এস এ হক অলিক

এস এ হক অলিক একজন নাট্য নির্মাতা, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং গীতিকার। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে তিনি টিভি পর্দায় নাট্য পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি চেয়েছিলেন অভিনেতা হবেন, কিন্তু নাটক নির্মানে সফলতার পর তিনি হৃদয়ের কথা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মানে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম ছবিতেই তিনি প্রচন্ড সফলতা অর্জন করেন।

জামালপুরের ছেলে অলিকের স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হওয়ার। ১৯৯২ সালে পড়াশোনা করতে ঢাকায় আসেন।। ঢাকায় আসার পর সেই স্বপ্ন ডালপালা মেলতে শুরু করে। ১৯৯৫ সালে যোগ দেন নাটকের দল দৃষ্টিপাত নাট্যসংসদ এ। এ দলের প্রায় সবকটি প্রযোজনায় কাজ করেন তিনি। বললেন, ‘আমি কিন্তু এখনো টুকটাক অভিনয় করি। তবে আমি নির্মাতা হিসেবে কাজ করে বেশি আনন্দ পাই। আমি মনে করি, সৃষ্টির আনন্দটা সত্যিই অন্যরকম।’
নির্মাতা হওয়ার গল্পটা কেমন জানতে চাইলে অলিক জানালেন, ‘১৯৯৬ সালের ঘটনা। একটি নাটকের কাজে আমি জিনাত ভাবির (জিনাত হাকিম, নাট্যকার ও পরিচালক) বাসায় যাই। তখন নাটক নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছিল। এরই মধ্যে হাকিম ভাইকে (আজিজুল হাকিম) ডেকে ভাবি বললেন, অলিক যদি নির্মাতা হয় তাহলে ভালো করবে। তারপর জিনাত ভাবিই একদিন আমাকে প্রখ্যাত নির্মাতা আমজাদ হোসেনের কাছে নিয়ে যান। তাঁর কাছ থেকে কাজ শিখতে থাকি। তিনি আমার গুরু।’

১৯৯৯ সালে ‘অতঃপর তাহারা’ নাটকটির মাধ্যমে পরিচালনায় নাম লেখান অলিক। নাটকের নির্মাতা নাকি চলচ্চিত্রের নির্মাতা কোন পরিচয়টাকে বেশি উপভোগ করেন জানতে চাইলে অলিক বলেন, ‘এটা ঠিক যে, আমি এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। তারপরও আমাকে শুনতে হয়, আপনি কি নাটকও বানান! বিষয়টা খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। কিন্তু ‘হৃদয়ের কথা’ সিনেমার কথা বললে আমার আর কোনো পরিচয় দিতে হয় না। আমিও সেই পরিচয় নিয়ে বাঁচতে চাই।’

আজমল খান রফিক

আজমল খান রফিক ‘ও সাথী রে’ চলচ্চিত্রের প্রধান সহকারী পরিচালক।

ইকবাল

ইকবাল (Iqbal) একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সহকারী পরিচালক হিসেবে ইকবাল চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। আরেক চলচ্চিত্র পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফির সাথে মিলে যৌথভাবে সাফি-ইকবাল নামে বেশ কিছু চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন তিনি। পরবর্তীতে ইকবাল চলচ্চিত্র পরিচালনা ছেড়ে দিলে সাফি একাই সাফি উদ্দিন সাফি নামে চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন।