জজ মির্জা (রজতাভ দত্ত) কৃপণ প্রকৃতির মানুষ। তার পিতা (রহমত আলী) মারা যাওয়ার আগে তাকে তার কিপটেমি কমাতে বলে যান এবং তার পারিবারিক গুপ্ত সম্পত্তির কথা বলেন যা বাড়ির উঠানে পোঁতা আছে। কিন্তু খুঁড়াখুঁড়ি করে নয় তা তুলতে প্রয়োজন একটি মন্ত্র বা পাসওয়ার্ড। জজ সাহেবের বাবা সেই পাসওয়ার্ড বলার মুহূর্তে হাঁচি আসায় তিনি পাসওয়ার্ড বলায় বাধাপ্রাপ্ত হন এবং মারা যাওয়ার পূর্বে পাসওয়ার্ডটি বললেও হাঁচির কারনে জজ সাহেব তা বুঝতে পারেন না। এবার শুরু হয় জজ সাহেবের পাসওয়ার্ড খোঁজার পালা। “আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে” থেকে শুরু করে “পাসওয়ার্ড অমনিবাস” কোন কিছুই বাদ রাখেননি তিনি। Continue reading
ক্যাটাগরী আর্কাইভঃ রিভিউ
বাংলাদেশি রম-কম ‘প্রেমী ও প্রেমী’ : চেষ্টা ও ফলাফল
প্রেমী ও প্রেমী
অভিনয় : আরিফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া, আমজাদ হোসেন, রেবেকা ও আমান রেজা।
পরিচালক : জাকির হোসেন রাজু।
প্রযোজনা ও পরিবেশনা : জাজ মাল্টিমিডিয়া।
গল্প : ছবির গল্প নিয়ে নতুন করে আর কি বলার আছে।জাজের ঘরে শুভর ছবি মানেই কোন না কোন হলিউড মুভি থেকে গল্প আসবে।অগ্নিতে কলাম্বিয়ানা কিংবা নিয়তিতে নোটবুক সাথে হান্ড্রেড ডেজ উইথ মিস্টার এরোগেন্ট (এটা অবশ্য কোরিয়ান) এর এডাপশন দেখেছিলাম। আর এটাতে গল্পকারের নাম আবদুল্লাহ জহির বাবু ওরফে মৌলিক বাবু দেখেই আগে থেকে ধরে নিয়েছিলাম এটা ইনসেপশনের মতো ওনার স্বপ্নে চুরি হয়ে যাওয়া কোন গল্পই হবে। আসলেই তাই। হলিউড মুভি “লিপ ইয়ারের” থিম (!) অনুসরণ করে ছবিটা বানানো।আসলে কতটুকু টুকলে সেটাকে শুধু “থিম কপি” বলে তা আমার জানা নেই। এনিওয়ে,এটা একটা রম-কম ঘরানার গল্প। হলিউড-বলিউডের মুভি যারা রেগুলার দেখেন তাদের কাছে এই গল্পটা টিপিক্যাল মনে হলেও আমার কাছে বাংলাদেশে এই টাইপ গল্পের চর্চার আইডিয়াটা দারুণই লেগেছে। Continue reading
গুড রিমেক ‘প্রেমী ও প্রেমী’
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে জাজ মাল্টিমিডিয়ার এবার পরিবেশনা ছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এবং আরিফিন শুভ ও নুসরাত ফারিয়া অভিনীত ‘প্রেমী ও প্রেমী’ সিনেমাটি। মূলত ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই সিনেমাটি নকলের অভিযোগে দুষ্ট ছিল।
সিনেমার কাহিনী একটি সরল প্রেমের গল্প, যেখানে প্রেমিকা ভালোবাসার মানুষকে নিজের মনের কথা বলার জন্য ৮ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ভালোবাসার মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য কলকাতার পথে রওনা দেয়। এরপর ঘটনাক্রমে আরিফিন শুভর সাথে দেখা হয়, তারপর এগুতে থাকে ঘটনাটি। Continue reading
অজ্ঞাতনামাঃ লাশের গল্পে রাজনৈতিক সিনেমা
তৌকির আহমেদের “অজ্ঞা্তনামা” দেখতে দেখতে আরো দুটো লাশকেন্দ্রিক সিনেমার কথা মনে পড়লো। মোরশেদুল ইসলামের শর্টফিল্ম “চাকা” এবং শ্রীলঙ্কান নির্মাতা প্রশন্ন ভিতানাগে (Prasanna Vithanage)’র Purahanda Kaluwara (Death on a Full Moon Day)।
চাকাকে বাংলাদেশের স্বাধীনধারার চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম পথিকৃৎ ধরা হয় (মোরশেদুল ইসলামের “আগামী”, তানভির মোকাম্মেল এর শর্টফিল্ম “হুলিয়া” এবং তারেক মাসুদের “নরসুন্দর” এর সাথে সাথে)। এটিও একটি নাম পরিচয়হীন (অজ্ঞাতনামা) লাশকে নিয়ে আবর্তিত হয়, যে লাশটি অতি আবশ্যকীয়ভাবেই ধর্ম-জাতের পরিচয়হীন। লাশটিকে তার গ্রামে পৌছানোর দায়িত্বে থাকা মুসলমান গারোয়ানের মধ্যে সেই নাম পরিচয়হীন ও ধর্মের পরিচয়হীন লাশের প্রতি যে মায়া তৈরি হয়, যে শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয় সেটিই চলচ্চিত্রটিকে আলাদা মাত্রা দেয়। সেলিম আল দীনের অসাধারণ একটি রচনা (কথানাট্য) থেকে বানানো এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইল ফলক। এর বদৌলতে আন্তর্জাতিক পরিসরে GRAND PRIX পুরস্কার প্রাপ্তিও একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলতে হবে। Continue reading
গৌতম ঘোষের ‘শঙ্খচিল’ দর্শন
গৌতম ঘোষ পরিচালিত শঙ্খচিল-এর শুরুতে দেখা যায়, বিজিবি কর্মকর্তার সঙ্গে এক সাংবাদিক ভারত-বাংলাদেশের সীমানা নিয়ে ঠাট্টা করছেন। বিএসএফের গুলিতে নিহত কাঁটাতারে ঝুলতে থাকা বাংলাদেশির খবর সংগ্রহে এসেছেন সাংবাদিক। বিএসএফ কর্মকর্তার জবানিতে এ হত্যাকান্ডের কারণ হলো ‘ব্লাডি হিস্ট্রি’, মানে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার ভাগাভাগি। এটাও কি সম্ভব? Continue reading
চোখে ভাসে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্রের কথা বলা হলেই আমাদের মনে যে নামগুলো ভেসে ওঠে- হাঙ্গর নদী গ্রেনেড তার মধ্যে নেই। ওরা ১১ জন, আলোর মিছিল, আগুনের পরশমনি; এ কালজয়ী ছবিগুলোর মাঝে কেন যেন হারিয়ে যায় ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’। তা যাক, কিন্তু কখনও যদি জানতে ইচ্ছে করে সেই মায়ের কথা, যিনি দেশের জন্য সন্তানকে বিসর্জন দিতে পারেন, এ আত্মত্যাগ কতটুকু স্বার্থহীন হতে পারেন তাহলে দেখতে হবে ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’। Continue reading
কতটা রং ছড়িয়ে ছিল ‘মেঘের অনেক রং’
ঢালিউডে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নির্ভর অন্যতম সিনেমা ‘মেঘের অনেক রং’। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি পরিচালনা করেন হারুনর রশীদ। বোদ্ধাদের মন জয় করলেও সাধারণ দর্শকদের মনোযোগ কাড়তে পারেননি ক্লাসিকটি। Continue reading
অজ্ঞাতই থেকে গেল অজ্ঞাতনামা
‘অজ্ঞাতনামা’ ঢাকায় মেইনস্ট্রিম প্রদর্শনীতে খুব বেশী সাড়া ফেলতে পারেনি। অনেক হলে দুই তিন দিন চলার পর নামিয়ে ফেলে। অযুহাত ছিল একই সময়ে আয়নাবাজি মুক্তি পেয়েছিল। কিছু একটা বানিয়ে ফেললেই সিনেমা হয়না। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি বলে একটা পূর্ব ধারণা নিয়ে ছবিটা দেখতে বসেছিলাম। তা হলো কোন অসামঞ্জস্য থাকতে পারে। তবুও তৌকির আহমেদের ছবি বলে আশ্বস্থ ছিলাম -ছবিটি নড়বড়ে হবেনা। ইমপ্রেস তো ইমপ্রেসই। এরা যে ব্যতিক্রম দেখাবেনা তারই প্রমাণ দিল অজ্ঞাতনামায়।
Continue reading