শাবনূর

পরিচালক এহতেশাম এর হাত ধরে ‘চাঁদনি রাতে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু করেন শাবনূর (Shabnur). প্রায় একই সময়ে যাত্রা শুরু করা সালমান শাহ‘র সাথে জুটিবন্ধ হয়ে একের পর এক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দেন শাবনূর। সালমান শাহ’র মৃত্যুর পরেও তার সেই অগ্রযাত্রা বন্ধ হয় নি। মান্নারিয়াজ, শাকিল, ফেরদৌস সহ বিভিন্ন নায়কের সাথে জুটি বেধে সফল ছবি উপহার দিয়েছেন শাবনূর। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, তিনবার বাচসাস পুরস্কার এবং রেকর্ড সংখ্যক ১০বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার জয় করেছেন।  Continue reading

রোজিনা

আশি ও নব্বই দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম রোজিনা। টানা চোখের অপরূপ সুন্দরী এই নায়িকার পর্দায় উপস্থিতি মানেই মিষ্টি হাসিতে দর্শকের মন ভুলানো অভিনয়। চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নিয়ে বর্তমানে লন্ডনপ্রবাসী এই জনপ্রিয় নায়িকা। বছরান্তে দেশে ফিরে ছোট খাটো শ্যুটিং এ অংশ নিলেও চলচ্চিত্রে কাজ করেন না গুণী এই অভিনেত্রী। Continue reading

সুচরিতা

সুচরিতা শিশু শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে আসেন। তার আসল নাম বেবী হেলেন। শিশু শিল্পী হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বাবলু’। প্রধান নায়িকা হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র ‘স্বীকৃতি’। এরপর তিনি ‘ডাকু মনসুর’, ‘আপনজন’, ‘মাস্তান’, তাল বেতাল’, ‘সমাধি’, ‘জানোয়ার’, ‘আলোর পথে’, ‘রঙ বেরং’, ‘স্মাগলার’, ‘গরমিল’, ‘মাটির মায়া’, ‘যাদুর বাঁশি’, ‘আসামী’, ‘মহেশ খালীর বাঁকে’, ‘কার পাপে’, ‘তুফান’, ‘নদের চাঁদ’, ‘ঘর সংসার’, ‘রাজকুমারী চন্দ্রবান’, ‘রূপের রানী চোরের রাজা’, ‘দি ফাদার’, ‘নাগরদোলা’, ‘কথা দিলাম’, ‘ছক্কা পাঞ্জা’, ‘লাল সবুজের পালা’, ‘সোনার তরী’, ‘কুদরত’, ‘বাঁধনহারা’, ‘ওস্তাদ সাগরেদ’, ‘দেনা পাওনা’, ‘কলমীলতা’, ‘জীবন নৌকা’, ‘মেঘ বিজলী বাদল’, ‘ফেরারী বসন্ত’, ‘আঁখি মিলন’, ‘মায়ের আঁচল’, ‘হাসনা হেনা’ প্রভৃতি।

তার স্বামী প্রযোজক ও প্রদর্শক কে এম আর মঞ্জুর। অভিনেত্রী বেবী রিটা তার বোন।

জসিম

জসিমের পরিচয় (Jasim) একাধিক। তিনি একজন অভিনেতা, একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং একজন মারপিট পরিচালক। বাংলাদেশী অ্যাকশন সিনেমাকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পেছনে জসিমের অবদান অনস্বীকার্য।

জসিম চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে। এই ছবিতে জসিম চলচ্চিত্র পরিচালকদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হলেও মূল পরিচিতি পান দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘দোস্ত দুশমন’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের অভিনয় করে। ছবিটি অমিতাভ বচ্চন, আমজাদ খান অভিনীত হিন্দী সিনেমা ‘শোলে’র রিমেক। জসিম অভিনয় করেন আমজাদ খানের অভিনীত চরিত্রে। বলা হয়, এই চরিত্রটি করার জন্য জসিম প্রায় বিশ বার শোলে চলচ্চিত্রটি দেখেছিলেন। তার অভিনয় দেখে গব্বর সিং চরিত্রে রূপদানকারী আমজাদ খান প্রশংসা করেছিলেন বলে শোনা যায়। Continue reading

ওয়াসিম

ফোক ফ্যান্টাসি আর অ্যাকশন ধারার ছবির অপ্রতিদ্বন্দ্বী ড্যাশিং হিরো ওয়াসিম। বর্তমানে চলচ্চিত্র থেকে দূরে অবস্থান করলেও চলচ্চিত্রের দর্শকমাত্রই তাকে এক নামে চিনেন। নতুন কোন ছবিতে অভিনয় না করলেও তার অভিনীত ছবি এখনো দর্শককে মুগ্ধ করে মন্ত্রের মত – ড্যাশিং হিরো হতে উৎসাহিত করে। একসময় এই হিরোর নামেই সিনেমাহল উপচে পড়ত, বক্স অফিস পরিপূর্ণ হয়ে উঠত। শতাধিক ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে কিংবদন্তী অভিনেতার সারিতে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন অভিনেতা ওয়াসিম। Continue reading

সোহেল রানা

সোহেল রানা একজন অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি নিয়েছেন পড়াশোনায়। এর পর করেছেন এলএলবি। ‘ওরা ১১ জন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। অভিনীত এবং পরিচালিত প্রথম ছবি ‘মাসুদ রানা’।

সোহেল রানা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম পারভেজ ফিল্মস।

সোহেল রানার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়। তার আসল নাম মাসুদ পারভেজ। তার পৈত্রিক নিবাস বরিশাল জেলায়। তার ছোট ভাই মাসুম পারভেজ রুবেলও একজন অভিনেতা।

ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। যুদ্ধের পর তিনি চলচ্চিত্রে যুক্ত হন। ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যপদ গ্রহণ করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্বাচন বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

১৯৯০ সালে তিনি ডা. জিনাত পারভেজকে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র সন্তান পুত্র মাশরুর পারভেজ জীবরান, যিনি ইউল রাইয়ান নামে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

গোলাম মুস্তাফা

গোলাম মুস্তাফা একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ও আবৃত্তিকার। মঞ্চে, বেতারে, টিভিতে সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৬০ সালে ‘রাজধানীর বুকে’ ছবিতে জমিদারের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন। প্রথম ছবি থেকেই তিনি নানা চরিত্রের শক্তিমান অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। টেলিভিশনেও ছিল তাঁর দাপুটে পদচারণ। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ও একাধিক বাচসাস পুরস্কার এবং একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।

তার জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ মার্চ বরিশালের নলছিটির দপদপিয়া গ্রামে। গোলাম মুস্তাফার স্ত্রী অভিনেত্রী হোসনে আরা। তাদের দুই মেয়ে – অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ও ক্যামেলিয়া মুস্তাফা। তার জামাতা হুমায়ুন ফরীদিও কিংবদন্তি অভিনেতা। ২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

খলিল

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে খলিল (Khalil) শক্তিশালী অভিনেতা হিসেবে সুপরিচিত।  ১৯৬২ সালে ‘সোনার কাজল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। এর আগে তিনি মঞ্চে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মঞ্চ ও টিভি নাটকে অভিনয় করে তিনি সুপরিচিত। Continue reading

সুজাতা

সুজাতা (Sujata) ফোক সম্রাজ্ঞী হিসেবে খ্যাত কারণ তিনি প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যার মধ্যে পঞ্চাশটিরও বেশী ফোক ঘরানার চলচ্চিত্র। সুজাতা একজন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং পরিচালক। Continue reading

সুমিতা দেবী

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ‘ফার্স্ট লেডি’ হিসেবে খ্যাত অভিনেত্রী সুমিতা দেবী। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি বেতার, টেলিভিশন এবং মঞ্চ নাটকেও সমান তালে অভিনয় করেছেন। Continue reading