অশোক ঘোষ

অশোক ঘোষ একজন প্রযোজক ও পরিচালক। জহির রায়হানের অনুপ্রেরণায় তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নাচের পুতুল’। এরপর তিনি ‘প্রিয়তমা’, ‘মাস্তান’, ‘মতিমহল’, ‘তুফান’, ‘বাদল’, ‘নবাবজাদী’, ‘টক্কর’, ‘হিম্মতওয়ালী’, ‘নিশানা’, ‘নওজোয়ান’, ‘আমার সংসার’, ‘জুলি’, ‘শাদী মোবারক’, ‘কালু গুন্ডা’, ‘বাঘা আকবর’ প্রভৃতি ছবি নির্মাণ করেন।

তার জন্ম ঢাকায়। সঙ্গীত পরিচালক রবীন ঘোষ তার ভাই এবং অভিনেত্রী শবনম তার ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি ২০০২ সালের ১০ ডিসেম্বর ইহলোক ত্যাগ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি চিরকুমার ছিলেন।

আখতার হোসেন

আখতার হোসেন একজন অভিনেতা। তিনি মঞ্চনাটক থেকে চচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘তোমার আমার’। এরপর তিনি ‘কাগজের নৌকা’, ‘গুনাই বিবি’, ‘মহুয়া’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘অপরিচিতা’, ‘গাজী কালু চম্পাবতী’, ‘ভানুমতি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘দি ফাদার’, ‘মাটির ঘর’, ‘এতিম’, ‘জীবন মৃত্যু’, ‘সুখের সংসার’, ‘বাঁধন হারা’, ‘মাটির পুতুল’, ‘কুদরত’, ‘উজান ভাটি’, ‘লাল কাজল’, ‘অভিযান’, ‘নয়নের আলো’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

তার জন্ম ১৯৩৩ সালের ২৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জে। তিনি ১৯৯৮ সালের ৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

রবীন ঘোষ

রবীন ঘোষ একজন বরেণ্য বাঙালি সুরকার ও সংগীত পরিচালক।

তৌহিদ হোসেন চৌধুরী

তৌহিদ হোসেন চৌধুরী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র সম্পাদক। তিনি ২০১৪ সালের ‘দেশা: দ্য লিডার’ ছবির সম্পাদনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া তিনি ‘পাসওয়ার্ড’ ছবির সম্পাদনার জন্য ভারত-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

তৌহিদ চলচ্চিত্র সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মন্টুর সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তিনি মন্টুর সহকারী হিসেবে ‘মহা ভূমিকম্প‘ ও ‘চিরশত্রু‘ ছবিতে এবং প্রধান সহকারী হিসেবে ‘এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে‘ ছবিতে কাজ করেছেন।

তার সম্পাদিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’। তার সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ‘বিগ বস’, ‘টপ সম্রাট’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘দুই নয়নের আলো’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালবাসা’, ‘ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ‘ভালোবাসার রঙ’, ‘পোড়ামন’, ‘পাসওয়ার্ড’ প্রভৃতি।

তৌহিদের জন্ম ১৯৭৭ সালের ১৯ আগস্ট টাঙ্গাইলের থানাপাড়াতে। তিনি সাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পরিচালক মুক্তা চৌধুরী তার বাবা।

তপন আহমেদ

তপন আহমেদ একজন চিত্রগ্রাহক। তিনি চিত্রগ্রাহক আবু হেনা বাবলুর সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তিনি ‘আশিক প্রিয়া‘, ‘রক্ত নিশান‘ ও ‘জীবন দিয়ে ভালবাসি‘ ছবিতে বাবলুর প্রধান সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন।

চিত্রগ্রাহক হিসেবে তার উল্লেখযোগ্য কাজ হল ‘সেই তুমি অনামিকা’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’, ‘অনেক সাধনার পরে’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী ২’।

ছটকু আহমেদ

ছটকু আহমেদের পরিচয় একাধিক – তিনি একজন পরিচালক, একজন প্রযোজক, একজন কাহিনীকার এবং একজন চিত্রনাট্যকার। তবে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন কাহিনীকার হিসেবে।  বিখ্যাত পরিচালক ঋত্বিক ঘটক, ফখরুল হাসান বৈরাগী, জহিরুল হক ও এ জে মিন্টুর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। ‘নাত বউ’ নামের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি পরিচালনায় আসেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত ছটকু আহমেদ একজন ডিপ্লোমা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তার আরেকটি  গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় হল – তিনি একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ। পূর্ব পাকিস্তান টেবিল টেনিস এ তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।

ইস্পাহানী

এম এন ইস্পাহানী (M N Ispahani) একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক। আরিফ জাহানের সাথে যৌথভাবে প্রযোজনা পরিচালনা করেন বলে এই যুগলকে ইস্পাহানী আরিফ জাহান নামে এক ব্যক্তি হিসেবে ভুল করে বেশীরভাগ মানুষ।

পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সহকারী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন ইস্পাহানী। বলা যায়, ঝন্টুই এই যুগল পরিচালককে হাতে গড়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে ‘বিদ্রোহী বধূ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ইস্পাহানী এবং আরিফ জাহান চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। বেশ কিছু হিট চলচ্চিত্র নির্মান করার পর এই যুগল চলচ্চিত্র প্রযোজনা শুরু করেন। তাদের প্রযোজনা সংস্থার নাম দিগন্ত চলচ্চিত্র।

সাফি উদ্দিন সাফি-ইকবাল এবং শাহিন-সুমন চলচ্চিত্র পরিচালক জুটি এই জুটির সহযোগিতায় চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

ফেসবুক প্রোফাইল: M N Ispahani