আলেকজান্ডার বো

আলেকজান্ডার বো (Alekzandar Bo) বাংলাদেশী অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা। ১৯৯৫ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লম্পট’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে তার যাত্রা শুরু হয়। Continue reading

আজাদী হাসানাত ফিরোজ

আজাদী হাসানাত ফিরোজ একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি পরিচালক দারাশিকো ও জহিরুল হকের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর সিদ্দিক জামাল নান্টুর সহকারী হিসেবে ‘রক্ত নিশান‘ এবং মতিন রহমানের সহকারী হিসেবে ‘চাঁদ কুমারী চাষার ছেলে‘ ও ‘আগুন জ্বলে‘ ছবিতে কাজ করেন।

তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কাজের মেয়ে’। এরপর তিনি ‘বউ শাশুড়ীর যুদ্ধ’, ‘ফুলের মত বউ’, ‘রঙিন রসের বাইদানী’, ‘ঘরের লক্ষ্মী’, ‘গ্রাম গঞ্জের পিরিতি’, ‘স্বামী নিয়ে যুদ্ধ’, ‘তুমি আমার মনের মানুষ’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

তার জন্ম ১৯৬৬ সালের ১ নভেম্বর পাবনার হাঙরাগাড়িতে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা আইএ।

আফজাল শরীফ

কমেডি অভিনেতা আফজাল শরীফ (Afzal Sharif) মঞ্চ থেকে পরবর্তীতে টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে আসেন। ১৯৮৪/৮৫ সালে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। Continue reading

আফজাল হোসেন

জনপ্রিয় অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন (Afzal Hossain) কে বাংলাদেশের মানুষ মাত্রই এক নামে চিনে। বহুপ্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি একাধারে একজন অভিনেতা, কবি, লেখক, চিত্রশিল্পী, নির্মাতা এবং বিজ্ঞাপন শিল্পের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। মঞ্চ থেকে শুরু করে টেলিভিশন এবং পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন এই গুণী ব্যক্তি, তবে শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছেন বিজ্ঞাপন শিল্পে। Continue reading

আনোয়ার পারভেজ

আনোয়ার পারভেজ একজন প্রখ্যাত সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। সত্তরের দশকে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে। তার সঙ্গীত পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র ‘কার পাপে’। এরপর তিনি ‘রূপের রানী চোরের রাজা’, ‘সোনার হরিণ’, ‘জোকার’, ‘বেদ্বীন’, ‘লুটেরা’, ‘মোকাবেলা’, ‘ডার্লিং’, ‘সোহাগ মিলন’, ‘মধুমালতী’, ‘মানসী’, ‘বদনাম’, ‘ঘরের বউ’, ‘স্বামীর ঘর’, ‘অভিমান’, ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘ঘরে বাইরে’, ‘তালাক’, ‘সুখ দুখের সাথী’, ‘মাটির কোলে’, ‘হিমালয়ের বুকে’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন।

তার সুরারোপিত কয়েকটি জনপ্রিয় গান হল “সে যে কেন এলো না”, “আমি তো আজ ভুলে গেছি সবই”, “ইশারায় শিষ দিয়ে”, “আমি তো বন্ধু মাতাল নই”, “হয় যদি বদনাম হোক” প্রভৃতি। তার সুরারোপিত “জয় বাংলা বাংলার জয়”, “একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়” ও “একতারা দুই দেশের কথা বলরে” গানগুলো বিবিসির শ্রোতা জরিপে সেরা ২০ গানে অন্তর্ভুক্ত হয়।

তার জন্ম ১৯৪২ সালে ঢাকায়। তিনি অভিনেতা ও গায়ক জাফর ইকবাল এবং গায়িকা শাহনাজ রহমতউল্লাহর বড় ভাই। অভিনেত্রী জেসমিন পারভেজ তার স্ত্রী। তিনি ২০০৬ সালের ১৬ জুন মৃত্যুবরণ করেন।

আনোয়ারা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও সফল পার্শ্ব অভিনেত্রী আনোয়ারা।  আনোয়ারা নৃত্যশিল্পী থেকে চরিত্রাভিনেত্রী হয়েছেন। ১৪-১৫ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। আনোয়ারা অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘আযান’। নায়িকা হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৬৭ সালে সৈয়দ আউয়াল ও শিবলী সাদিক পরিচালিত উর্দু ভাষার ছবি ‘বালা’। অভিনেত্রী হিসেবে আনোয়ারার টার্নিং পয়েন্ট একই বছর মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। ওই ছবিতে আলেয়া চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে তিনি সর্বস্তরের দর্শকের প্রশংসা কুড়ান। অভিনয়ের জন্য তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

আনোয়ারার জন্ম ১৯৪৮ সালের ১ জুন কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। তার পূর্ণনাম আনোয়ারা জামাল। তার বাবা জামাল উদ্দিন, মা ফরিদুন্নেসা। স্বামী মহিতুল ইসলাম। এক মেয়ে মুক্তি আর নাতনি কারিমা ইসলাম দরদী।

আজিম

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রথম দিকের ফোক-ফ্যান্টাসি ও রোম্যান্টিক ছবির নায়কদের মধ্যে অন্যতম আজিম (Azim)। তার পুরো নাম নূরুল আজিম খালেদ রউফ।

প্রখ্যাত পরিচালক এহতেশামের ‘রাজধানীর বুকে’ ছবি দিয়ে তিনি চলচ্চিত্রে আগমন করেন। পরে তিনি ‘হারানো দিন’, ‘নতুন সুর’, ‘মেঘ ভাঙ্গা রোদ’, ‘ডাক বাবু’ এবং ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ ছবিতে অভিনয় করেন। এই সময়ে তিনি ফোক-ফ্যান্টাসি ধারার ‘সাইফুল মুল্‌ক্‌ বদিউজ্জামাল’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘রূপবানের রূপকথা’, ‘পাতালপুরীর রাজকন্যা’, ‘নাগিনীর প্রেম’ এবং ‘আমির সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী’ ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

পরবর্তী কালে তিনি প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবেও নাম লেখান। আজিম পরিচালিত ছবির মধ্যে রয়েছে ‘টাকার খেলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘জীবন মরণ’, ‘বদলা’, ‘গাদ্দার’, ‘দেবর ভাবি’।

আজিমের জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৩ জুলাই সিলেটের হবিগঞ্জে। ১৯৬৭ সালের ৩০ জুন তিনি অভিনেত্রী সুজাতাকে বিয়ে করেন। তিনি ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ ইন্তেকাল করেন।

আজিজ রেজা

চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দায় শিল্পীরা গানের ছন্দে তাল মিলিয়ে নাচেন, সেই নাচ দেখে দর্শক মুগ্ধ হয়। শিল্পীদের নিপুণভাবে নাচতে যিনি সাহায্য করেন তিনি নৃত্য পরিচালক। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিন ধরে নৃত্য পরিচালনা করে সুনাম-স্বীকৃতি অর্জন করেছেন এমন একজন আজিজ রেজা। এক হাজারের বেশী চলচ্চিত্রের নৃত্য পরিচালনা করেছেন গুণী এই ব্যক্তি। তার হাত ধরে চলচ্চিত্রে পদার্পন করেছে কিং খান খ্যাত চিত্রনায়ক শাকিব খানের মত অভিনেতারা। Continue reading

আজিজুর রহমান বুলি

আজিজুর রহমান বুলি ১৯৭১ সালে ‘নাচের পুতুল’ ছবির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। শেষ উত্তর ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। তিনি প্রায় ৫০টি ছবি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। আজিজুর রহমান বুলিকে আমেরিকার মরেনভেলি শহরের বাংলাদেশী আমেরিকান ক্যালিফোর্নিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে বিএসসিএস আজীবন সম্মাননা ২০১৪ প্রদান করা হয়।

আজিজুর রহমান

দেশের চলচ্চিত্র জগতের একজন খ্যাতিমান চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে আজিজুর রহমান দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৬০টিরও বেশি ছবি পরিচালনা করে বাংলা চলচ্চিত্রের জননন্দিত সফল চিত্র পরিচালক হিসেবে এ উপমহাদেশে স্থান করে নেন। চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি এ পর্যন্ত তিনি ১০টির মত ছবি নিজে প্রযোজনা করেছেন।

১৯৩৯ সালে তিনি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরের কলসা সাঁতাহার মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম রুপচাঁন প্রামানিক। তিনি স্থানীয় আহসানুল্লাহ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পাস ও ঢাকা সিটি নাইট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর চারুকলা আর্ট ইনস্টিটিউটে কমার্সিয়াল আর্টে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৫৮ সালে খ্যাতিমান পরিচালক এতেহশামের সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৬৭ সালে ময়মনসিংহ লোকাগাঁথা কাহিনী নিয়ে সাইফুল মুল্‌ক্‌ বদিউজ্জামাল 0নামে প্রথম ছবি পরিচালনা করেন।

এ পর্যন্ত তিনি অর্ধশতাধিক ছবি পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালনা ছবিগুলো হলো সমাধান, স্বীকৃতি, গরমিল, অপরাধ, অগ্নিশিখা, লাল কাজল, দিল, অশিক্ষিত, মাটির ঘর, জনতা এক্সেপ্রস, ছুটির ঘন্টা, ও ঘরে ঘরে যুদ্ধ। তার পরিচালিত ছবির মধ্যে অশিক্ষিত, ছুটির ঘন্টা, লাল কাজল ও মাটির ঘর ছবি ব্যাপক ব্যবসাসফল ছবি হিসাবে বিবেচিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য তিনটি ছবি অশিক্ষিত, ছুটির ঘন্টা মস্কোতে, জনতা এক্সেপ্রস তাসখন্দে এবং ছুটির ঘন্টা রুমানিয়াতে প্রদর্শিত হয়। বাংলা ছবির পরিচালনার পাশাপাশি চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমান মেরে আরমান মেরে স্বপ্নে, সাত সেহেলী, বস্তির রানী, পরদেশে রেহেনে দো উর্দু ছবি পরিচালনা করেন। এছাড়া তিনি ভারতে বেশ কিছু বাংলা ছায়াছবি পরিচালনা করেছেন।

ফেসবুক প্রোফাইল: Azizur Rahman