আশিক চৌধুরী

চলচ্চিত্র অভিনেতা আশিক চৌধুরী চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন দুটি মনের পাগলামী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। প্রথম চলচ্চিত্রের সফলতা তাকে আরও চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ এনে দেয়। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আশিক চৌধুরী টিভি পর্দায় অভিনয় করেন এবং মডেলিং করেন।

২০০৯ সালে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা পিপলু ভাইয়ের ‘পেপসোডেন্ট টুথ পাউডার’ বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হওয়ার মাধ্যমে আশিকের মিডিয়া ভুবনে অভিষেক ঘটে। তবে এর আগে তিনি ২০০৫ সালে ‘এটিএন তারকাদের তারকা’ ও ২০০৬ সালে এনটিভি আয়োজিত ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’ রিয়েলিটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পড়াশুনার জন্য মাঝে বিরতি টানার কারণে ২০০৯ সাল থেকে তার নিয়মিত কাজ করা শুরু হয়। পেপসোডেন্টের বিজ্ঞাপনচিত্রের পর ওয়াল্টন মোবাইল, প্যারাসুট নারিকেল তেল, শরিফ মেলামাইন ইত্যাদিসহ বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনের কাজ করেন আশিক চৌধুরী।

আশিক ছোটবেলা থেকেই থিয়েটার সার্কেল নামের একটি নাটকের দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। রিয়েলিটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময়টুকু বাদ দিয়ে আমি নিয়মিতই মঞ্চের সাথে নিজেকে জড়িত রেখেছিলেন। পরবর্তীতে ঢাকায় চলে আসার পরে তিনি নাগরিক নাট্যঙ্গনের সাথেও এক বছর কাজ করেন।

আউয়াল রেজা পরিচালিত ‘ভাইরাস’ টেলিফিল্মে অভিনয়ের মাধ্যমে আশিক চৌধুরীর টেলিভিশনের জন্য অভিনয় পর্ব শুরু হয়েছিল। এরপরে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ধারাবাহিক ‘তবুও জীবন’, দীপংকর দিপনের ‘প্রেম একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া’, ফেরদৌস রানার টেলিফিল্ম ‘আনন্দ’, দীপংকর দিপনের ‘কবির জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে’, ইদ্রিস হায়দারের ধারাবাহিক ‘সেকেন্ড ইনিংক্স’, গৌতম কৌরির ‘কাচের ক্যানভাস’, দীপংকর দিপনের ‘ইন্টারোগেশন’, শাহীন সরকারের ধারাবাহিক ‘প্রথম প্রেম’, নাহিদ আহমেদ পিয়ালের ‘কনক’, আরিফ খানের ‘সিক্রেট সার্ভিস’ ইত্যাদি নাটক ও টেলিফিল্ম মিলিয়ে প্রায় ২৮/৩০টির মতো কাজ করেন আশিক।

জুলহাস চৌধুরী পলাশের ‘দুটি মনের পাগলামি’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় আমার নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে। ত্রিভূজ প্রেমের গল্পের সিনেমাটিতে আমার সাথে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন নুপুর। তবে এটা ছিল আশিক অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে ২০১০ সালে শেখ কামালের ‘পাটনি’ সিনেমায় অভিনয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। সেই সিনেমার কাজটি পবরর্তীতে পরিচালক শেষ করতে পারেনি। এছাড়াও ২০০৮ সালে জুনায়েত হালিমের সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত ‘স্বপ্ন ও দুঃপ্নের কাল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য নিবার্চিত হলেও সেই সিনেমাটিও নির্মাণ করা হয়নি।

 

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নাম আশিক চৌধুরী