নতুন মুখের সন্ধানে দিয়ে একইসঙ্গে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতি। ‘পর্বত’ চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধে প্রথম অভিনয় করেন তারা। সুদর্শন সোহেল চৌধুরী মূলত রোমান্টিক নায়ক হিসেবে খ্যাতি পান। তার চুলের স্টাইল সে সময়ের তরুণদের মধ্যে কিছুটা জনপ্রিয়তাও পায়। আশির দশকের শেষভাগে তার স্টাইল ও গ্ল্যামার সে সময়ের দর্শককে আকৃষ্ট করত।
১৯৮৫ সালে আমজাদ হোসেনের ‘হীরামতি’ সিনেমাতে ফের জুটি বাঁধেন তারা। দিতির বিয়ে পারিবারিকভাবে ঠিক হয়ে ছিল। এই ছবির কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা। সেজন্য আর কোনো নতুন ছবির কাজ হাতে নিচ্ছিলেন না তিনি। শুধু বিখ্যাত পরিচালক আমজাদ হোসেনের অনুরোধ ফেলতে পারেননি বলে ‘হীরামতি’ ছবির কাজ করতে রাজি হন। জাফলং ও শ্রীমঙ্গলে চলছিল শুটিং। শুটিং করতে গিয়েই সোহেল ও দিতি প্রেমে পড়লেন। দিতির বিয়ের তখন মাত্র দিন দশেক বাকি। এরই মধ্যে ঢাকায় ফিরে পালিয়ে সোহেল চৌধুরীর বনানীর বাড়িতে গেলেন তারা। কাজী ডেকে বিয়ে করলেন সোহেল-দিতি। বিয়ের পর তাদের বেশ সুখের সংসার ছিল। সে ঘরে আসে দুই সন্তান, মেয়ে লামিয়া চৌধুরী ও ছেলে শাফায়েত চৌধুরী।
‘হীরামতি’র পর সোহেল-দিতি জুটির পর পর কয়েকটি ছবি মুক্তি পায়। সোহেল-দিতি অভিনীত ‘চিরদিনের সাথী’ ছবিটিও মোটামুটি ব্যবসা সফল হয়| এ ছবির ‘তুমি আমার, আমি তোমার, চিরদিনের সাথী’ গানটি জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।