তৌহিদ হোসেন চৌধুরী

তৌহিদ হোসেন চৌধুরী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র সম্পাদক। তিনি ২০১৪ সালের ‘দেশা: দ্য লিডার’ ছবির সম্পাদনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া তিনি ‘পাসওয়ার্ড’ ছবির সম্পাদনার জন্য ভারত-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

তার সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ‘বিগ বস’, ‘টপ সম্রাট’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘দুই নয়নের আলো’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালবাসা’, ‘ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ‘ভালোবাসার রঙ’, ‘পোড়ামন’, ‘পাসওয়ার্ড’ প্রভৃতি।

এর পূর্বে তিনি ‘মহা ভূমিকম্প’ ও ‘চিরশত্রু’ ছবির সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।

তপন আহমেদ

তপন আহমেদ একজন চিত্রগ্রাহক। তিনি চিত্রগ্রাহক আবু হেনা বাবলুর সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তিনি ‘রক্ত নিশান‘ ও ‘জীবন দিয়ে ভালবাসি‘ ছবিতে বাবলুর প্রধান সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন।

চিত্রগ্রাহক হিসেবে তার উল্লেখযোগ্য কাজ হল ‘সেই তুমি অনামিকা’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’, ‘অনেক সাধনার পরে’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী ২’।

ছটকু আহমেদ

ছটকু আহমেদের পরিচয় একাধিক – তিনি একজন পরিচালক, একজন প্রযোজক, একজন কাহিনীকার এবং একজন চিত্রনাট্যকার। তবে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন কাহিনীকার হিসেবে।  বিখ্যাত পরিচালক ঋত্বিক ঘটক, ফখরুল হাসান বৈরাগী, জহিরুল হক ও এ জে মিন্টুর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। ‘নাত বউ’ নামের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি পরিচালনায় আসেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত ছটকু আহমেদ একজন ডিপ্লোমা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তার আরেকটি  গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় হল – তিনি একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ। পূর্ব পাকিস্তান টেবিল টেনিস এ তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।

ইস্পাহানী

এম এন ইস্পাহানী (M N Ispahani) একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক। আরিফ জাহানের সাথে যৌথভাবে প্রযোজনা পরিচালনা করেন বলে এই যুগলকে ইস্পাহানী আরিফ জাহান নামে এক ব্যক্তি হিসেবে ভুল করে বেশীরভাগ মানুষ।

পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সহকারী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন ইস্পাহানী। বলা যায়, ঝন্টুই এই যুগল পরিচালককে হাতে গড়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে ‘বিদ্রোহী বধূ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ইস্পাহানী এবং আরিফ জাহান চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। বেশ কিছু হিট চলচ্চিত্র নির্মান করার পর এই যুগল চলচ্চিত্র প্রযোজনা শুরু করেন। তাদের প্রযোজনা সংস্থার নাম দিগন্ত চলচ্চিত্র।

সাফি উদ্দিন সাফি-ইকবাল এবং শাহিন-সুমন চলচ্চিত্র পরিচালক জুটি এই জুটির সহযোগিতায় চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

ফেসবুক প্রোফাইল: M N Ispahani

সাফিউদ্দিন সাফি

সাফি ইকবাল নামে জুটি বেঁধে চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করলেও পরবর্তীকালে এককভাবে চলচ্চিত্র পরিচালনা করে সাফল্য অর্জন করেন সাফিউদ্দিন সাফি। দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সহকারী হিসেবে তার চলচ্চিত্রকর্ম শুরু। তিনি ‘নিষ্ঠুর’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘গাদ্দারী’। এরপর তিনি ‘মেশিনম্যান’, ‘সাত খুন মাফ’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২’ ছবি নির্মাণ করেন।

ড্যানি সিডাক

ড্যানি সিডাক (Danny Sidak) আশি ও নব্বইয়ের দশকের অন্যতম প্রধান খলনায়ক অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালক।

ড্যানি চলচ্চিত্রে আসেন শহীদুল ইসলাম খোকনের হাত ধরে। ১৯৮৪ সালে লড়াকু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। মার্শাল আর্ট অভিনেতা রুবেলের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য খলনায়ক চরিত্রেও একজন মার্শাল আর্ট জানা অভিনেতার প্রয়োজন ছিল – ড্যানি সিডাক সেই প্রয়োজন পূরণ করেছেন, খলচরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছেন। তবে ড্যানি সিডাক নায়ক হিসেবেও অভিনয় করেছেন।

ড্যানি সিডাক মনে করেন অশ্লীলতার জোয়ার শুরু হলে তার ক্যারিয়ারেরও ধ্বংস শুরু হয়। বন্ধুদের পরামর্শে তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং পরিচালনা শুরু করেন। কিন্তু সেই চলচ্চিত্রগুলোও সাফল্য অর্জন করতে পারে নি। ড্যানি মনে করেন চলচ্চিত্র প্রযোজনা পরিচালনা তার জীবনের অন্যতম ভুল।

‌আঁচল

আঁচলের চলচ্চিত্রে আগমন ‘ভুল’ ছবি দিয়ে। সেই ছবিতে আঁচলের নাম ছিল আঁখি। অভিষেকেই সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা হাসনাহেনা আঁখি আঁচল। কারণ তিনিই প্রথম কোন নবাগত নায়িকা যার পর পর দুই সপ্তাহে দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। তার দ্বিতীয় ছবি ছিল ‘বেইলি রোড’। ছবিগুলো খুব ব্যবসা না করলেও আঁচলের অভিনয় ও সুন্দর চেহারা খুব সহজেই দর্শকের নজর কাড়ে। Continue reading