এ কে সোহেল

এ কে সোহেল একজন পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি পরিচালক গাজী জাহাঙ্গীরের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন। তার সহকারী হিসেবে তিনি ‘শেষ সংগ্রাম’ ছবিতে কাজ করেছেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র খায়রুন সুন্দরী। তার পরিচালিত অন্যান্য ছবিগুলো হল বন্ধক, জমেলা সুন্দরী, বাংলার বউ, ডাইনী বুড়ি, প্রাণের স্বামী ও পবিত্র ভালোবাসা। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম মেঘালয় চলচ্চিত্র।

সোহেলের আসল নাম আবদুল কাদের সোহেল। তার জন্ম ১৯৬৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিং শহরে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বি কম।

এহতেশাম

এহতেশাম বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গুণী পরিচালক। শবনম, শাবানা থেকে শুরু করে শাবনূর পর্যন্ত অনেকেই তার হাত ধরে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। এহতেশাম একাধারে চলচ্চিত্র প্রদর্শক, প্রযোজক এবং পরিচালক।

এহতেশামের জন্ম ঢাকার বংশাল এলাকার এক ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে। দিল্লি ও করাচিতে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে তদানীন্তন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে তিনি যোগ দিয়ে কমিশনপ্রাপ্ত হন। সামরিক বাহিনীর একটি রেজিমেন্টে ক্যাপ্টেন পদাধিকার পেয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ছবির প্রদর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

একা

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা একা ‘রঙিন রাখাল রাজা’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে আগমন করেন। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ধর’ ও ‘তেজি’ ছবিতে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। একা অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘পাগলা হাওয়া’।

দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার কারণও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে একা বলেন, ‘আমি পড়াশোনার জন্য লন্ডন চলে গিয়েছিলাম। সেখানে পড়াশোনার পর আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাই। যুক্তরাষ্ট্রে আমি এডিটিংয়ের ওপর কিছু কোর্স করি। লাইট, এডিটিং এর ওপর কাজ শিখে দেশে ফিরে আসি। এরপর আমি মাই টিভিতে যোগ দেই। সেখানে টানা ৫ বছর ধরে আছি, এখনও আছি।’

উজ্জ্বল

বাংলা চলচ্চিত্রে মেগাস্টার হিসেবে খ্যাত সোনালী যুগের অন্যতম অভিনেতা উজ্জ্বল। তার চলচ্চিত্রে অভিষক হয় ১৯৭০ সালে ‘বিনিময়’ চলচ্চিত্র দিয়ে। প্রথম ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। এরপর তিনি শাবানা, ববিতা, সুচরিতা, রোজিনা, সুজাতা, শবনমসহ অনেক নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন।

উজ্জ্বলের পুরো নাম আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। তার জন্ম ২৮ এপ্রিল ১৯৪৮ সিরাজগঞ্জে তার পিতার কর্মস্থলে। তার পৈতৃক নিবাস পাবনায়। তিনি রংপুরের কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে। পরে ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি বেতার ও টেলিভিশনে অভিনয় করতেন।

ই. আর. খান

ই. আর. খান একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি সহকারী হিসেবে এহতেশাম ও মুস্তাফিজের ‘লিও ফিল্মস’-এ যোগ দেন। তিনি এহতেশামের সঙ্গে ‘এদেশ তোমার আমার’ ছবিতে ব্যবস্থাপক ও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি জহির রায়হান, বেবী ইসলাম, সালাহ্উ‌দ্দিন, মুস্তাফিজ, এস এম পারভেজ, সাদেক খান প্রমুখের সঙ্গে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। ই আর খান পরিচালিত প্রথম ছবি ‘চেনা অচেনা’। তার প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘সন্তান’। তিনি মোট ২৬টি ছবি পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হল রূপবানের রূপকথা, সন্তান, সাধারণ মেয়ে, দাসী, মামা ভাগ্নে, কাঁচের স্বর্গ, বধু, সময় কথা বলে, কোবরা, ব্যবধান, তামাশা।

ই. আর. খানের জন্ম ১৯৩৫ সালে ২২ জুন পুরান ঢাকায়। তার পিতা হাকিম হাবীবুর রহমান। সেন্ট গ্রেগরি স্কুল, মুসলিম হাই স্কুল ও এম এ জিন্নাহ কলেজ থেকে শিক্ষাজীবন শেষে মানসাটা ফিল্মস্ অব বোম্বে লিমিটেডে যোগ দেন। তিনি নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকা ক্লাব, ধানমন্ডি লায়ন্স ক্লাব, লায়ন্স ফাউন্ডেশন, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা সমিতি, ফিল্ম আর্কাইভ, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রদর্শন সমিতি ইত্যাদি বিভিন্ন সংগঠনের তিনি আজীবন সদস্য, সদস্য বা দাতা সদস্য ছিলেন।

উত্তম আকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিনান্সে এমকম ডিগ্রিধারী উত্তম আকাশ সরাসরি চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন ১৯৯৫ সালে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুক্তির সংগ্রাম’।

প্রযোজক মালতী দেবী তার মা।

ইলিয়াস কোবরা

তিনি একজন খলনায়ক। অন্যান্য খলনায়কদের সাথে তার পার্থক্য হল – তিনি আগাগোড়াই খলনায়ক, কখনো নায়ক ছিলেন না। তার আরেকটি পরিচয় হল – তিনি মার্শাল আর্ট জানা খলনায়ক। তিনি কোবরা, ইলিয়াস কোবরা – প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রের খলনায়ক। Continue reading

ইবনে মিজান

বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক ইবনে মিজান ১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্রের নাম ‘একালের রূপকথা’। তবে এর আগেই তিনি উর্দু ভাষায় ‘আওর গাম নেহী’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মান করেছিলেন যা মুক্তি পায় নি। ফোক ফ্যান্টাসী চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন। Continue reading

ইরিন

অভিনেত্রী ইরিন (Irin) চলচ্চিত্রে আসেন সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালোবাসা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। একই ছবিতে শাকিব খান প্রথম অভিনয় করেন। ইরিনের অন্য একটি পরিচয় হল তিনি চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ছোট বোন। মজার তথ্য হল, মৌসুমীও সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে।

অভিনেত্রী হওয়ার আগে থেকেই ইরিন গান গাইতেন। মৌসুমী এবং ইরিনের মা রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। মায়ের হাতেই গানের হাতেখড়ি। মিক্সড অ্যালবামে ইরিন গানও গেয়েছেন। একক অ্যালবাম বের করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি ইরিন উপস্থাপনাও করেন।

আহমেদ নাসির

আহমেদ নাসির একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি ‘বাংলার বাঘ’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মায়ের জন্য মরতে পারি’, ‘মায়ের জন্য পাগল’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তিনি এম এ খান সবুজের সাথে ‘মধু পূর্ণিমা’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।