বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে মুকুটহীন সম্রাট হিসেবে খ্যাত অভিনেতার নাম আনোয়ার হোসেন (Anwar Hossain)। ১৯৬১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তোমার আমার‘ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। প্রথম দিকে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করলেও পরবর্তীতে তিনি মূল ও চরিত্রাভিনেতা হিসেবে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে তিনি ‘মুকুটহীন সম্রাট’ উপাধি লাভ করেন। Continue reading
News Category:
মাহিয়া মাহি
২০১২ সালে ভালবাসার রং চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে মাহিয়া মাহি (Mahiya Mahi) বাংলা চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। ‘ভালোবাসার রং’ এবং ‘অন্যরকম ভালোবাসা’ ছবির মাধ্যমে আলোচনায় আসেন মাহি। তারপরে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক ছবিতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বিএমডিবি-তে মাহিয়া মাহি’র সকল সংবাদ পড়ুন এখানে এবং এখানে
‘অগ্নি’ ও এর সিক্যুয়াল ‘অগ্নি ২’ দিয়ে তিনি লেডি অ্যাকশন অবতারে আবির্ভূত হন। ছবি দুটি ব্যবসাসফল হয়। এছাড়া পুলিশ ক্রাইম থ্রিলার ‘ঢাকা অ্যাটাক’ তার আরেকটি ব্যবসাসফল ছবি।
মাহি বর্তমানে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন। তার ফেসবুক ফ্যান গ্রুপ ‘মাহিয়া মাহি দ্য প্রিন্সেস অব ঢালিউড’ তাকে নিয়ে বই প্রকাশ করেছেন, বইটির শিরোনাম ‘মাহি দ্য প্রিন্সেস’।
অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ: Mahia Mahi
বাপ্পি চৌধুরী
নারায়নগঞ্জের ছেলে বাপ্পি চলচ্চিত্র জগতে তার পথচলা শুরু করে ‘ভালোবাসার রঙ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। প্রথম দুটি চলচ্চিত্র জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে হলেও পরবর্তীতে অন্য প্রযোজনা সংস্থার সাথেও ছবি করেছেন তিনি। প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তির আগেই প্রায় ৯টি ছবির ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবরে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন বাপ্পি।
বাপ্পি চৌধুরীর জন্মদিন ৬ ডিসেম্বর।
ওয়াজেদ আলী সুমন
ওয়াজেদ আলী সুমন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি জাকির হোসেন রাজুর সহকারী পরিচালক হিসেবে ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’ ছবিতে কাজ করেন। এছাড়া তিনি ‘মিলন হবে কত দিনে’ ও ‘নসিমন’ ছবিতে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি শাহীনের সাথে যৌথভাবে শাহীন সুমন নামে চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। এই যুগলের পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘গডফাদার’।
সুমনের জন্ম ১৯৬৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলার পুটিয়া থানায়। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ।
শাহীন
ওয়াজেদ আলী সুমনের সাথে জুটি বেঁধে শাহীন সুমন নামে চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন শাহীন। আবিদ হাসান বাদলের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করা শাহীনের প্রথম পরিচালিত ছবি গডফাদার।
ইমন সাহা
বাংলা টেকনো, লোকসঙ্গীত ও চলচ্চিত্রের গানের পরিচিত নাম ইমন সাহা। তিনি সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী সত্য সাহা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক রমলা সাহার পুত্র।
ইমন সাহা ২০০৮ সালে ‘চন্দ্রগ্রহন’, ২০১২ সালে ‘পিতা’ ও ২০১৩ সালে ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে এবং ২০১১ সালে ‘কুসুম কুসুম প্রেম’, ২০১২ সালে ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ও ২০১৬ সালে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
ইমন ১৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন। তার শৈশব কাটে ঢাকাতেই। তিনি সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি ছিল তার প্রবল অনুরাগ।
মৌসুমী
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে প্রিয়দর্শনী অভিনেত্রী আরিফা পারভীন মৌসুমী (Arifa Parvin Moushumi)। তিনি একই সাথে একজন প্রযোজক, পরিচালক ও গীতিকার। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে সালমান শাহ‘র বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে মৌসুমী’র বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন। এখন পর্যন্ত তিনি ১৫০টির ও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র।
মৌসুমীর সকল সংবাদ পাবেন এখানে
অভিনয়ের পাশাপাশি এক সময় ছবি প্রযোজনার কথা ভাবেন মৌসুমী। ১৯৯৭ সালে ‘কপোতাক্ষ চলচ্চিত্র’ নামের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত প্রথম ছবি ‘গরীবের রানী’ পরিচালনা করেন মনোয়ার খোকন। এরপর একটু বিরতি নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি হয় মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘সুখের ঘরে দুখের আগুন’ ও মনতাজুর রহমান আকবরের ‘আমার বউ’ ছবি দুটি। তারপর কপোতাক্ষ চলচ্চিত্র থেকে আর কোনো ছবি নির্মিত হয়নি।
‘মেঘলা আকাশ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর তিনি ‘দেবদাস’ ছবিতে চন্দ্রমুখী চরিত্রে এবং ‘তারকাটা’ ছবিতে অভিনয় করে আরও দুটি জাতীয় পুরস্কার পান।
তার স্বামী অভিনেতা ওমর সানী। তাদের দুই সন্তান – এক ছেলে ফারদীন এবং মেয়ে ফাইজা। তার বোন ইরিন জামানও একজন অভিনেত্রী।
শাকিব খান
১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন করেন শাকিব খান (Shakib Khan)। নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজার ভাই পরিচয়ে এবং তার অকৃপণ সহযোগিতায় মাসুদ রানা চলচ্চিত্রে এসে শাকিব খান নাম ধারণ করে চলচ্চিত্রে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করেন। প্রথমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় নায়ক হিসেবে অসংখ্য ছবিতে কাজ করার পর পরে প্রধান নায়ক হিসেবে শাকিব দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করেন। ব্যস্ততা, জনপ্রিয়তা, দাপট ইত্যাদি সবদিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
বিএমডিবি-তে শাকিব খান সম্পর্কে সকল সংবাদ পাবেন এখানে
ইবনে হাসান খান
ইবনে হাসান খান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক। তিনি ও ফরিদুর রেজা সাগর যৌথভাবে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্ব পালন করেন।