শুধু তুমি (১৯৯৭)
- বিভাগঃ রোমান্টিক
- পরিচালকঃ কাজী মোরশেদ
- প্রযোজকঃ মোঃ আসাদ, মোঃ সাহিদুর রহমান সাহিদ
- পরিবেশকঃ এ এস মুভিজ
প্রধান অভিনেতা - অভিনেত্রী
সালমান শাহ | আকাশ | |
শামা | মেঘলা | |
দিলদার | প্রেমকুমার | |
ডলি জহুর | আকাশের ফুফু | |
গাংগুয়া | কাটারি | |
মন্টু চৌধুরী | ||
নাসরিন | আলোমতি | |
হুমায়ূন ফরীদি | আমির চাকলাদার | |
শারমিন | মনোয়ারা বেগম |
প্রধান কলাকুশলী
কাহিনী | কাজী মোরশেদ |
চিত্রনাট্য | কাজী মোরশেদ |
সংলাপ | যোশেফ শতাব্দী |
সঙ্গীত পরিচালক | আলাউদ্দিন আলী |
সুরকার | আলাউদ্দিন আলী |
গীতিকার | আশরাফ বাবু, মনিরুজ্জামান মনির |
অন্যান্য তথ্যাবলী
মুক্তির তারিখ | ১৮ জুলাই, ১৯৯৭ |
ফরম্যাট | ৩৫ মি.মি. |
রং | রঙিন |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
শ্যুটিং লোকেশন | বারী স্টুডিও |
১৯৯৭ সালের ১৮ই জুলাই মুক্তি পায় “শুধু তুমি” ছবিটি । ২ঘণ্টা ২৫মিনিটের এই মুভিটিতে সালমানের উপস্থিতি খুবই কম । নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, সিনেমাটি হলে দেখতে গিয়ে বিপুলসংখ্যক দর্শক সালমানের ডামিকে দেখে হতাশ হয়েছেন এবং আগামী বছরগুলোতে সালমান ছাড়া ইন্ড্রাস্টির যে কি দশা হতে পারে তা কল্পনা করে মনে মনে শিউড়ে উঠেছেন । তারপরও অনেকে হয়ত সিনেমাটি মনে চাইবেন কিছু কারণে । সিনেমাটি আমি মনে রাখব কিছু বিশেষ কারণে ।
আমি “শুধু তুমি” মুভিটি দেখেছি খুব সম্প্রতি, হুমায়ূন ফরিদী মারা যাওয়ার কিছুদিন পর । সিনেমার শুরুতে দেখানো হয় খাটিয়ায় করে হুমায়ূন ফরিদীকে কবর দিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমির চাকলাদার(হুমায়ূন ফরিদী) এর কর্মচারীরা সবাই কান্নাকাটি করছে । লাশ কবর দেয়া হল । লাশ কবর দিয়ে কেউ চলে না গিয়ে সবাই অপেক্ষা করছে কিছু একটার জন্য । এমন সময় দেখি আচমকা কবরে একটা বিস্ফোরণ মত কিছু একটা হল । মাটি, কাফন(এইখানে একটা ভুল আছে, কাফন ধবধবে সাদা, কিছু মাটি মিশায়ে রাখা উচিত ছিল) এইসব বিদীর্ণ করে আমির চাকলাদার ওরফে হুমায়ূন ফরিদী কবর থেকে উঠে এসে বলতে থাকেন, “অসম্ভব!……জ্যান্ত অবস্থায় কবরের কবরের ভিতর থাকা…(নাকের ফুটো থেকে তুলো বের করে)…একদম অসম্ভব……” পাঠক, ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা আমার মনের অবস্থাটা ভাবুন একবার!
সালমান যেহেতু সিনেমাটির বেশিরভাগ অংশে অনুপস্থিত কাজেই এই মুভিটির প্রাণ ছিল হুমায়ূন ফরিদীর কৌতুক মেশানো খল-চরিত্র । এই মুভিতে সালমানের নায়িকা ছিল শামা, এই সিনেমা দিয়ে তার অভিষেক হয়েছিল । পরবর্তীতে জাহিদ হাসানের সাথে এই শামার একটি সিনেমা হয়েছিল । চলচ্চিত্র অভিষেকের দুই বছরের মাথায় মেয়েটি বখে যায় । ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে রহস্যজনক কারণে মদ্যপ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে শামা । সেই হিসেবে বলা যায়, “শুধু তুমি” সিনেমাটির নায়ক, নায়িকা, ভিলেন, কৌতুক অভিনেতা কেউই বর্তমানে বেঁচে নেই । এ হিসেবে ঢালিউডের একটি অদ্ভুতুড়ে সিনেমার নাম “শুধু তুমি” ।
নায়কের মৃত্যুতে এক অভূতপূর্ব সমস্যায় পড়েন নির্মাতারা । এজন্যই বোধহয় এই সিনেমাতে হুমায়ূন ফরিদীর এত প্রাধান্য । ফরিদীর ডায়লগগুলো মনে রাখার মত ছিল । সিনেমার শেষে হুমায়ূন ফরিদী আত্নহত্যা করার আগে বলে, “সাইজটা বুঝিনাই……আমি চাকলাদার আইজ পর্যন্ত সারেনডার করতে শিখিনাই………আমি সারাজীবন আমার মনের সব ইচ্ছা পূরণ করসি……কিন্তু একটা ইচ্ছার কথা সারাজীবন মুখে বলসি……তা পূরণ হয়নাই……আইজ তা পূরণ হবে……একটা গুলি কইরা নিজের মাথার খুলিটা উড়ায়ে দিমু……”