সাইফ খান কালু

সাইফ খান কালু একজন নৃত্য পরিচালক। আরেক গুণী নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুলের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম নৃত্য পরিচালিত ছবি ঘায়েল।

মাসুম বাবুল

মাসুম বাবুল চার দশকের ক্যারিয়ারে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘বিক্ষোভ’সহ বহু চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালনা করেছেন। তিনি ১৯৯৩ সালে ‘দোলা’, ২০০৮ সালে ‘কি জাদু করিলা’, ও ২০১৮ সালে ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির জন্য নৃত্য পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

তিনি ২০২৩ সালের ৬ মার্চ সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় ঢাকার সিদ্দিক বাজারের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। তিনি দেড় বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন। মাঝে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২০২২ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। রাত ১১টার দিকে আজিমপুর গোরস্থানে সমাহিত করা হয় মাসুম বাবুলের মরদেহ।

রেবেকা

অভিনেত্রী রেবেকা বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন শিশুশিল্পী হিসেবে এবং পরবর্তীতে নায়িকা হন। বর্তমান সময়ে তিনি মা চরিত্রেই বেশী অভিনয় করেন। Continue reading

মুস্তাফা মেহমুদ

মুস্তাফা মেহমুদ একজন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি ১৯৬৬ সালে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’  ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। একক পরিচালনায় তার প্রথম ছবি ‘মোমের আলো’। তার পরিচালিত অন্যান্য ছবিগুলো হল ‘মায়ার সংসার’, ‘আদর্শ ছাপাখানা’, ‘নতুন প্রভাত’, ‘মানুষের মন’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘জয় পরাজয়’, ‘মধুমিতা’, ‘মাটির মানুষ’, ও ‘মণিহার’।

মেহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৬ জানুয়ারি মিরসরাইয়ের মিঠানালায়ে। তার সহধর্মিণী ফিরোজা মেহমুদ। তাদের দুই সন্তান। তিনি ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন।

শিবা সানু

শিবা সানু বাংলা চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা। মাতৃভূমি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু হয়।

তার শিক্ষাগত যোগ্যতা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স)।

মতিউর রহমান পানু

পরিচালক ও প্রযোজক মতিউর রহমান পানু ১৯৬৪ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন।

বিপাশা কবির

বিপাশা কবির (Bipasha Kabir) মিডিয়ায় আসেন লাক্স  চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় সেরাদের তালিকায় নাম লিখিয়ে। তবে চলচ্চিত্রে তিনি প্রবেশ এবং পরিচিত হয়ে উঠেন আইটেম গানে অভিনয়ের মাধ্যমে। চলচ্চিত্র ছাড়াও টিভি নাটকে অভিনয় এবং বিজ্ঞাপনে মডেলিং করেছেন বিপাশা। Continue reading

জাফর ইকবাল

বাংলা চলচ্চিত্রের স্টাইলিশ নায়কদের অন্যতম জাফর ইকবাল। ‘আপন পর‘ (১৯৭০) ছবি দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কবরী। এই সময়ে ‘সাধারণ মেয়ে’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’, ‘ফকির মজনু শাহ’ ছবি তিনটি মুক্তি পাওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। ‘ফকির মজনু শাহ’ (১৯৭৮) ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি রুনা লায়লার সাথে “প্রেমের আগুনে জ্বলে পুড়ে” গানে কণ্ঠ দেন।
অভিনেত্রী ববিতার সাথে জুটিবদ্ধ হয়ে তিনি প্রায় ৩০টির মত ছবি করেন। ‘দিনের পর দিন’, ‘সূর্য সংগ্রাম’, ‘বেদ্বীন’, ‘অংশীদার’, ‘আশীর্বাদ’, ‘অপমান’, ‘পরিবর্তন’, ‘সিআইডি’, ‘গৃহলক্ষ্মী’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘ফুলের মালা’, ‘মর্যাদা’, ‘সন্ধি’, ‘ছোবল’, ‘প্রেম বিরহ’, ‘বন্ধু আমার’, ‘গর্জন’, ‘অবুঝ হৃদয়’সহ সবমিলিয়ে তিনি প্রায় ১৫০টি ছবিতে অভিনয় করেন।
জাফর ইকবালের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার গুলশানে। তার পৈতৃক বাড়ি পাবনা (বর্তমান সিরাজগঞ্জ)। তার ভাই আনোয়ার পারভেজ বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। বোন শাহনাজ রহমতউল্লাহ স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী।