আফফান মিতুলের ছোটবেলার সবচেয়ে প্রিয় সিনেমা “দীপু নাম্বার টু”। ধানমন্ডির গবর্মেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে পড়াকালীন সময়ে অসংখ্য বার এই সিনেমাটি দেখেছেন মিতুল। আর এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন মোর্শেদুল ইসলাম। ২০০৮ সালে ইন্টারমিডিয়েটে পড়াকালীন আফফান মিতুল সেই মোর্শেদুল ইসলামের হাত ধরেই সিনেমায় পা রাখেন, সিনেমার নাম “বৃষ্টির দিন”। কয়েক দিন সিনেমাটির শুটিং হয়, আফফান মিতুল নিজেও শুটিংয়ে অংশ নেন কিন্তু সিনেমাটির শুটিং মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। এরমধ্যে মিতুল ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে অনার্সে ভর্তি হলেন সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াকালীন মিতুল অভিনয়ের সুযোগ পান সরকারি অনুদানের “হরিজন” সিনেমায়। এই সিনেমায় মিতুল অভিনয় করেছিলেন রোকেয়া প্রাচী ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে “ভুঁইমালী” চরিত্রে। মির্জা সাখাওয়াত হোসেন পরিচালিত “হরিজন” সিনেমার শুটিং চলাকালীন আফফান মিতুল অনার্সে পড়াবস্থায় সরকারি অনুদানের আরো দুইটি সিনেমায় অভিনয় করেন, “কাকতাড়ুয়া” এবং “নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ” এ। অথছ সিনেমাহলে আফফান মিতুল অভিনীত প্রথম সিনেমা “হরিজন” আগে মুক্তি পায়নি, মুক্তি পেয়েছে “নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ” সিনেমাটি। মাসুদ পথিক পরিচালিত “নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ” সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালের ১৩ জুন। সিনেমাটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সহ মোট ৬টি ক্যাটাগরিতে জিতে নেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই সিনেমায় মিতুল অভিনয় করেছিলেন কৃষক “তোরাব আলী”র চরিত্রে। এদিকে আফফান মিতুল অভিনীত প্রথম সিনেমা “হরিজন” মুক্তি পায় ২০১৪ সালের ৭ নভেম্বর।
ব্যক্তিগত তথ্যাবলি
পুরো নাম | আলী আফফান মিতুল |
ডাকনাম | মিতুল |