আনোয়ার আজাদ একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি ‘গন্তব্য’ ও ‘মেঘনা কন্যা’ ছবি প্রযোজনা করেছেন।
News Category:
এলিনা শাম্মী
এলিনা শাম্মী ‘গন্তব্য’ ছবির লেখক ও অভিনেত্রী।
হাসনাত রিপন
হাসনাত রিপন ছোট পর্দা, ওটিটি ও বড় পর্দা সব মাধ্যমেই সরব। ২০০৭ সালে এনটিভিতে প্রচারিত ‘ইঁদুর’ নাটকের মাধ্যমে টেলিভিশনে হাসনাত রিপনের অভিনয় জীবন শুরু। তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য কাজের মধ্যে ‘ডাকাত’, ‘ইতি ফরহাদ’, ‘লেবু চায়ে আড্ডা’, ‘পুতুলের সংসার’, ‘সোনালী বিকেল’, ‘এন্ড কাউন্টার’, ‘কেস ৩০৪০’ উল্লেখযোগ্য। ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘তুমি আছ তাই’, ‘উইন্ডো’, ‘সংসার’, ‘কাচের ক্যানভাস’, ‘একদিন প্রজ্ঞার দিন’, ‘রৌদ্র ছায়ার খেলা’, ‘ফুল এইচডি’, ‘উৎসব’, ‘সাতকাহন’ এবং ‘ডেইলি ফাইট নাইট’।
ছোট পর্দার পাশাপাশি হাসনাত রিপন কাজ করছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বড় পর্দায়। তিনি ‘স্ফুলিঙ্গ’ ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর ‘পদ্মাপুরাণ’, ‘রাত জাগা ফুল’, ‘শরতের জবা’ ও ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তার অভিনীত ওয়েব সিরিজের মধ্যে রয়েছে ‘সাবরিনা’, ‘টেক্কা’, ‘মিশন হান্টসডাউন’, ‘ফ্যাঁকড়া’ এবং ওয়েব ফিল্মের মধ্যে রয়েছে ‘পাতালঘর’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’, ‘আমলনামা’ ও ‘মায়া’।
হাসনাত রিপনের বেড়ে ওঠা ঢাকার পূর্বাচলের ইছাপুর গ্রামে। মাধ্যমিকে পড়ার সময় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার না পেলেও যেমন খুশি তেমন সাজো বিভাগে পুরস্কার নিশ্চিত ছিল। এখান থেকেই অভিনয়ের নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। হাসনাত রিপনের কথায়, ‘ইছাপুর স্কুল মাঠে প্রতি শীতে তখন নাটক হতো। চলত মহড়া, নির্দেশনা, নাটকগুলোতে চাচাতো ভাইদের অনেকেই অভিনয় করতেন। এর মধ্যে মাসুদ ভাই তখন তুখোড় অভিনেতা, এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল। বিষয়টি ভালো লাগত, তখন থেকেই অভিনয় করার ইচ্ছা জন্মেছে আমার মধ্যে।’ স্কুল-কলেজ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ভর্তি হন ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে। অভিনয় শেখার আগ্রহে যুক্ত হন পদাতিক নাট্য সংসদে। নিয়মিত রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনে গান করেন দল বেঁধে। শো করতে থাকেন শহীদ মিনার, চারুকলার বকুলতলা, রবীন্দ্র সরোবরে। সেখানে দুই বছর সময় দেওয়ার পর ভর্তি হন প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাক্টিং অ্যান্ড ডিজাইনে। ছয় মাসব্যাপী স্কুলিংয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এর পর থেকে প্রাচ্যনাটের নিয়মিত সদস্য হিসেবে অভিনয় ও নেপথ্যে কাজ করছেন তিনি। দলটির হয়ে ‘বনমানুষ’, ‘রাজা ও অন্যান্য’, ‘কিনু কাহারের থেটার’, ‘গন্ডার’, ‘কইন্যা’ নাটকে কাজ করেছেন তিনি। প্রাচ্যনাটের ‘রাজা এবং অন্যান্য’ আর ‘ট্রাজেডি পলাশবাড়ী’ নাটক নিয়ে শো করেছেন ভারতের কলকাতা, কোচবিহার, শিলিগুড়ি, বহরমপুর। আরও অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ‘বাঁধ’, ‘বিসর্জন’ নাটকে। এর বাইরে থিয়েটারে ডিজাইন করেছেন স্কলাস্টিকা, সানবিমস, সানিডেল স্কুলের প্রোডাকশনে।
অভিনয়ে ভিক্টর ব্যানার্জি, উৎপল দত্ত ও হুমায়ুন ফরীদিকে আদর্শ মানেন হাসনাত রিপন। তবে তিনি মনে করেন, আদর্শ যে কেউ হতে পারে। হাসনাত রিপনের কথায়, ‘কারও কোনো শৈল্পিক মুহূর্ত নিজের আদর্শের পথ তৈরি করতে পারে, যা আমি নানান পথ–মতের ভেতর থেকে খুঁজে ফিরি। তাই আমি আদর্শের জন্য কাউকে এককভাবে বিশেষায়িত করতে চাই না। শিল্প আসলে সত্তা যা যাপন করার বিষয়, আমি সে জীবন যাপন করতে চাই।’
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো
মোঃ রোহান
মোঃ রোহান ‘শিমু’ ছবির অঙ্গসজ্জাকর।