সঙ্গীত শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবেই বেশী পরিচিত। ১৯৯৭ সালে শওকত আলী ইমনের সুরে জননেতা ছবিতে প্লে ব্যাক করার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তিনি কয়েক শতাধিক প্লে ব্যাকে অংশগ্রহণ করেছেন।
ছোটবেলা থেকেই তিনি সঙ্গীতের সাথে জড়িত। বর্ণমালার সাথে পরিচয় হওয়ার আগেই যেন তিনি সঙ্গীতের সাথে পরিচিত হন। স্কুলশিক্ষিকা মা তার গানের প্রথম প্রেরণা, তিনিই ছায়ানটে তাঁকে গানের ক্লাসে ভর্তি করে দেন। গানের জন্য দিনাত জাহান মুন্নী মোট পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। সাত বছর বয়সে চাঁদপুরে ‘কচি কাঁচার আসরে’ গান শুনে ঢাকা থেকে রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই অনেক উপহারসহ তাকে পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর বঙ্গভবনে পেয়েছিলেন পাঁচ হাজার টাকার পুরস্কার। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ ওই পুরস্কার দিয়েছিলেন। এরপর বাংলাদেশ বেতার থেকে ১৯৯৬ সালে প্রথম পারিশ্রমিক হিসেবে দেড়শো টাকা পেয়েছিলেন দিনাত জাহান মুন্নী।
২০০০ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম ‘প্রতীক্ষা’। ছয় বছর বিরতির পর লালনের গান নিয়ে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘অপার হয়ে বসে আছি’। এছাড়া আসিফের সঙ্গে তিনটি দ্বৈত অ্যালবাম ‘মন ছুঁয়ে যাও, চলো যাই অজানায়, ফিরব না আজ বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি মিশ্র অ্যালবামে তিনি গান গেয়েছেন।
দিনাত জাহান মুন্নী এবিসি রেডিওতে অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তিনি মাছরাঙ্গা টিভিতে কর্মরত আছেন, অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করছেন ।আধুনিক, দেশাত্মবোধক, লালনগীতি ও হারানো দিনের গান গাইতে পছন্দ করেন দিনাত জাহান মুন্নী।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি গীতিকার কবির বকুলের সহধর্মিনী। ১৯৯৭ সালে তারা ভালোবেসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি কন্যা এবং একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। মেয়েদের নাম প্রেরণা এবং প্রতীক্ষা, ছেলের নাম প্রচ্ছদ।