অনিক

এম সরফুদ্দিন অনিক একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি ও রয়েল মিলে যৌথভাবে রয়েল-অনিক নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে থাকেন। তাদের যৌথভাবে পরিচালিত চলচ্চিত্র হল ‘গেইম’।

মুন

মুন একজন সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ‘ঢাকার কিং’, ‘নিষ্পাপ মুন্না’, ‘নারীর শক্তি’ প্রভৃতি ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

আতিকুর রহমান মল্লিক

আতিকুর রহমান মল্লিক একজন চিত্রসম্পাদক। তিনি আলম কোরেশী, আমিনুল ইসলাম মিন্টু, বশীর আহমেদ, এনামুল হক প্রমুখ চিত্রসম্পাদকের সাথে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তার সম্পাদিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সেয়ানা’। তার সম্পাদিত অন্যান্য চলচ্চিত্র হল ‘মেঘের অনেক রং’, ‘মাটির মানুষ’, ‘নদের চাঁদ’, ‘মনিহার’, ‘আশা’, ‘এতিম’, ‘রাজা সাহেব’, ‘পুরস্কার’, ‘রঙিন গুনাই বিবি’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘মানুষ অমানুষ’, ‘তাসের ঘর’, ‘সুখের সংসার’, ‘সুদ আসল’, ‘নয়নের আলো’, ‘নরম গরম’, ‘লালু ভুলু’, ‘সাহেব’, ‘হাসি’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘চাঁদনী’, ‘সুখের ঘর’, ‘হারানো সুর’, ‘দুই জীবন’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘ভাংচুর’, ‘রাজার ভাই বাদশা’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘অন্তরে ঝড়’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শুভা’, ‘হাছন রাজা’, ‘শাস্তি’, ‘এক খণ্ড জমি’, ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ প্রভৃতি।

তার জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৯ অক্টোবর ময়মনসিংহ শহরে। তার বড় ভাই বারী স্টুডিও’র কর্ণধার মালিক মজিদ।

দিলীপ বিশ্বাস

দিলীপ বিশ্বাস ছিলেন সামাজিক চলচ্চিত্রের মাস্টার মেকার। তিনি বড় বাজেটে জনপ্রিয় তারকাদের নিয়ে জমজমাট নাটকীয় কাহিনির বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি নির্মাণে নিজস্ব একটি ধারার সৃষ্টি করেছিলেন। চলচ্চিত্রের অমর এই কারিগরের সৃষ্টি ও তাঁর কীর্তি এখনো সবার কাছে অমলিন।

দিলীপ বিশ্বাস ছিলেন একাধারে একজন অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, লেখক ও সঙ্গীতশিল্পী। কর্মজীবনের শুরু করেছিলেন প্যারডি গায়ক হিসেবে।

তিনি প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন জহির রায়হান, মুস্তফা মাহমুদ, বাবুল চৌধুরী প্রমুখের সঙ্গে। একসময় পুরোপুরি নির্মাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পেল তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সমাধি’। প্রথম ছবিটিই সুপারডুপার হিট হয়। এরপর একে একে নির্মাণ করেন ‘আসামী’, ‘জিঞ্জির’, ‘বন্ধু’, ‘অনুরোধ’, ‘আনারকলি’ প্রভৃতি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র; যেগুলোর কোনটা হিট আবার কোনটা সুপারহিট হয়েছিল।

দিলীপ বিশ্বাসের জন্ম ১৯৪২ সালের ৪ ডিসেম্বর পিরোজপুরের চাঁদকাঠি গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার স্ত্রী গায়ত্রী বিশ্বাস একজন প্রযোজক এবং পুত্র দেবাশীষ বিশ্বাসও একজন নির্মাতা। দিলীপ বিশ্বাস ২০০৬ সালের ১২ জুলাই না–ফেরার দেশে চলে যান।

সোহেল চৌধুরী

নতুন মুখের সন্ধানে দিয়ে একইসঙ্গে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতি। ‘পর্বত’ চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধে প্রথম অভিনয় করেন তারা। সুদর্শন সোহেল চৌধুরী মূলত রোমান্টিক নায়ক হিসেবে খ্যাতি পান। তার চুলের স্টাইল সে সময়ের তরুণদের মধ্যে কিছুটা জনপ্রিয়তাও পায়। আশির দশকের শেষভাগে তার স্টাইল ও গ্ল্যামার সে সময়ের দর্শককে আকৃষ্ট করত।

১৯৮৫ সালে আমজাদ হোসেনের ‘হীরামতি’ সিনেমাতে ফের জুটি বাঁধেন তারা। দিতির বিয়ে পারিবারিকভাবে ঠিক হয়ে ছিল। এই ছবির কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা। সেজন্য আর কোনো নতুন ছবির কাজ হাতে নিচ্ছিলেন না তিনি। শুধু বিখ্যাত পরিচালক আমজাদ হোসেনের অনুরোধ ফেলতে পারেননি বলে ‘হীরামতি’ ছবির কাজ করতে রাজি হন। জাফলং ও শ্রীমঙ্গলে চলছিল শুটিং। শুটিং করতে গিয়েই সোহেল ও দিতি প্রেমে পড়লেন। দিতির বিয়ের তখন মাত্র দিন দশেক বাকি। এরই মধ্যে ঢাকায় ফিরে পালিয়ে সোহেল চৌধুরীর বনানীর বাড়িতে গেলেন তারা। কাজী ডেকে বিয়ে করলেন সোহেল-দিতি। বিয়ের পর তাদের বেশ সুখের সংসার ছিল। সে ঘরে আসে দুই সন্তান, মেয়ে লামিয়া চৌধুরী ও ছেলে শাফায়েত চৌধুরী।

‘হীরামতি’র পর সোহেল-দিতি জুটির পর পর কয়েকটি ছবি মুক্তি পায়। সোহেল-দিতি অভিনীত ‘চিরদিনের সাথী’ ছবিটিও মোটামুটি ব্যবসা সফল হয়| এ ছবির ‘তুমি আমার, আমি তোমার, চিরদিনের সাথী’ গানটি জনপ্রিয়তা পায়।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

মাসুম পারভেজ রুবেল

রুবেল একাধারে একজন অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম আর এন প্রোডাকশন। অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবির নায়ক রুবেল মূলত অ্যাকশনধর্মী ছবিতে অভিনয় করে থাকেন।

রুবেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস করেছেন। ১৯৮২ সালে মার্শাল আর্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তার বড় ভাই সোহেল রানা ঢালিউডের স্বনামধন্য অভিনেতা।

কামাল পারভেজ

কামাল পারভেজ একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি ‘বীরপুরুষ’ ও ‘বিশ্বপ্রেমিক’ ছবি প্রযোজনা করেছেন।

সুচন্দা

সুভাষ দত্তের ‘কাগজের নৌকা’ (১৯৬৬) ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন সুচন্দা। পরের বছর ‘বেহুলা’ (১৯৬৭) ছবিতে তিনি রাজ্জাকের সাথে জুটি গড়েন। এটি ছিল রাজ্জাকের নায়ক হিসেবে প্রথম ছবি। পরবর্তীকালে আনোয়ারা (১৯৬৭), দুই ভাই (১৯৬৮), সুয়োরানী দুয়োরানী (১৯৬৮), কুচবরণ কন্যা (১৯৬৮), মনের মত বউ (১৯৬৯), সখিনা (১৯৬৯), জুলেখা (১৯৬৮), যোগ বিয়োগ (১৯৭০), যে আগুনে পুড়ি (১৯৭০), সংসার (১৯৬৮), প্রতিশোধ (১৯৭২), জীবন সংগীত (১৯৭২), অশ্র“ দিয়ে লেখা (১৯৭২) এই জুটির দর্শকনন্দিত সিনেমা। রাজ্জাক ছাড়া অন্য নায়ক গোলাম মুস্তাফা (চাওয়া পাওয়া, ১৯৬৭); আনোয়ার হোসেন (কোথায় যেন দেখেছি, ১৯৭০); মান্নান (পরশমনি, ১৯৬৮); আজিম নয়নতারা, ১৯৬৭); উজ্জল (কাঁচের স্বর্গ, ১৯৭২) প্রমুখের বিপরীতেও তিনি সফল। রহমানের বিপরীতে উর্দু ছবি যাহাবাজ শেহনাই (১৯৭০), পিয়াসা (১৯৬৮) এবং বাংলা অন্তরঙ্গ (১৯৭০) ছবির নায়িকা ছিলেন তিনি।

‘বেহুলা’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে পরিচালক জহিরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া তাড়াহুড়া করে বিয়ে করেন তারা। সুচন্দারা তিন বোন, বাকি দুজন হলেন ববিতা ও চম্পা।

প্রিয়া ভট্টাচার্য

প্রিয়া ভট্টাচার্য একজন সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ‘সবার উপরে তুমি’ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।