খোকন

খোকন একজন অঙ্গসজ্জাকার। তিনি ‘তোমাকে চাই’, ‘শুধু তুমি’, ‘মধু পূর্ণিমা’, ‘গরীবের অহংকার’, ‘শিকারী, ‘ঘানি’, ‘মাস্তান সম্রাট’, ‘ময়না মতির সংসার’ ও ‘লাল টিপ’ ছবির অঙ্গসজ্জার দায়িত্ব পালন করেন।

খোকন মৃধা

খোকন মৃধা একজন রূপসজ্জাকার। তিনি ‘স্নেহ’, ‘স্বামী কেন আসামী’, ‘রাগী’, ‘ভন্ড প্রেমিকা’, ‘তুমি কি সেই’ প্রভৃতি ছবির রূপসজ্জার দায়িত্ব পালন করেন।

দিলদার

বাংলা চলচ্চিত্রে দিলদারের (Dildar) প্রধান পরিচয় কৌতুক অভিনেতা। বাস্তবতার দৈনন্দিন ঘানি টানা শেষে ক্লান্ত শরীরে সাধারণ দর্শক যখন তার অভিনয় দেখতেন, তখন তারা মুগ্ধ হতেন, প্রাণ খুলে হাসতেন, ভুলে যেতেন সারা দিনের সব কষ্ট।

অভিনেতা দিলদার চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র কেন এমন হয় এ অভিনয় করার মাধ্যমে। ধীরে ধীরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক অভিনেতার আসন দখল করে নেন তিনি। দিলদারের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তাকে নায়ক করেই নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলী জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

অভিনয়ের জন্য স্বীকৃতিও পেয়েছেন দিলদার। সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে দিলদার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

দিলদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। তিনি ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই তারিখে ইন্তেকাল করেন।

সূত্র:
১. বণিক বার্তা

নাসির খান

ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান খল অভিনেতা নাসির খান। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘চোর’। তিনি ‘নরপিশাচ’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘স্নেহ’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘ভন্ড’, ‘সুপারম্যান’, ‘যোদ্ধা’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘বীর সৈনিক’, ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’ সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

তার আসল নাম মোঃ নাসির দুলাল। তার জন্ম ১৯৫৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বরিশালের মঠবাড়িয়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামে। তিনি ২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।