চম্পা

চম্পা একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। চম্পার অভিনয় দক্ষতা ও ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য তাঁকে চলচ্চিত্রে সাফল্য এনে দেয়। সামাজিক ও অ্যাকশন উভয় প্রকার সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেছেন। কোন নির্দিষ্ট গন্ডিতে নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি।চম্পার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘তিন কন্যা‘। এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তিনি সন্দ্বীপ রায়ের ‘টার্গেট’ ও বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘লালদরজা’ ছবিতে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। চম্পার মূল বৈশিষ্ট্য গ্ল্যামার, ফ্যাশন সচেতনতা এবং পোষাকে বৈচিত্র্য। অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ৫ বার : শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ‘পদ্মানদীর মাঝি‘ (১৯৯৩), ‘অন্য জীবন‘ (১৯৯৫) ও ‘উত্তরের খেপ’ (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য; এবং পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে ‘শাস্তি‘ (২০০৫) ও ‘চন্দ্রগ্রহণ‘ (২০০৮) চলচ্চিত্রের জন্য।

চম্পার পুরো নাম গুলশান আরা আখতার। জন্ম ১৯৭০ সালের ৫ জানুয়ারি যশোরে। বাবা নিজামুদ্দীন আতাউব ছিলেন সরকারি চাকুরীজীবী এবং মা বি. জে. আরা ছিলেন ডাক্তার। তার বড় দুই বোন সুচন্দাববিতা জননন্দিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তাছাড়া রিয়াজ, ওমর সানী ও মৌসুমী তার আত্মীয়। তার স্বামী শহীদুল ইসলাম খান, মেয়ের নাম ইশা। চম্পার শিক্ষাগত আইএসসি।

শফিক তুহিন

শফিক তুহিন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত শিল্পী। চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক এবং সঙ্গীত পরিচালনায় তিনি সুপরিচিত।

তাঁর বাবার নাম এম, এ সবুর এবং মায়ের নাম হালিমা খাতুন। পরিবারের সদস্য চার ভাই দুই বোন। তিনি দর্শনা কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

এস আই টুটুল

এস আই টুটুল বাংলাদেশের সংগীত জগতের অন্যতম খ্যাতিমান শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং অভিনেতা। প্রথমে ব্যান্ডশিল্পী হিসেবে পরিচিত হলেও পরবর্তীতে নিজস্ব দল গঠন করেন টুটুল এবং তার সঙ্গীত প্রতিভার পূর্ণবিকাশ ঘটে। Continue reading

দিলশাদ নাহার কনা

২০০৬ সালে একক অ্যালবাম ‘জ্যামিতিক ভালোবাসা’র টাইটেল গানটির মাধ্যমেই কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আলোচনায় এসেছিলেন সুকণ্ঠী গায়িকা কনা। এরপর একে একে আরও দুটি একক অ্যালবামের মাধ্যমে বেশ কিছু হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল এবং চলচ্চিত্রে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন এই গায়িকা।

কনার জন্ম ১৫ এপ্রিল। তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মিরপুরের টাইনি টটস স্কুল, মগবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং লালমাটিয়া কলেজে পড়াশোনা করেছেন এই গায়িকা।

কুমার বিশ্বজিৎ

‘তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে’, ‘তুমি রোজ বিকেলে’ কিংবা ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ এর মতো গান দিয়ে এখনও শ্রোতাদের হৃদয়ে চির সবুজ হয়ে আছেন কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন। একাধারে তিনি গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক। তিনি একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধীন চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

বিশ্বজিৎ যদিও চট্টগ্রামে বেড়ে উঠেছেন, কর্মজীবনের জন্য তিনি বিভিন্ন সময় ঢাকা আসা যাওয়া করতেন। গানের প্রতি তার আলাদা টান ছিল। ‘তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে’—এই গানটি দিয়ে সঙ্গীত ভুবনে আলোড়ন ফেলে দেন। তখন থেকেই তিনি বিখ্যাত হয়ে উঠেন। সঙ্গীত জীবনে তিনি অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। বাংলাদেশের নামকরা প্রায় সব সঙ্গীত পরিচালকের সাথে তিনি কাজ করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে—‘তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে’, ‘ভিটা নাই রে’, ‘আমি সাম্পানে বাঁধিব ঘর’, ‘মানুষ বুড়ো হয় মন বুড়ো হয় না’, ‘মাতাল হাওয়া কেন বুকের মাঝে মিশে’, ’সেই কথা সেই স্মৃতি ছিলাম খেলার সাথি’ প্রভৃতি।