জাভেদ আহমেদ কিসলু একজন সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। তিনি অসংখ্য বাংলা ছবির গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
News Category:
রিজিয়া পারভীন
রিজিয়া পারভীন একজন সঙ্গীতশিল্পী। তার শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে। তখন ভারতীয় বিভিন্ন শিল্পীর গান গাইতেন। ঢাকায় আসার পর বিভিন্ন অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তাকে দিয়ে ভারতীয় আধুনিক বাংলা গান, হিন্দি গানের বাংলা রূপান্তর আর পুরোনো দিনের গানের রিমেক গাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। অল্প সময়ে পরিচিতি পাওয়ার জন্য তিনি রিমেক গানে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন। রিমেক গান গেয়ে তিনি ও পলাশ দারুণ জনপ্রিয়তা পান। অল্প সময়ের মধ্যে তাদের ২৫টি অ্যালবাম বাজারে আসে। রিমেক আর মৌলিক মিলে তার ১৩২টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় তিনি প্রথম চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৮২ সালে ‘তালাক’ ছবিতে তার গাওয়া গানটি রেকর্ডিং হয়। এরপর তিনি চলচ্চিত্রের দেড় হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে ‘চাঁদের আলো’ ছবির “তুমি আমার চাঁদ, আমি চাঁদেরই আলো” গানটিই তার সংগীতজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দ্বৈত গানটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর এন্ড্রু কিশোরের সাথে ‘ভাংচুর’ ছবির “সবার জীবনে প্রেম আসে” গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর তিনি ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘প্রিয়জন’, ‘মনের মত মন’, ‘টপ হিরো’, ‘এভাবেই ভালোবাসা হয়’ প্রভৃতি ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
ডলি সায়ন্তনী
“রং চটা জিন্সের প্যান্ট পরা” খ্যাত গায়িকা ডলি সায়ন্তনী ১৯৯০ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সেলেক্স-এর ব্যানারে একক অ্যালবাম ‘হে যুবক’ প্রকাশ করেন। ‘ঘেরাও’ ছবিতে তিনি প্রথম প্লেব্যাক করেন। ডলি সায়ন্তনীর শ্রোতাসমাদৃত অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে- ‘কালিয়া’, ‘নীরব রাতে’, ‘বিরহী প্রহর’, ‘সুখে থেকো’, ‘নিতাইগঞ্জে জমছে মেলা’, ‘বাংলাদেশের মেয়ে’।
তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের গান হল ‘উত্থান পতন’ ছবির “রং চটা জিন্সের প্যান্ট পরা”, ‘কে অপরাধী’ ছবির “এ যে বিষম পিরিতি”, এন্ড্রু কিশোরের সাথে ‘বাস্তব’ ছবির “বুক চিন চিন করছে হায়”, ‘সেয়ানা পাগল’ ছবির “এক পলক না দেখলে”, ‘মগের মুল্লুক’ ছবির “কি যাদু করিলা”, খালিদ হাসান মিলুর সাথে ‘আমার অন্তরে তুমি’ ছবির “প্রতিদিন তোমাকে আমি চাই” প্রভৃতি।
ডলির জন্ম ২২ আগস্ট। তার শৈশব কেটেছে পাবনাতে। তার ভাই বাদশা বুলবুল, বোন পলি সায়ন্তনীও জনপ্রিয় শিল্পী। মা মনোয়ারা বেগমও যুক্ত ছিলেন গানের সঙ্গে।
শাকিলা জাফর
গানের পাখি শাকিলা জাফর তার দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে ছয় শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। একক গানের পাশাপাশিত দ্বৈত গানে শাকিলা জাফর সফল হন। তিনি যখন যার সঙ্গে গান গেয়েছেন, মানিয়ে গেছেন ভীষণভাবে। প্রথমে গায়ক শুভ্রদেবের সঙ্গে তার গড়ে উঠেছিল সফল গানের জুটি। তারপর এন্ড্রু কিশোর, কুমার বিশ্বজিৎ, সুবীর নন্দী, তপন চৌধুরী, নকিব খানের মতো সিনিয়র শিল্পী থেকে শুরু করে হালের আসিফ ও বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গেও গেয়েছেন বহু গান। তপন চৌধুরীর সাথে “তুমি আমার প্রথম সকাল” গানটির বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
চলচ্চিত্রে তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান হল তপন চৌধুরীর সাথে “পাথরের পৃথিবীতে কাচের হৃদয়”, খালিদ হাসান মিলুর সাথে “বন্ধু তুমি আমার”, আগুনের সাথে “তোমাকে আমি যেন”, “তাকদুম তাকদুম বাজে বাংলাদেশের ঢোল” এবং একক গান “নদী চায় চলতে”প্রভৃতি।
তার জন্ম পাকিস্তানের করাচীতে, ১৯৭০ সালে চলে আসেন বাংলাদেশে। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ বেতারে জাতীয় উচ্চাঙ্গসংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন শাকিলা জাফর। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘যদি কিছু মনে না করেন’ অনুষ্ঠানে “তুলা রাশির মেয়ে” গানটির মাধ্যমে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি তৈরি হয়।
শাকিলা জাফর প্রথম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রকৌশলী মান্নার সঙ্গে। তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দীর্ঘ সময় একা জীবন যাপন করেন এ সংগীতশিল্পী। ২০১৫ সালের শেষের দিকে জানা যায় তিনি প্রকৌশলী এবং কবি রবি শর্মাকে বিয়ে করেছেন। রবি শর্মা কর্পোরেট জগতের লোক হলেও নিয়মিত কবিতা লেখেন। ভারতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইমস মিউজিক থেকে মুনলাইট হুইসপার নামে তার লেখা গানের একটি অ্যালবাম বেরিয়েছে।
তার প্রথম স্বামী মান্না জাফরের ঘরে রয়েছে একমাত্র সন্তান মুফরাত জাফর। ‘বাংলাদেশ আইডল ২০১৩’ এর অংশগ্রহণকারী সানজিদা মাহমুদ নন্দিতার সাথে মুফরাতের বাগদান হয়েছে।
সুবীর নন্দী
‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’র মত বহু শ্রোতাপ্রিয় গানের কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী। ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত সূর্যগ্রহণ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্লেব্যাকে আসেন সুবীর । ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় আজিজুর রহমান অশিক্ষিত। সেই সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিন আর সুবীর নন্দীর কণ্ঠে ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। দীর্ঘ সংগীত জীবনে তিনি আড়াই হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এবং পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চারবার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছরই তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।
তার আরও কিছু জনপ্রিয় গান হল ‘আশা ছিল মনে মনে’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘বন্ধু তোর বরাত নিয়া’, ‘তুমি এমনই জাল পেতেছ’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, একটা ছিল সোনার কইন্যা’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’।
সুবীর নন্দীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায়। বাবার চাকরি সূত্রে তার শৈশব কেটেছে চা বাগানে। পরিণত বয়সে গানের পাশাপাশি চাকরি করেন ব্যাংকে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগে তিনি ২০১৯ সালে ৭ মে পরলোকগমন করেন।
রাজিব আহম্মেদ
রাজিব আহম্মেদ ‘মাটির পিঞ্জিরা’ ছবির গীতিকার।
বারী সিদ্দিকী
দরদভরা গলায় বিরহের গানের সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন যে বংশীবাদক সংগীত শিল্পী তার নাম বারী সিদ্দিকী। ‘শুয়াচান পাখি’, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’সহ বহু গানের মাধ্যমে হৃদয়ে হাহাকার তোলায় সিদ্ধহস্ত শিল্পী বারী সিদ্দিকী চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক করেছেন। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে গানের মাধ্যমে তার প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। Continue reading
সিরাজ হায়দার
সিরাজ হায়দার (Siraj Haider) অভিনয়ের সাথে জড়িত ছিলেন পঞ্চাশ বছরের বেশী সময় ধরে। ১৯৬২ সালে নবম শ্রেণীর ছাত্রকালীন সময়ে ১৪ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় দিবসে টিপু সুলতান নাটকে করিম শাহ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয়ে পথচলা শুরু করেছিলেন। ২০১২ সালে এসে সেটা ৫০ বছর পূর্ণ করলো। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি অভিনয় করেছেন যাত্রা, মঞ্চ, রেডিও, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে। Continue reading