শিবলি সাদিক

রোমান্টিক ও সামাজিক এ্যাকশন ধারার চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত পরিচালকের নাম শিবলি সাদিক (Shibly Sadik)। ‘নোলক’ চলচ্চিত্রের জন্য তাকে বেশী স্মরণ করা হয়।

শিবলি সাদিক ১৯৪১ সালের ৯ জানুয়ারি নওগাঁ জেলার মঙ্গলবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। চারুকলার ছাত্র হলেও চলচ্চিত্রের প্রতি নেশার কারণেই শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া সম্পন্ন করেননি। ১৯৬০ -এর দশকে বিখ্যাত পরিচালক-প্রযোজক মোস্তাফিজুর রহমানের উর্দু চলচ্চিত্র ‘তালাশ’ এর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। সুভাষ দত্তের সাথেও দীর্ঘদিন সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তার পরিচালনায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বালা’৷ সৈয়দ আওয়ালের সঙ্গে যৌথভাবে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন৷ একক পরিচালিত প্রথম ছবি শীত বসন্ত।

২০০৬ সালে মুক্তি পায় শিবলি সাদিকের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘বিদেশিনী’। চলচ্চিত্রটি সরকারি অনুদানে নির্মিত। ১৯৮৮-১৯৮৯ সালের দিকে নির্মাণ করেন ‘শবনম’, চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। তিনি দুই ডজনের মতো চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন। শিবলি সাদিক পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে জীবন নিয়ে জুয়া, নোলক, রেশমী চুড়ি, তিনকন্যা, শীত বসন্ত, অঙ্গীকার, দোলনা, হীরামন, ভেজা চোখ, নীতিবান, অচেনা, পাহারাদার, অনুতপ্ত, অন্তরে অন্তরে, মায়ের অধিকার, মা মাটি দেশ, অনেক দিনের আশা, খুনী আসামি, বদসুরত, দংশন, দুর্নাম, অর্জন ও আনন্দঅশ্রু ইত্যাদি। এর মধ্যে কিছু চলচ্চিত্রের প্রযোজক তিনি। ‘তিনকন্যা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় গুলশান আর চম্পার।

শিবলি সাদিক বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন৷ নতুন পরিচালকদের উৎসাহিত করতে ‘কুটির-ই-চলচ্চিত্র’ নামে সংগঠন করেন। তার সহকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সোহানুর রহমান সোহান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডেরও সদস্য ছিলেন শিবলী সাদিক৷

পরিচালক খসরু নোমান তার কনিষ্ঠ ভাই।

 

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নামশিবলি সাদিক
জন্ম তারিখজানুয়ারি ৯, ১৯৪১
মৃত্যু তারিখজানুয়ারি ৭, ২০১০