এটিএম শামসুজ্জামানের (ATM Shamsuzzaman) পরিচয় একাধিক। তিনি একজন কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা। সহকারী পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করে লেখক হিসেবে সুনাম অর্জন শেষে অভিনয়ে থিতু হন এটিএম শামসুজ্জামান, চলচ্চিত্র নির্মান কাজেও নিজেকে যুক্ত করেছেন বছর কয়েক আগে। Continue reading
News Category:
ফারুক
বাংলা চলচ্চিত্রে গ্রামীন চরিত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক মিয়াভাই নামে পরিচিত অভিনেতার নাম ফারুক (Faruk)। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন ফারুক। উল্লেখ্য, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মত চিত্রনাট্য লিখেন। Continue reading
কবরী
বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে খ্যাত কবরী সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং‘ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। পরবর্তীকালে তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রে মূল নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন। ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিক থেকে চিত্রনায়ক রাজ্জাকের সাথে তার জুটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই জুটি ‘আবির্ভাব‘, ও ‘বাঁশরী‘ (১৯৬৮); ‘ময়নামতি‘, ও ‘নীল আকাশের নীচে‘ (১৯৬৯); ‘যে আগুনে পুড়ি‘, ‘ক খ গ ঘ ঙ‘, ‘কাঁচ কাটা হীরে‘, ও ‘দীপ নেভে নাই‘ (১৯৭০); ‘স্মৃতিটুকু থাক‘ (১৯৭১); ‘রংবাজ‘ (১৯৭৩); ‘গুন্ডা‘ (১৯৭৬) সহ অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দেয়।
তিনি জহির রায়হানের তৈরি উর্দু ছবি ‘বাহানা’ এবং ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতেও অভিনয় করেন৷ অন্যান্য চিত্রনায়কদের বিপরীতে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল আজিমের সাথে লোককাহিনিধর্মী ‘সাত ভাই চম্পা‘, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা‘ (১৯৬৮), ও ‘পারুলের সংসার‘ (১৯৬৯); উজ্জ্বলের সাথে ‘বিনিময়‘ (১৯৭০), ও ‘বলাকা মন‘ (১৯৭৩); ফারুকের বিপরীতে ‘সুজন সখী‘ (১৯৭৫)।
১৯৭৮ সালে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ‘ ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া ২০১৩ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
কবরীর জন্ম ১৯৫২ সালের ১৯ জুলাই চট্রগ্রামে। তার প্রকৃত নাম মীনা পাল। পিতা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল এবং মা শ্রীমতী লাবণ্যপ্রভা পাল। তিনি ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
নূতন
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। শৈশবে গান দিয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হলেও পরবর্তীতে নৃত্য এবং মঞ্চ অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন নূতন। প্রথম ছবিতেই তিনি সফলতা লাভ করেন। ১৯৭০ সালে তার প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তি পায় এবং তিনি এখনো অভিনয় করে যাচ্ছেন। নূতনের আরেকটি পরিচয় হল তিনি একজন সফল চলচ্চিত্র প্রযোজক। Continue reading
রাজ্জাক
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে নায়করাজ হিসেবে পরিচিত রাজ্জাক (Razzak) একাধারে একজন অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে ভূমিকা পালন করেছেন। Continue reading
অমিত হাসান
১৯৮৬ সালে এফডিসি আয়োজিত ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ থেকে নির্বাচিত হয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আসেন অমিত হাসান। ১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। তখন তিনি সাইফুর নামে চলচ্চিত্রে কাজ করতেন। ‘অমর সঙ্গী’ ছবিতে তিনি নাম পরিবর্তন করে অমিত হাসান হয়ে যান।
একক নায়ক হিসেবে মনোয়ার খোকনের ‘জ্যোতি’ ছবি দিয়ে শুরু হয় তার সফলতা। এরপর তিনি ধীরে ধীরে শাবনূর, মৌসুমী, শাবনাজ-সহ তৎকালীন শীর্ষ নায়িকাদের বিপরীতে কাজ করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ‘প্রেমের অহংকার’, ‘প্রেমের সমাধি’, ‘ভালোবাসার ঘর’, ‘বাবা কেন চাকর’ প্রভৃতি।
২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রং’ ছবির মাধ্যমে তিনি খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি খলনায়ক চরিত্রেই বেশী অভিনয় করছেন।
অমিত হাসানের জন্ম ১৯৬৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল সদরে। তার আসল নাম খন্দকার সাইফুর রহমান (আজু)।
মাহিয়া মাহি
২০১২ সালে ভালবাসার রং চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে মাহিয়া মাহি (Mahiya Mahi) বাংলা চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। ‘ভালোবাসার রং’ এবং ‘অন্যরকম ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে আলোচনায় আসেন মাহি। তারপরে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক ছবিতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বিএমডিবি-তে মাহিয়া মাহি’র সকল সংবাদ পড়ুন এখানে এবং এখানে
‘অগ্নি’ ও এর সিক্যুয়াল ‘অগ্নি ২’ দিয়ে তিনি লেডি অ্যাকশন অবতারে আবির্ভূত হন। ছবি দুটি ব্যবসাসফল হয়। এছাড়া পুলিশ ক্রাইম থ্রিলার ‘ঢাকা অ্যাটাক’ তার আরেকটি ব্যবসাসফল ছবি।
মাহি বর্তমানে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন। তার ফেসবুক ফ্যান গ্রুপ ‘মাহিয়া মাহি দ্য প্রিন্সেস অব ঢালিউড’ তাকে নিয়ে বই প্রকাশ করেছেন, বইটির শিরোনাম ‘মাহি দ্য প্রিন্সেস’।
অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ: Mahia Mahi
বাপ্পি চৌধুরী
নারায়নগঞ্জের ছেলে বাপ্পি চলচ্চিত্র জগতে তার পথচলা শুরু করে ‘ভালোবাসার রঙ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। প্রথম দুটি চলচ্চিত্র জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে হলেও পরবর্তীতে অন্য প্রযোজনা সংস্থার সাথেও ছবি করেছেন তিনি। প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তির আগেই প্রায় ৯টি ছবির ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবরে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন বাপ্পি।
বাপ্পি চৌধুরীর জন্মদিন ৬ ডিসেম্বর।
ওয়াজেদ আলী সুমন
ওয়াজেদ আলী সুমন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি জাকির হোসেন রাজুর সহকারী পরিচালক হিসেবে ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’ ছবিতে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ‘মিলন হবে কত দিনে’ ও ‘নসিমন’ ছবিতে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি শাহীনের সাথে যৌথভাবে শাহীন সুমন নামে চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। এই যুগলের পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘গডফাদার’।
সুমনের জন্ম ১৯৬৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলার পুটিয়া থানায়। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ।
শাহীন
ওয়াজেদ আলী সুমনের সাথে জুটি বেঁধে শাহীন সুমন নামে চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন শাহীন। আবিদ হাসান বাদলের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করা শাহীনের প্রথম পরিচালিত ছবি গডফাদার।