সিদ্দিক জামাল নান্টু

সিদ্দিক জামাল নান্টু, যিনি নান্টু রাজ নামেও পরিচিত, একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও লেখক। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’। এরপর তিনি ‘সারেন্ডার’, ‘বিদায়’, ‘বিক্ষোভ’, ‘সুখের ঘরে দুখের আগুন’, ‘লুটতরাজ’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘লাল বাদশা’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নান্টু মুভিজ। তার প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘সারেন্ডার’, ‘বিজয়’, ‘বিদায়’, ‘রক্ত নিশান’, ‘ভাংচুর’, ‘গোলাগুলী’, ‘রাজার ভাই বাদশা’, চিটার নাম্বার ওয়ান’, ‘ইজ্জতের লড়াই’, ‘ভালবাসার যুদ্ধ’। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রক্ত নিশান’, ‘গোলাগুলী’, ‘ভাংচুর’, ‘রাজার ভাই বাদশা’, ‘ভালবাসার যুদ্ধ’।

নান্টুর জন্ম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি সরিষাবাড়িতে। তার পৈতৃকবাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ২০০৮ সালের ১ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।

জুয়েল মাহমুদ

জুয়েল মাহমুদ একজন গীতিকার। তিনি ‘হৃদয়ের কথা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘তুমি আমার মনের মানুষ’, ‘এক মন এক প্রাণ’, ‘জোনাকির আলো’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘আমি তোমার হতে চাই’ ও ‘গলুই’ চলচ্চিত্রের গানের কথা লিখেছেন।

রেজওয়ান আহমেদ রিজু

রেজওয়ান আহমেদ রিজু একজন শিল্প নির্দেশক। তার উল্লেখযোগ্য কাজ হল ‘মেহের নেগার’, ‘হৃদয়ের কথা’ ও ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’।

এস এ হক অলিক

এস এ হক অলিক একজন নাট্য নির্মাতা, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং গীতিকার। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে তিনি টিভি পর্দায় নাট্য পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি চেয়েছিলেন অভিনেতা হবেন, কিন্তু নাটক নির্মানে সফলতার পর তিনি হৃদয়ের কথা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মানে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম ছবিতেই তিনি প্রচন্ড সফলতা অর্জন করেন।

জামালপুরের ছেলে অলিকের স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হওয়ার। ১৯৯২ সালে পড়াশোনা করতে ঢাকায় আসেন।। ঢাকায় আসার পর সেই স্বপ্ন ডালপালা মেলতে শুরু করে। ১৯৯৫ সালে যোগ দেন নাটকের দল দৃষ্টিপাত নাট্যসংসদ এ। এ দলের প্রায় সবকটি প্রযোজনায় কাজ করেন তিনি। বললেন, ‘আমি কিন্তু এখনো টুকটাক অভিনয় করি। তবে আমি নির্মাতা হিসেবে কাজ করে বেশি আনন্দ পাই। আমি মনে করি, সৃষ্টির আনন্দটা সত্যিই অন্যরকম।’
নির্মাতা হওয়ার গল্পটা কেমন জানতে চাইলে অলিক জানালেন, ‘১৯৯৬ সালের ঘটনা। একটি নাটকের কাজে আমি জিনাত ভাবির (জিনাত হাকিম, নাট্যকার ও পরিচালক) বাসায় যাই। তখন নাটক নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছিল। এরই মধ্যে হাকিম ভাইকে (আজিজুল হাকিম) ডেকে ভাবি বললেন, অলিক যদি নির্মাতা হয় তাহলে ভালো করবে। তারপর জিনাত ভাবিই একদিন আমাকে প্রখ্যাত নির্মাতা আমজাদ হোসেনের কাছে নিয়ে যান। তাঁর কাছ থেকে কাজ শিখতে থাকি। তিনি আমার গুরু।’

১৯৯৯ সালে ‘অতঃপর তাহারা’ নাটকটির মাধ্যমে পরিচালনায় নাম লেখান অলিক। নাটকের নির্মাতা নাকি চলচ্চিত্রের নির্মাতা কোন পরিচয়টাকে বেশি উপভোগ করেন জানতে চাইলে অলিক বলেন, ‘এটা ঠিক যে, আমি এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। তারপরও আমাকে শুনতে হয়, আপনি কি নাটকও বানান! বিষয়টা খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। কিন্তু ‘হৃদয়ের কথা’ সিনেমার কথা বললে আমার আর কোনো পরিচয় দিতে হয় না। আমিও সেই পরিচয় নিয়ে বাঁচতে চাই।’