চলচ্চিত্রাভিনেত্রী তমা মির্জা (Toma Mirza) চলচ্চিত্রে এসেছেন শাহিন–সুমনের হাত ধরে। প্রথম দিকে অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো খুব একটা সফলতার মুখ না দেখলেও ধীরে ধীরে তমা মির্জা নিজের অবস্থানকে শক্ত করে নিচ্ছেন।
শাহিন সুমন পরিচালিত ‘মনে বড় কষ্ট’ ছবিতে পার্শ্বনায়িকা হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকশ করেন তমা মির্জা। অবশ্য এর আগেই ‘রাজা সূর্য খাঁ’ চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মহরতের পর বাদ পড়েন। তারপরে একাধিক ছবিতে ভালো অভিনয় করলেও সেগুলোও পার্শ্বনায়িকা চরিত্রে ছিল। অনন্ত হীরা পরিচালিত ‘ও আমার দেশের মাটি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তমা মির্জা একক নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তমা মির্জা সম্পর্কে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন – শাবনূরের পরে তমা মির্জাই একজন অভিনেত্রী যিনি নিজের সবটুকু উজাড় করে অভিনয় করেন।
২০১২ সালের জুন মাসে উন্মোচন ডট কমে প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে তমা মির্জা নিজেকে নায়িকা নয় বরং অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্রত সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, ‘প্রথমত চাইতাম নায়িকা হব, নাচ গান করব, এখন বুঝলাম নায়িকা নয় আমাকে অভিনেত্রী হতে হবে। এই ব্রত নিয়েই এখন পথ চলছি।’ একই সাক্ষাতকারে তমা মির্জা তার দ্রুত সাফল্যের পেছনে দুইজন চলচ্চিত্র পরিচালকের অবদান স্বীকার করেন। তিনি বলেন, অভিনয় কাকে বলে, ডাবিং কাকে বলেন, অভিনয় শেখা, অভিনয়ে যে রসের কিছু থাকতে হয়। এই যে একটা শিল্প, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি, এসব কিছু আমাকে শেখানোর জন্য আমার দুই গুরু। যাদের পথনির্দেশনায় আজ আমি তমা মির্জা। সে দুইজন প্রাজ্ঞপুরুষ হচ্ছেন পরিচালক কাজী হায়াত এবং সোহানুর রহমান সোহান ভাই। তারা আমাকে শিখিয়েছেন কোন ছবি নিব, কোন ছবিতে অভিনয় করব না ইত্যাদি।’
২০১৫ সালে তিনি ‘নদীজন’ ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৭ সালে তিনি ‘গ্রাস’, ‘অহংকার’ ও ‘গেইম রিটার্নস’ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।
তমা মির্জার জন্ম ও শৈশব-কৈশোর কেটেছে বাগেরহাটের কচুয়ায়। সেখানে মাধ্যমিক পাশ করে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। ছোটবেলার স্বপ্ন ল-ইয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বর্তমানে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তমা মির্জার ছোট একটি ভাই রয়েছে, তার নাম তুর্য। পরিবারে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে রিটায়ার্ড বাবা এবং গৃহিনী মা।