অদিত রহমান

অদিত একজন সঙ্গীত শিল্পী, গীতিকার এবং সুরকার। সঙ্গীত পরিচালনা নিয়েই তার বর্তমান ব্যস্ততা। চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করছেন। Continue reading

ইফতেখার চৌধুরী

বাংলাদেশে ডিজিটাল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে প্রথম সারির মেধাবী পরিচালকদের অন্যতম ইফতেখার চৌধুরী। খোঁজ দ্য সার্চ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পা রেখেছিলেন ইফতেখার চৌধুরী। প্রথম ছবি খুব ব্যবসাসফল না হলেও পরিচালকের যোগ্যতার জানান দিয়েছিল। তারপর একের পর এক ছবি বানিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে উন্নতির দিকেই নিয়ে যান নি ইফতেখার চৌধুরী, নিজেও ব্যস্ততম পরিচালক হয়েছেন। Continue reading

কাজী মারুফ

অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্রের অভিনেতা কাজী মারুফ তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন ‘ইতিহাস’ ছবির মাধ্যমে। কাজী হায়াত পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০২ সালে। প্রথম ছবিতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন কাজী মারুফ। Continue reading

আনিসুর রহমান মিলন

আনিসুর রহমান মিলন একজন সুযোগ্য পেশাদার অভিনেতা। মঞ্চ থেকে টিভিতে এবং সেখান থেকে চলচ্চিত্রে – সব জায়গাতেই দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে সকলের গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন মিলন। তার ব্যস্ততা তাকে চাকরী ছেড়ে দিয়ে অভিনয়ে মনযোগী হতে উৎসাহিত করে। বর্তমানে চলচ্চিতে বেশী সময় দিলেও টিভি নাটকেও অভিনয় করছেন মিলন। Continue reading

ববি হক

ইয়ামিন হক ববি (Bobby) ২০১১ সালে তিনি একটি সুন্দরী প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে “মিস এশিয়া প্যাসিফিক” নামে একটি পুরস্কার জিতে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তিনি ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।

তিনি ২০১৩ সালে ইফতেখার চৌধুরীর ‘দেহরক্ষী’, মালেক আফসারীর ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’ ও রাজু চৌধুরীর ‘ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম’ ছবিতে অভিনয় করেন। পরে তিনি ‘স্বপ্ন ছোয়া’, ‘সালাম মালয়েশিয়া’, এবং ‘আই ডোন্ট কেয়ার’। এছাড়া ‘অ্যাকশন জেসমিন’ ছবিতে তাকে দ্বৈত চরিত্রে এবং শাকিব খানের প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘হিরো দ্য সুপার স্টার’ ছবিতে দেখা যায়।

২০১৮ সালে তিনি প্রযোজনায় নাম লেখান এবং তার নিজের প্রযোজিত নারী সুপারহিরো ভিত্তিক ছবি ‘বিজলী’তে অভিনয় করেন। পরের বছর তিনি শাকিব খানের বিপরীতে ‘নোলক’ ছবিতে অভিনয় করেন।

মোস্তফা কামাল

মোস্তফা কামাল একজন চিত্রগ্রাহক। তিনি ‘তোমাকে চাই’, ‘জীবনসঙ্গী’, ‘রঙ্গীন নয়নমনি’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘রং নাম্বার’, ‘পিতার আসন’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘তোমাকেই খুঁজছি’, ‘হরিজন’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রবীর মিত্র

প্রবীর মিত্র বাংলা চলচ্চিত্রের একজন বর্ষীয়ান শক্তিমান অভিনেতা। প্রায় চার যুগ ধরে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তাকে অন্য কোন ধরনের পেশার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতেও বাধা দিয়েছে। Continue reading

মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান

বাংলা গানে যে কজন মেধাবী গীতিকার রয়েছেন তাদের মধ্যে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান অন্যতম। আধুনিক, চলচ্চিত্র, দেশাত্মবোধক সব মৌলিক গানে রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। বিশেষ করে চলচ্চিত্রের গানে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের অবদান অনন্য।

এ যাবৎ তিনি গান রচনা করেছেন দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে। কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ রচনা করেছেন নব্বইটিরও বেশী চলচ্চিত্রের জন্যে। গান লিখতে লিখতেই নাট্যকার রফিকউজ্জামান ১৯৭৫ সালেজড়িয়ে পড়েন চিত্রনাট্য রচনায়। চলচ্চিত্রের জন্যে ক্রমে তিনি হয়ে উঠেন সর্বাপেক্ষা সফল কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা ও সঙ্গীত রচয়িতা। তিনিই একমাত্র চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, যিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কলকাতার অনেক ছবির জন্যেও একাধারে কাহিনি সংলাপ চিত্রনাট্য ও গান রচনা করেছেন।

মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য চিত্রনাট্যগুলো হচ্ছে- ‘দেবদাস’, ‘ঘর সংসার’, ‘সৎ ভাই’, ‘কাজললতা’, ‘বিরাজ বউ’, ‘শুভদা’, ‘সহযাত্রী’, ‘ছেলেকার’, ‘জন্মদাতা’, ‘চরম আঘাত’, ‘না বলো না’ এবং ‘মরণের পরে’সহ আরও অনেক।

তিনি একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে ‘চন্দ্রনাথ’ ও ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার এবং ২০০৮ সালে ‘মেঘের কোলে রোদ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করেন ।

১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান নানা বাড়ী ঝিনাইদহ জেলার ফুরসুন্দি-লক্ষ্মীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার পৈতৃক নিবাস যশোর শহরের খড়কী এলাকায়। মো. শাহাদত আলী ও বেগম সাজেদা খাতুনের দ্বিতীয় পুত্র রফিকউজ্জামান। তার বড়ভাই ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান। একই সাথে তিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য কবি, সাহিত্যিক ও গীতিকবি। তার অপর ভাইয়েরা হচ্ছেন- জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান, বামপন্থী রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান, মোহাম্মদ ইমামুজ্জামান, মোহাম্মদ এনামুজ্জামান, মোহাম্মদ হাবিবুজ্জামান এবং প্রাক্তন জাতীয় দলের হকি খেলোয়াড় মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান।

তিনি ১৯৬০ সালে যশোর জিলা স্কুল থেকে ম্যট্রিক পাশ করেন। শিক্ষাজীবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে যশোর সরকারী মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে আই. এ পাশ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স এবং পরে ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

দেলোয়ার জাহান ঝন্টু

দেলোয়ার জাহান ঝন্টু একজন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র রচয়িতা, ও গীতিকার। ফোক ফ্যান্টাসি ও পারিবারিক অ্যাকশন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সুপরিচিত এই নির্মাতা সত্তরের অধিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এবং শতাধিক চলচ্চিত্রের কাহিনি লিখেছেন।