এম এ জলিল একজন অঙ্গসজ্জাকার। তিনি ‘আশা ভালবাসা’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘অধিকার চাই’, ‘অনন্ত ভালবাসা’, ‘ঝড়’, ‘ভাইয়া’, ‘মেশিনম্যান’, ‘মন বসেনা পড়ার টেবিলে’ প্রভৃতি ছবিতে কাজ করেছেন।
News Category:
আলম খান
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে খ্যতনামা সুরের জাদুকরের নাম আলম খান (Alam Khan)। ১৯৭০ সালে আবদুল জব্বার খানের ‘কাঁচ কাটা হীরে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তারপর অসংখ্য ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন। সৃষ্টি করেন একের পর এক শ্রুতিমধুর এবং জনপ্রিয় গান।
আলম খানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় সৃষ্ট অসংখ্য গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো- ওরে নীল দরিয়া, হীরামতি হীরামতি ও হীরামতি, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস, আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, কি জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা, বুকে আছে মন, তুমি যেখানে আমি সেখানে, সবাই তো ভালবাসা চায়, ভালবেসে গেলাম শুধু, চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা, আমি একদিন তোমায় না দেখিলে, আজকে না হয় ভালবাসো আর কোনদিন নয়, তেল গেলে ফুরাইয়া, আমি তোমার বধূ তুমি আমার স্বামী, জীবনের গল্প বাকি আছে অল্প, তিন কন্যা এক ছবি, মনে বড় আশা ছিল, দুনিয়াটা মস্ত বড়, ও সাথীরে যেও না কখনো দূরে, বেলি ফুলের মালা পরে, কাল তো ছিলাম ভাল, ওরে ও জান আমারই জান, চুমকি চলেছে একা পথে, ভালবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া, তুমি কি এখন আমারই কথা ভাবছো, আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটাইরে ইত্যাদি। আলম খান শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ‘বড় ভাল লোক ছিল’ (১৯৮২), ‘তিন কন্যা’ (১৯৮৫), ‘সারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘দিনকাল (১৯৯২) এবং ‘বাঘের থাবা’ (১৯৯৯) ছবিগুলোতে। শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ২০০৮ সালে পেয়েছেন ‘কি জাদু করিলা’ ছবির জন্য।
২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে জানা যায় আলম খান ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত। ব্যংককের একটি হাসপাতালে ৬ জুন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আমার ডান দিকে ফুসফুসের একটি অংশ ফেলে দেওয়া হয়। আজম খান যেদিন মারা যায়, সেদিন তিনি ব্যাংককে চিকিৎ সাধীন ছিলেন, তাই মৃত্যুর খবরটি তখন তাকে কেউ আমাকে জানায়নি। ২০১৩ সালে আলম খান প্রায় তিন বছর পর নতুন করে একটি গানের সুর করেন। এসএ টিভিতে প্রচারিত রিয়েলিটি শো ‘বাংলাদেশি আইডল’- এর জন্য ‘বাংলা গানে বিশ্বজয় আমরা করবই/স্বপ্নের দিগন্তটা হাতে ধরবই’ এমন কথার থিম সং এর সুর করেন আলম খান।
আলম খানের পিতার নাম আফতাব উদ্দিন খান। মায়ের নাম জোবেদা খানম। পপসম্রাট আজম খান তার ছোট ভাই। স্ত্রীর নাম গুলবানু খান। দুই ছেলে আরমান খান ও আদনান খান এবং এক কন্যা আনিকা খান।
কাজী সেলিম আহমেদ
শব্দগ্রাহক, শব্দ পুনসংযোজক, আবহ সঙ্গীত পরিচালক
আমজাদ হোসেন
আমজাদ হোসেন একজন চলচ্চিত্র সম্পাদক।
হাবিবুর রহমান হাবিব
হাবিবুর রহমান হাবিব ‘এবাদত’ ছবির প্রযোজক।
আনিস
আনিস বাংলাদেশের মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের অন্যতম পরিচিত অভিনেতা। কৌতুক চরিত্রে বেশী অভিনয় করেন বলে তিনি কৌতুক অভিনেতা আনিস হিসেবে বেশী পরিচিত। তিনি টিভি, মঞ্চ এবং চলচ্চিত্র সবক্ষেত্রেই অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন।
জামিলুর রহমান শাখা
রাজমুকুট চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন শাখা।
রানী সরকার
অভিনেত্রী রানী সরকার চলচ্চিত্রে আসার পূর্বে তিনি মঞ্চ ও বেতারে কাজ করেছেন। তার অভিনীত প্রথম মঞ্চনাটক ‘বঙ্গের বর্গী’ (১৯৫৮)। তার প্রথম ছবি এ জে কারদারের ‘দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও’। এই ছবিটি মুক্তি পায় নি। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি এহতেশামের উর্দু ভাষার ‘চান্দা’ (১৯৬২)। এরপর তিনি উর্দু ‘তালাশ’ ও বাংলা ‘নতুন সুর’ ছবিতে অভিনয় করেন।
রানী সরকারের প্রকৃত নাম মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম। তার ডাকনাম ছিল মেরী। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন নৃত্য শিল্পী। এইতো জীবন, মালা, ঘূর্ণিঝড় সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি নৃত্য পরিচালনা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং পিত্তথলিতে পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগে ভোগে ২০১৮ সালের ৭ই জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে ইউনিটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ফখরুল হাসান বৈরাগী
জনপ্রিয় প্যাকেজ অনুষ্ঠান ইত্যাদির পরিচিত মুখ ফখরুল হাসান বৈরাগী। তিনি একাধিক চলচ্চিত্রে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সেয়ানা’।