতের জন্য তারেক মাসুদ ছিলেন আশীর্বাদ স্বরূপ। তার নির্মিত প্রথম সিনেমা দেখেই বোঝা গিয়েছিলো তিনি কোন লেভেলের নির্মাতা…
যাই হোক, মাটির ময়না’র খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রিয় একটা শট আজ শেয়ার করতে ইচ্ছা হলো। এই শটটা গুরুত্বপূর্ণ বলার কারন- এই শটে তারেক মাসুদ, একজন শিক্ষিত যুবকের কথার প্রেক্ষিতে একজন সাদামাটা বয়াতি- মাঝির মুখ দিয়ে প্রচণ্ডরকম ইম্পরট্যান্ট একটা ম্যাসেজ থ্রো করিয়েছেন… (মুভির ১ঘণ্টা ১২ মিনিটের দিকে যেই শট নৌকার উপর) যে ম্যাসেজের মূল ভাবটা বেশ গভীর…
সাধারন জিনিসকে অসাধারনভাবে উপস্থাপন করা- একজন সার্থক নির্মাতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
অসাধারণ একটা সিনামা । বাংলাদেশে তারেক মাসুদের মত আরও নির্মাতা প্রয়োজন ।