রওশন আরা

রওশন আরা খ্যাতিমান চিত্রপরিচালক মহিউদ্দিনের ‘মাটির পাহাড়’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৫৯ সালে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তার অভিনীত অন্যান্য ছবি হল ‘যে নদী মরুপথে’, ‘সূর্যস্নান’, ‘নতুন সুর’, ‘নদী ও নারী’, ‘মেঘের অনেক রং’, ‘আমির ফকির’, ‘দরদীশত্রু’।

রওশন আরার জন্ম ১৯৪০ সালের ৩ আগস্ট পাবনা শহরে। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ছোট বেলায় পরিবারের সাথে রাজশাহীতে চলে যান। রাজশাহীতে পিএন গার্লস স্কুলে ভর্তি হন। এরপরে পারিবারের সাথে বগুড়া ও নড়াইলে থাকা কালে সেখানকার স্কুলেও পড়াশোনা করেন। আবার ১৯৫০ সালে পাবনায় ফিরে আসেন এবং ১৯৫৪ সালে পাবনা গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৫৬ সালে এ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ঢাকার মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজে (বর্তমান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) ভর্তি হন এবং এমবিবিএস পাস করেন।

ডাঃ রওশন আরা ব্যক্তিজীবনে চিকিৎসক জহুরুল কামাল-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই চিকিৎসক দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। তারা এক কন্যা দত্তক নেন, তার নাম ঋতি। রওশন আরা ২০১০ সালে ২৪ জুন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর

কৃতজ্ঞতা: অনুপম হায়াৎ

স্বপ্না

স্বপ্না ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ ও ‘দাতা হাতেম তাই’ ছবিতে অভিনয় করেছেন।

দাগু বর্দ্ধন

দাগু বর্দ্ধন একজন চরিত্রাভিনেতা ছিলেন। তিনি ‘এ দেশ তোমার আমার’ ও ‘যে নদী মরুপথে’ ছবিতে অভিনয় করেন।

শমসের আলী

শমসের আলী একজন রূপসজ্জাকার। তিনি ঢালিউডের প্রথম সবাক বাংলা চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এ রূপসজ্জাকার হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি ‘এ দেশ তোমার আমার’, ‘আসিয়া’, ‘রাজধানীর বুকে’, ‘কখনো আসেনি’, ‘সুতরাং’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রে কাজ করেন।

তালাত মাহমুদ

ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা পুরুষ অ-শাস্ত্রীয় ও অর্ধ-শাস্ত্রীয় গায়করূপে বিবেচিত তালাত মাহমুদ মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রের গানে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে পরিচিত।

কে. জি. মোস্তফা

‘তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে’ এবং ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’ কালজয়ী গান দুটির গীতিকার কে জি মোস্তফা। তিনি একাধারে গীতিকার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

১৯৩৭ সালের ১ জুলাই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন কে জি মোস্তফা। তিনি ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। দৈনিক ইত্তেহাদে ১৯৫৮ সালে শিক্ষানবিশ হিসেবে সাংবাদিকতায় যোগ দেন তিনি।

১৯৭৬ সালে তিনি বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারভুক্ত হন এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে সিনিয়র সম্পাদক (যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদা) হিসেবে অবসর নেন।

খ্যাতিমান এই গীতিকার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগ কৃর্তক পদক ‘দেশবরেণ্য গীতিকার’ পদকসহ আরো বহু পদকে ভূষিত হয়েছেন।

২০২২ সালের ৮ মে রবিবার রাত ৮টার দিকে আজিমপুরে নিজ বাসায় অসুস্থবোধ করলে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কে জি মোস্তফার ছেলে মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। আজিমপুর কবরস্থানে তার মরদেহের দাফন হয়।

পাভেল অরিন

পাভেল অরিন একজন সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। তিনি ‘আয়নাবাজি’, ‘ডুব’, ‘কমলা রকেট’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রের সঙ্গীতায়োজন করেছেন।