বিন্দিয়া

নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যানের আবিষ্কার বিন্দিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র ‘দাবাং’ অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত এবং সমালোচিত। দাবাং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালী পর্দায় প্রথম উপস্থিত হলেও বিন্দিয়া অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র জান পরবর্তীতে মুক্তি পায়।

প্রথম ছবিতেই বেশ কিছু খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য সমালোচিত হলেও বিন্দিয়া বলেছেন ভিন্ন কথা, ‘দাবাং দিয়ে আমার রুপালি পর্দায় যাত্রা। তাই নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করেছি। আমার অভিনীত কোনো অংশে আপত্তিকর কিছু ছিল না। যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁরা আসলে মন দিয়ে ছবিটি দেখেননি। আমি অভিনয় করতে এসেছি, সমালোচনার পাত্র হতে নয়।’

অভিনয়ের টানে খুলনা থেকে ঢাকায় আসা বিন্দিয়া জান চলচ্চিত্রের জন্য ক্যামেরার সামনে দাড়ানোর আগে কখনো অভিনয় করেন নি। চলচ্চিত্রে তার নিজস্ব অবস্থান তৈরী করার লক্ষ্যে নিয়মিত অভিনয়-নাচ-জিম চালিয়ে যাচ্ছেন বিন্দিয়া।

নিজের অভিনয় সম্পর্কে দৈনিক কালের কন্ঠের সাথে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ”শেখার অনেক বাকি আছে আমার। অভিনয় সারা জীবনই শিখতে হয়। তাই বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন চরিত্রের ছবিগুলো খুব মন দিয়ে দেখছি। আমি পরিশ্রম করতে চাই। ভালো কিছু দিতে চাই। নায়িকা নয়, বরং ভালো একজন অভিনেত্রী হতে চাই।’

বাদল খান

বাদল খান ‘সবাইতো ভালোবাসা চায়’ ও ‘সাথী হারা নাগিন’ ছবির সহযোগী পরিচালক।

শেখ নজরুল ইসলাম

শেখ নজরুল ইসলাম একজন পরিচালক, কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, ও অভিনেতা। তার জন্ম ১৯৪৪ সালের ৭ নভেম্বর নাটোরে। তিনি ‘সাত ভাই চম্পা’ ছবিতে অভিনয় করেন। লেট দেয়ার বি লাইট (অসমাপ্ত) ছবিতে জহির রায়হানের সহকারী হিসেবে কাজ করেন এবং এতে একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। শেখ নজরুল ইসলাম পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র চাবুক(১৯৭৪)। তার পরিচালিত অন্যান্য ছবিগুলো হল ‘নদের চাঁদ’ (১৯৭৯), ‘এতিম’ (১৯৮০), ‘নাগিন’, ‘মাসুম’ (১৯৮১), ‘ঈদ মোবারক’ (১৯৮২), ‘আশা’ (১৯৮৩), ‘পরিবর্তন’ (১৯৮৪), ‘নতুন পৃথিবী, ‘দিদার’ (১৯৮৭), ‘সালমা’ (১৯৮৮), ‘বউ শ্বাশুড়ী’, ‘কসম’ (১৯৮৯), ‘বিধাতা’, ‘স্ত্রীর পাওনা’ (১৯৯১), ‘চাঁদের আলো’ (১৯৯২), ‘চাঁদের হাসি’ (১৯৯৩), ‘চক্রান্ত’ (১৯৯৬), ‘সিংহ পুরুষ’ (১৯৯৮), ‘সব খতম’ (২০০৩), ‘দমন’ (২০০৫), ‘জোছনার প্রেম’ (২০০৬), ‘মা বড় না বউ বড়’ (২০০৯)

ফারুক হোসেন

ফারুক হোসেন ‘গোলাপী এখন বিলাতে’ ছবির সহযোগী পরিচালক।

হেলাল খান

হাফিজ উদ্দিন পরিচালিত ‘প্রিয় তুমি’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় হেলাল খানের। এরপর ‘বাজিগর’, ‘সাগরিকা’, ‘আশা আমার আশা’, ‘হাছন রাজা’, ‘মমতাজ’, ‘জুয়াড়ি’, ‘গুরু ভাই’, ‘কুখ্যাত খুনি’সহ অর্ধশতাধিক সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। তার প্রযোজিত ছবির মধ্যে বাজিগর, সাগরিকা ও হাছন রাজা অন্যতম। হাছন রাজা চলচ্চিত্রটি ২০০২ সালে সেরা চলচ্চিত্রের ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায়। তবে তিনি পুরস্কার পেয়েছেন একই বছর ‘জুয়াড়ি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।