শিরিন বকুল

পঁচিশ বছরের বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সাথে যুক্ত থেকে মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের দর্শকদের তৃপ্ত করেছেন যিনি তার নাম শিরিন বকুল। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মঞ্চে নিয়মিত কাজ করলেও পাশাপাশি টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করেছেন এবং চলচ্চিত্রের সাথেও যুক্ত হয়েছেন। এছাড়া আবৃত্তির সাথেও জড়িত শিরিন বকুল।

অভিনয়ে শিরিন বকুলের হাতেখড়ি হয় ১৯৮৬ সালে ‘থিয়েটার’ নাট্যদলের (তোপখানা) হয়ে তারিক আনাম খানের নির্দেশনায় ‘পালাবদল’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এরপর একই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘যুদ্ধ এবং যুদ্ধ’, ‘তোমরাই’, ‘বিষ রক্ষার ছুরি’সহ আরো বেশকিছু নাটকে। এই দলের হয়ে মঞ্চ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন টানা দশ বছর। এরপর তিনি ‘আরন্যক’ এবং পরে ‘নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়’র সাথে নিজেকে যুক্ত করেন।

টিভি নাটকে অভিনয়ের শুরুতেই শিরিন বকুল আলোচনায় চলে আসেন টানা বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে। যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে শেখ রিয়াজ উদ্দিন বাদশা প্রযোজিত ‘আনোয়ারা’ (শিরিন বকুল অভিনীত প্রথম টিভি নাটক), গ্রন্থিকগণ কহে’ আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সংশপ্তক, আলাউদ্দিন আহমেদের ‘বারো রকমের মানুষেরা’ ইত্যাদি।

চলচ্চিত্রে শিরিন বকুলের অভিষেক হয় জয়নাল আবেদীনের নির্দেশনায় ‘শত্রু শত্রু খেলা’ ছবিতে অভিনয় করে। এরপর তিনি চাষী নজরুল ইসলামের ‘রঙ্গিন দেবদাস’, দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি আবৃত্তিও করছেন শিরিন বকুল। ‘কন্ঠশীলন’-এ আবৃত্তির প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর তিনি গড়ে তুলেছিলেন ‘স্বঋত’ নামের একটি আবৃত্তি সংগঠন। ‘তোমাকে ভুলতে ভুলে যাই’ শিরোনামে একটি দ্বৈত আবৃত্তির অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর।

২৮ জুলাই জন্ম নেয়া শিরিন বকুলের স্বামী প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক ও শিশু সাহিত্যিক আহমাদ মাজহার (চ্যানেল আইয়ের কর্মরত)। তার একমাত্র সন্তান সুদীপ্ত প্রিয়দর্শন।

সূত্র:
১. ইনকিলাব
২. সাতদিন

 

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নাম শিরিন বকুল
জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ