এ আর জাহাঙ্গীর

এ আর জাহাঙ্গীর একজন চিত্রগ্রাহক। তার উল্লেখযোগ্য কাজ হল ‘সুজন সখি’, ‘বিচার হবে’, ‘মেহের নেগার’, ‘যৈবতী কন্যার মন’।

দুলারী

আশির দশক থেকে এখন পর্যন্ত খল চরিত্রে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন দুলারী। চলচ্চিত্রকারদের মতে, সুমিতা দেবী, মায়া হাজারিকা কিংবা রিনা খানের পরে দুলারী হচ্ছেন একজন শক্তিমান খল অভিনেত্রী। তাই এই চরিত্রে দর্শক ও নির্মাতার প্রথম পছন্দ দুলারী। পর্দায় খল চরিত্রে কাজ করলেও বাস্তবে ঠিক উল্টো তিনি। পরোপকারী ও সমাজসেবক হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। প্রায় পাঁচ শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি এবং এখনো অভিনয়ে সক্রিয় রয়েছেন।

দুলারীর জন্ম ১৯৬৬ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকার সাভারে। নিজের সম্পর্কে দুলারী বলেন, ‘আমি হিন্দুর মেয়ে। আমার আগের নাম আল্পনা দুলারী দে। এখন আমার নাম শাহনাজ পারভিন দুলারী। আমি মুসলিম ধর্ম পালন করি। আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, কোরবানি দেই, রোজার মাসে রোজা রাখি, আমার যে ধর্ম ভালো লাগে…।’

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি ‘বাংলার বউ’ ও ‘আমাদের ছোট সাহেব’ ছবি প্রযোজনা করেছেন।

আবুল কাশেম মিঠুন

আশির দশকে মিঠুনের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ‘ভেজা চোখ’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘বাবা কেন চাকর’। এছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন এবং সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন।

শেখ আবুল কাশেম মিঠুনের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার দরগাপুরে।  তিনি বেশ কিছু দিন কিডনি ও উচ্চরক্তচাপজনিত রোগে ভুগে ২০১৫ সালের ২৫ মে কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

সি বি জামান

বর্ষীয়ান পরিচালক ও অভিনেতা সি বি জামান ‘ঝড়ের পাখি’, ‘উজান ভাটি’, ‘পুরস্কার’সহ বেশ কয়েকটি প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘পুরস্কার’ ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল।

জামানের জন্ম আসামের গৌরীপুরে। তার বাবার নাম ইমাদুর রহমান চৌধুরী ও মায়ের নাম শরীফা খাতুন। তিনি এমসি কলেজে পড়াশোনা করেছেন।

তার স্ত্রী ফাতেমা জামান। তাদের একমাত্র সন্তান চৌধুরী ফরহাদুজ্জামান (সি এফ জামান)।

সি বি জামান ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।