রুবাইয়াত হোসেন

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের একজন মেধাবী নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র মেহেরজান নির্মানের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই চলচ্চিত্র তার জন্য একই সাথে দেশের মাটিতে প্রচন্ড সমালোচনা এবং বিদেশের মাটিতে প্রভূত সম্মাননা বয়ে আনে। মেহেরজান চলচ্চিত্রে তিনি মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন – এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মাত্র চারদিন পরেই চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যায়, তবে চলচ্চিত্রটি সেন্সরবোর্ড কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় নি।

রুবাইয়াত হোসেন মূলত একজন গবেষক। তবে ছোটবেলায় সত্যজিৎ রায় এবং ঋত্বিক ঘটকের ছবি দেখার মাধ্যমে চলচ্চিত্রের প্রতি তার আগ্রহ তৈরী হয়। পরবর্তীতে এই আগ্রহ থেকেই তিনি ২০০২ সালে নিউ ইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকে চলচ্চিত্র নির্মানের উপর ডিপ্লোমা ডিগ্রি গ্রহন করেন। এরপর তিনি কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মান করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। তার নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হল – প্রিয় আমি (৮ মিনিট), বালিকার গোল্লাছুট (৫২ সেকেন্ড), সীমান্ত (১ মিনিট ১২ সেকেন্ড)। এ সকল ছবিই তিনি ২০০৫ সালে নির্মান করেন। মেহেরজান চলচ্চিত্র নির্মানের মাধ্যমে তিনি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মান শুরু করেন।

গবেষক রুবাইয়াত হোসেন আমেরিকার স্মিথ কলেজ থেকে ওম্যান স্টাডিসে বিএ এবং পেনস্যালভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাউথ এশিয়ান স্টাডিসের উপর এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। তার আগ্রহের বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সুফিজম, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, বাঙ্গালী মর্ডানিটি এবং ফিমেল সেক্সুয়ালিটির সাথে এর সম্পর্ক ইত্যাদি। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিও যেমন আইন ও শালিস কেন্দ্র, নারীপক্ষ-তে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইকনোমিক্স এবং সোশ্যাল সায়েন্স বিভাগে পার্টটাইম শিক্ষকতা করছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে রুবাইয়াত হোসেন বিবাহিত। তার স্বামী আশিক মোস্তফাও একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। ২০০২ সালে তিনি ফুলকুমার নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মান করেন। এছাড়া তিনি সাহিত্যচর্চার সাথে যুক্ত আছেন।

 

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নামরুবাইয়াত হোসেন

পুরষ্কার

পুরষ্কারবছরফলাফলবিভাগ/গ্রহীতাচলচ্চিত্র
জয়ীশ্রেষ্ঠ পরিচালক শিমু: মেড ইন বাংলাদেশ