আহমেদ শরীফ

আহমেদ শরীফ (Ahmed Sharif) একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি আহমেদ শরীফ টেলিভিশনের জন্য কিছু নাটক-টেলিফিল্ম নির্মান করেন। ২০০১ সালে প্রথম নির্মাণ করেন টেলিফিল্ম ‘ক্ষণিক বসন্ত’। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য তিনি নির্মাণ করেন নাটক ‘ফুল ফুটে ফুল ঝরে’। দীর্ঘ আট বছর পর নাদের খানের প্রযোজনা ও রচনায় হাস্যরসাত্মক গল্পের এ নাটকের নাম ‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই’।

রাজনৈতিক জীবনে আহমেদ শরীফ বিএনপি-পন্হী। দশম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করার লক্ষ্যে তিনি তার এলাকা কুষ্টিয়ায় কাজও শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক। এখনও সেই আদর্শ নিয়েই পথ চলছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবে মনোনয়ন দেয়ার এখতিয়ার সম্পূর্ণই দলের।’ উল্লেখ্য, তিনি জিসাসের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।

আসিফ ইকবাল

আসিফ ইকবাল ১৯৯১-৯২ সালে বিএফডিসি আয়োজিত ‘নতুন মুখের সন্ধানে’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে সম্পৃক্ত হন। ‘মহাগুরু’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে। এরপর তিনি ‘ঘর দুয়ার’, ‘দজ্জাল শাশুড়ি’, ‘কে আপন কে পর’, ‘একজন সঙ্গে ছিল’, ‘মুখোমুখি’, ‘নিষ্পাপ মুন্না’,  ‘ হুমকির মুখে’, ‘ রাস্তার ছেলে’, ‘ নষ্ট’, ‘ আমার স্বপ্ন আমার সংসার’, ‘ এক জবান’, ‘ নয়নের কাজল’, ‘ পিতা মাতার আমানত’সহ এক শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

আসিফের জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ কুষ্টিয়া জেলায়। চলচ্চিত্রে যুক্ত হওয়ার আগে তিনি কুষ্টিয়ার জেলা ক্রিকেট টিমের মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে খেলতেন। তার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার ও একমাত্র ছেলে আলিফ ইকবাল।

আবদুল্লাহ জহির বাবু

সালমান শাহ অভিনীত চলচ্চিত্র ‘তুমি আমার’ এর কাহিনীকার হিসেবে আবদুল্লাহ জহির বাবু চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন। ছবিটির পরিচালক জহিরুল হক তারা বাবা, ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি চলচ্চিত্র সংক্রান্ত কর্মকান্ডের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেছিলেন।

তার রচিত কাহিনিতে এফ আই মানিক, মনতাজুর রহমান আকবর, শাহাদাৎ হোসেন লিটন, শাহীন সুমনদের মত পরিচালক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।

আবদুল্লাহ জহির বাবু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার প্রাক্তন স্ত্রীর নাম ফারজানা, ২০১৪ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের দুটি সন্তান, একটি পুত্র এবং একটি কন্যা।

আবিদ হাসান বাদল

আবিদ হাসান বাদল একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি ‘আত্মসাৎ’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘আলীবাবা’, ‘তুমি কত সুন্দর’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।

আবুল হায়াত

আবুল হায়াত একজন অভিনেতা, নাট্যকার, নাট্য পরিচালক এবং প্রকৌশলী। এক হাজারেরও বেশী টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। তিনি মঞ্চ, রেডিও, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

মাত্র দশ বছর বয়সে প্রথম নাটকে অভিনয় করেন আবুল হায়াত – টিপু সুলতান নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন। আরও আগে থেকেই রেলওয়ে কর্মকর্তা বাবার কারণে নিয়মিত মঞ্চ নাটক দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তিনি। ১৯৬৮ সাল থেকে নিয়মিত টেলিভিশনে অভিনয় করে যাচ্ছেন আবুল হায়াত। তখন মাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন তিনি, ঢাকায় মেসে থাকতেন। এসময় তিনি জানতে পারেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় গ্রুপ থিয়েটারের একটি নাটক তৈরী হবে যা টেলিভিশনে দেখানো হবে। আমেরিকা থেকে নাটকের উপর মাস্টার্স করে আসা জিয়া হায়দার সেই নাটকের নির্দেশনা দেবেন। নাটকের নাম ইডিপাস। এর মাধ্যমেই টেলিভিশনে নাটকের যাত্রা শুরু করেন আবুল হায়াত।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রতি খুব বেশী মনযোগ দেন নি বলেই চলচ্চিত্রে সফল হন নি – এমনটা মনে করেন আবুল হায়াত। ১৯৭২ সালে ঋত্বিক কুমার ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আগমন করেন। সাধারণত ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করতেন। ১৯৮৭ সালে প্রথম বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

আবুল হায়াত অভিনয়ের পাশাপাশি মাঝে মাঝে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখে থাকেন। দৈনিক প্রথম আলো-তে তার কলামের নাম ‘এসো নীপবনে’। ১৯৯১ সালে তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয় যার নাম ‘আপ্লুত মরু’। তার প্রকাশিত গ্রন্হের মধ্যে রয়েছে নির্ঝর সন্নিকটে, এসো নীপবনে (তিন খন্ড), জীবন খাতার ফুটনোট (২পর্ব), অচেনা তারা, হাঁসুলি বেগমের উপকথা, মধ্যাহ্নভোজ কি হবে ?, জিম্মি ইত্যাদি।

আবুল হায়াতের পূর্বপুরুষের বাসস্থান মুর্শিদাবাদে। ১৯৪৭ সালে তার পরিবার এদেশে চলে আসে। আবুল হায়াতের জন্ম মুর্শিদাবাদে হলেও শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনের কিয়দাংশ কেটেছে চট্টগ্রামে। আবুল হায়াতের বাবা আব্দুস সালাম ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে ওয়াজিউল্লাহ ইন্সটিটিউটের সাধারন সম্পাদক। স্কুল জীবন কাটে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট ও রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে মেটৃকুলেশন (বর্তমান এসএসসি) পাস করে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে ১৯৬২ সালে বুয়েটে ভর্তি হন। বুয়েটে পড়ার সময় তিনি শেরেবাংলা হলে থাকতেন। এরপর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে ১৯৬৭ সালে পাস করে ১৯৬৮ সালেই ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে যোগ দেন।

প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তার ধ্যান জ্ঞান ছিল অভিনয়ে। মূলত অর্থনৈতিক কারণেই প্রকৌশলী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি ১৯৭৮ সালে লিবিয়ায় তিন বছর চাকুরী করেন। ফিরে এসে ১৯৮২ সালে সরকারী চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন এবং কনসালটেন্ট হিসেবে চাকুরী করেন।

১৯৭০ সালে আবুল হায়াতের সঙ্গে বিয়ে হয় তার মেজ বোনের ননদ মাহফুজা খাতুন শিরিনের। বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াত তার দুই কন্যা এবং তৌকির আহমেদ ও শাহেদ শরীফ খান তার দুই জামাতা।

ছবিসূত্র: সাদেক সামি

আবুল খায়ের

চোখে চশমা পড়া বুড়ো লোকটি একটি গাছ খুঁজছেন, অর্জুন গাছ, ঔষধ বানানোর জন্য। তিনি কবিরাজ। গাছ পাওয়া গেল না। বাবা যে গাছ লাগিয়েছিল, সন্তান সেই গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। হতাশ কন্ঠে কবিরাজ বলেন, ‘আমি আর আপনেগো কবিরাজ না। আপনেরা চাইলেও আমি আর ঔষধ দিতে পারুম না’। এরপর তিনি হাটের মধ্যে গাছের চারা বিলি করেন আর বলেন, ‘আর আমাগো সন্তানেরা, তোমাদের জন্য ট্যাকার গাছ লাগাইলাম, অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি বানাইলাম’। ছোট্ট কিন্তু শক্তিশালী মেসেজসহ এই ভিডিওটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে দীর্ঘদিন প্রচারিত হয়েছিল। ভিডিওর বুড়ো কবিরাজের নাম আবুল খায়ের, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, গুণী অভিনেতা।  Continue reading

আরিফুল হক

আরিফুল হক একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে লালন ফকির, সারেং বউ, বড় বাড়ির মেয়ে, সূর্য কন্যা, সুন্দরী, সখি তুমি কার, কথা দিলাম, নতুন বউ, এখনই সময়, পিতা মাতা সন্তান, দেশপ্রেমিক, ঘৃণা, তোমাকে চাই, স্বপ্নের নায়ক ইত্যাদি।

আমিন খান

চিত্রনায়ক আমিন খান তার বয়সের তুলনায় এখনো তরুণই রয়ে গেছেন। তার চেহারায় বিন্দুমাত্র বয়সের ছাপ পড়েনি। দেহাবয়বেও সে ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি। মেদহীন শরীরে তিনি আগের মতোই প্রাণবন্ত রয়েছেন। Continue reading