গত দুদিন আগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা ট্রিবিউন’ এ প্রকাশিত (বিএমডিবি-তে পড়ুন) বাংলাদেশের ব্যস্ত কাহিনীকার ও চিত্রনাট্যকার আব্দুল্লাহ জহির বাবু’র একটি চমৎকার সাক্ষাৎকার পড়লাম। যে সাক্ষাৎকারে বাবু ভাই খোলামেলা ভাবেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যার জন্য বাবু ভাইকে স্যালুট ও ধন্যবাদ জানাই। বাবু ভাই সত্য স্বীকার করার সৎ সাহসটা দেখিয়েছেন যা অনেক বড় বড় মানুষের মাঝেও দেখিনি। বাবু ভাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা। Continue reading
লিখেছেনঃ কবি ও কাব্য
আমি ফজলে এলাহী পাপ্পু, কবি ও কাব্য নামে লিখি। স্বর্ণযুগের বাংলাদেশী চলচ্চিত্র এবং বাংলা গানকে এ যুগের সকলের কাছে পৌছে দেয়ার আগ্রহে লিখি।
সালমান ও তাঁর পরিচালকদের গল্পঃ চতুর্থ পর্ব
(প্রথম পর্ব) (দ্বিতীয় পর্ব) (তৃতীয় পর্ব) বেশ কয়েকদিন বিরতির পর প্রিয় বন্ধুদের জন্য নিয়ে এলাম স্মৃতির পটে থাকা প্রিয় সালমান ও তাঁর অভিনীত ছবির গল্প অর্থাৎ সালমানের নিয়ে কাজ করা পরিচালকদের গল্প। আজ তুলে ধরবো সালমানের মৌসুমির অভিনীত ও ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সুপারহিট ‘দেনমোহর‘ ছবির কথা।
দেনমোহর
১৯৯৫ সালের রোজার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্য অন্যতম ছবি ছিল শফি বিক্রম্পুরি পরিচালিত ‘দেনমোহর‘ ছবিটি। যে ছবিতে ৩য়বার পর্দায় আগমন ঘটে জনপ্রিয় সালমান – মৌসুমি জুটি। ঈদের ৩য় দিন ছবিটি সিলেটের ‘মনিকা’ সিনেমা হলে দেখতে বন্ধুরা সহ ভিড় জমাই। যথারীতি চির পরিচিত দৃশ্য । সালমান মৌসুমির ছবি দেখতে সব শ্রেণীর দর্শকদের ভিড়। Continue reading
সালমান ও পরিচালকদের গল্পঃ তৃতীয় পর্ব
(প্রথম পর্ব) (দ্বিতীয় পর্ব) প্রিয় বন্ধুরা আজ নিয়ে এলাম ৯০ দশকের সালমান ও পরিচালকদের গল্পের ৩য় পর্ব। আজ এখানে সালমান-শাবনুর জুটির ছবির সাথে সাথে কিভাবে আরেকটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী জুটির (ওমর সানী–মৌসুমি) জুটির জন্ম হলো তার গল্পটাই আপনাদের শুনাবো। গত পর্বে আপনাদের জানিয়ে ছিলাম সালমান-মৌসুমি জুটির ভাঙ্গনের খবর এবং তাঁর জায়গায় কিভাবে সালমান-শাবনুর জুটির আবির্ভাব হলো। এখন জানবেন সেই সালমান – শাবনুর জুটির বিপরীতে কিভাবে আরেকটি জুটি পরিচালকরা তৈরি করে ফেললেন তাঁর গল্প। তাহলে আসুন শুরু করি। Continue reading
সালমান ও তাঁর পরিচালকদের গল্পঃ দ্বিতীয় পর্ব
(প্রথম পর্ব) প্রিয় বন্ধুরা আজ আপনাদের জানাবো ৯০ দশকের বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ এর দুটি ছবির পরিচালকদের গল্প।
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত‘ ও ‘অন্তরে অন্তরে‘ ছায়াছবি দুটি সুপারহিট হওয়ার সুবাদে সালমান- মৌসুমি জুটির চাহিদা আকাশতুঙ্গে। ঠিক এমন সময়ই কি এক অজানা কারনে সালমান – মৌসুমি আর জুটি বাঁধতে রাজী হননি। তাঁরা দুজনেই নিজেদের চেনাতে সিদ্ধান্ত নিলেন যে আর একসঙ্গে কোন ছবিতে অভিনয় করবেন না যা পরবর্তীতে মাত্র আরও ২ টি ছবি ছাড়া দুজনের দেখা একসঙ্গে দর্শকরা পায়নি। ফলে পরিচালকগন বেশ বিপাকে পড়ে যান, কারন ঐ সময় মৌসুমি ছাড়া প্রতিষ্ঠিত সব অভিনেত্রীই ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে সালমানের সিনিয়র যারা তখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। বিশেষ করে চম্পা ও দিতি। এদের সাথে জুটি করেও লাভ হবেনা। সালমান হয়ে পড়েন মৌসুমি বিহীন একা। Continue reading
সালমান ও তাঁর পরিচালকদের গল্পঃ প্রথম পর্ব
১৯৯৩ সালে নতুন মুখের সন্ধানের সেরা প্রাপ্তি ছিল ‘চৌধুরী সালমান শাহরিয়ার ইমন’ যাকে সবাই ‘সালমান শাহ‘ নামে আমরা চিনি। আজ থেকে শুরু করলাম আরও একটি সিরিজ যেখানে ‘সালমান শাহ‘ এর অভিনীত ছবির পরিচালকদের কথা তুলে ধরা হবে অর্থাৎ সালমান তাঁর চলচ্চিত্র জীবনে কোন কোন পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন সে ব্যপারে পাঠকদের একটা ধারনা দেয়া হবে যা পরবর্তীতে সেই সময়ের তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর সানীর পরিচালকদের কথাও আগামীতে জানানো হবে। এতে পাঠকদের একটা অন্যরকম প্রতিযোগিতার স্বাদ দেয়া হবে যাতে সহজেই বুঝা যাবে যে কে বেশী পরিচালকদের ভরসা ছিল। Continue reading
দেওয়ান নজরুলের বক্স অফিস কাঁপানো ‘আসামী হাজির’ এর পেছনের গল্প
দেওয়ান নজরুল নামের আমাদের মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির একজন পরিচালক ছিলেন যাকে ‘ডায়নামিক ডিরেক্টর’ বলা হতো, যার পরিচালিত বক্সঅফিস কাঁপানো বেশকিছু চলচ্চিত্র ছিল। কেন দেওয়ান নজরুল’কে ‘ডায়নামিক ডিরেক্টর’ বলা হতো সেই কারণটা আজ আপনাদের বলবো। প্রথমেই পত্রিকার একটি বিজ্ঞাপনের অংশ দেখিয়ে ‘আসামী হাজির’ নামের বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ওয়েস্টার্ন প্যাটার্নের ছবির সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। তারপর আপনাদের সেই ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। জেনে নিন মান্ধাতার আমলে কি পরিমাণ শ্রম, মেধা ও আন্তরিকতা দিয়ে বাংলাদেশের সাধারন দর্শকদের হলিউদের ওয়েস্টার্ন প্যাটার্নের ছবি আমাদের গুনি মানুষগুলো উপহার দিয়েছিল সেই তথ্য। Continue reading
ঈদের তিন ছবিঃ পরিপূর্ণ মন ভরাতে পারেনি একটিও
ঈদের তিনটি ছবি দেখে যা বুঝলাম তা হলো গল্প, গান, লোকেশনের দিক থেকে ইমনের পদ্ম পাতার জল ছবিটি আমার কাছে এগিয়ে, শাকিব খানের লাভ ম্যারেজ ছবিটি বিনোদনের দিক থেকে এগিয়ে বা পরিপূর্ণ বিনোদনধর্মী ছবি আর মাহির অগ্নি ২ টেকনিক্যাল দিক থেকে এগিয়ে। সবগুলো ছবিতে ভুল আছে অনেক, যে ভুলগুলো না থাকলে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা ভেবে শান্তি বা সান্ত্বনা পেতাম কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে সান্ত্বনার চেয়ে দুশ্চিন্তা বা শঙ্কাটা বেশি। একটি ছবিও পরিপূর্ণ ভাবে মন ভরাতে পারেনি। Continue reading
বাংলা চলচ্চিত্রে গরু!
স্কুল জীবনে বাংলা ও ইংরেজি ২য় পত্রে ”গরু / The Cow” রচনা /Essay লিখে নাই/পড়ে নাই এমন ছাত্রছাত্রী পাওয়া যাবে না। আমাদের রচনা লিখার হাতেখড়ি যে ২/৪ টি বিষয়ের উপর হতো তার মধ্যে গরুর রচনা ছিল আবশ্যক পঠিত। গরুর রচনা লিখতে গিয়ে আমার গরুর ”উপকারিতা /Usefulness” প্যারা লিখেছি। সেখানে গরুর দুধ থেকে চামড়া, হাড়, শিং কোন কিছুই বাদ যেতো না যা গরুকে আমাদের কাছে করেছিল মহান এক প্রাণী। কিন্তু সেই উপকারিতার অংশে আমরা কোনদিন গরুর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়কে উল্লেখ করিনি যা আমাদের গরু রচনাকে করে অসম্পূর্ণ। গরু শুধু দুধ দেয়, গরুর চামড়া দিয়ে জুতা ,ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় বস্তু তৈরি হয়, গরু আমাদের শিল্প সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছে। গরু আমাদের গান ও চলচ্চিত্রতে রেখেছে অবদান যা আমরা কোনদিনই প্রকাশ করিনা বা অনেকেই জানে না বিষয়টা। Continue reading
আহমেদ জামান চৌধুরীঃ সোনালি যুগের সোনালি মানুষ
বিশ্ব চলচ্চিত্র নিয়ে বিরাট জ্ঞান রাখা এই যুগের বাংলা সিনেমাবোদ্ধাদের যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘পিচ ঢালা পথ’ ছবিটি দেখেছেন?’ উত্তরে শুনবেন ”হ্যাঁ দেখেছি। দারুন ছবি”। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করেন ‘পিচ ঢালা পথ’ ছবিটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য কে লিখেছেন? তখন দেখবেন ঐ বোদ্ধারা আমতা আমতা করছেন। কারন উনারা বিদেশি নিয়ে যত জ্ঞান রাখেন দেশের বেলায় তা ২০ ভাগও নেই। আর এই অবহেলা, অসম্মান নিয়েই আমাদের অনেক গুণীরা নীরবে চলে যান। এই দেশে আর নতুন কোন গুণীর জন্ম হয়না। Continue reading
বাংলা চলচ্চিত্রের একজন মান্নার গল্প
এস এম আসলাম তালুকদার মান্না আমাদের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ১৯৮৪ সালে এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যিনি আগমন করেন। তাঁর প্রথম অভিনীত ছবির নাম তওবা কিন্তু প্রথম মুক্তি পায় পাগলি ছবিটি। সেই নতুন মুখের সন্ধানে মান্নার সাথে আরও এসেছিলেন খালেদা আক্তার কল্পনা, নায়ক সুব্রত, নায়ক সোহেল চৌধুরী, নিপা মোনালিসা যারা মান্নার জীবিত অবস্থায় হারিয়ে গিয়েছিলেন। Continue reading