নাবিলা আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ। নভাগত অভিনেত্রী হিসেবে আশাকরি ও অনেক ভাল করবে। নাবিলার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো এবং হলে গিয়ে এই ফিল্ম টা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আয়নাবাজি নিয়ে দর্শকের যে আগ্রহ আর হলে উপচে পড়া ভীড়, বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আগে এমন দৃশ্য দেখেছি বলে মনে পড়ে না। মূল বাণিজ্যিক ধারার ছবির বাইরে এমন ছবি দর্শক টানতে শতভাগেরও বেশি সফল হয়েছে এটিই আয়নাবাজির সবচেয়ে বড় সাফল্য।
আয়নাবাজির সাফল্য বলতে গেলে দিন পেরিয়ে যাবে। প্রথমে আসি দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি। চমৎকার ক্যামেরার কাজ মন্ত্রমুগ্ধের মতো স্ক্রীণে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করে। ঢাকা শহরের চিত্রায়ণ এতো সুন্দরভাবে করা হয়েছে যে আপনি নতুন নজরে দেখবেন এই জাদুর শহরকে। এরপর আসি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে। এতো সুন্দর সাউন্ডট্র্যাক কবে শুনেছি কোন মুভিতে মনে নেই। আবহ সংগীতের জন্য ইন্দ্রদ্বীপ দাস গুপ্তর প্রশংসা প্রাপ্য। মুভির গানগুলো চমৎকার। ব্যক্তিগতভাবে আমার চিরকুটের ‘পাপ জমাই’ , অর্ণবের ‘এই শহর আমার’ আর ফুয়াদের কম্পোজিং এ এন্ডিং ক্রেডিট হিসেবে ‘লাগ ভেলকি লাগ’ বেশি ভালো লাগছে। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার যেটা লাগছে সেটা হচ্ছে কোন গানেরই খুব বেশিক্ষণ ব্যবহার হয় নি। ঠিক হলিউডি মুভির স্টাইলে কয়েক লাইন করে।
মুভির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে কাস্টিং। চঞ্চল চৌধুরী যা অভিনয় করছে তা বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। স্পযলার হয়ে যাওয়ার ভয়ে বেশি কিছু বললাম না। এমন ক্যারেক্টারে এমন অভিনয়…দুর্দান্ত!! অন্যদিকে সমান পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছে নায়িকা নাবিলা। এত সাবলীল নায়িকা বাংলা মুভিতে বিরল। কোন এক্সট্রা গ্ল্যামার নেই। তবু নায়িকার উপর ক্রাশ খেয়ে গেছি। নাবিলার ক্যারেক্টারের পেছনে অবশ্য আরো ডিপ কাহিনী আশা করেছিলাম। তবে মুভি যেভাবে এগিয়েছে এরপর আর সেটা মাথায় থাকে নি। পার্থদা’র অভিনয় দেখে মনে হইছে এই লোক গান না গাইয়া আরো আগে থেকেই অভিনয়ে আসল না কেন? পিচ্চিটার সামান্য রোল থাকলেও মজা পাইছ বেশ। দুটো অতিথি ক্যারেক্টার আছে। সারপ্রাইজ নষ্ট করলাম না। গাউসুল আলম শাওন এর অভিনয় ভালো এবং মজার ছিলো। জেনে অবাক হইছি উনিই গল্পকার এবং চিত্রনাট্যও তার লেখা। সবচেয়ে বড় স্যালুট টা মনে হয় উনারই প্রাপ্য। সবশেষে বলব পরিচালক অমিতাভ রেজার কথা। কতটুকু শ্রম আর ত্যাগ-তিতীক্ষা দিয়ে এমন একটা মুভি বানানো সম্ভব তা হয়তো উনি বাদে কারোই বোঝার কথা নয়। শুধু বলবো আপনাকে অভিবাদন……আয়নাবাজির যে ভেলকি মানুষ দেখলো তা মোহাচ্ছন্ন করে রাখবে অনেকদিন। বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে আপনি সফল হয়েছেন এক অনন্য মাইলফলক স্থাপনে।
এই মুভি নিয়ে শেষ একটাই কথা। জাতীয় পুরস্কারে এবার সব ক্যাটাগরিতে ‘আয়নাবাজি’র চমক দেখার আশা করি। সবাইকে অনুরোধ করছি হলে যেয়ে দেখতে।
প্রসঙ্গ – আয়নাবাজি (Aynabaji – The Movie)
আমি ব্যাক্তিগতভাবে আমার নিজের এক্সপেকটেশন অনেক উঁচুতে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওই তুলনায় হতাশ হইনি। বাংলাদেশের সিনেমাতে আর যাই থাকুক, ভাল গল্প থাকে না। এ সিনেমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। আয়নাবাজির গল্প চমৎকার। পরিচালক অমিতাভ রেজা আর সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামান তাদের কাজের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন দারুণ ভাবে। আর চঞ্চল চৌধুরী… “অসাধারণ, অপূর্ব”… পুরো সিনেমাতে শক্তিশালী অভিনয় দিয়ে সম্পূর্ন আলো টেনে রেখেছেন নিজের দিকে। স্ক্রিনপ্লেও চমৎকার! সমসাময়িক অনেক ইস্যু সিনেমাতে দারুণভাবে উপস্থিত। ক্রাইম থ্রিলার এর মাঝে কৌতুকও ছিল পরিমাণমত, কোন রকম ভাঁড়ামি চোখে পরবে না।
তবু… অনেক উন্নতি করার জায়গা আছে (সিনেমার খুঁটিনাটি ৩-৪ মাস পর আলোচনা করা যাবে। নয়তো spoiler দেয়ার দোষে না আবার আমাকেই শারাফাত করিম আয়না’র খোঁজ করতে হয় 😛 )। বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এখনো পুরো তৈরি নয়। পরিচালক, গল্পকার, স্ক্রিপ্ট রাইটার বা সিনেমাটোগ্রাফার ভাল হলেই হবে না, পুরো টিমটা শক্তিশালী হতে হবে। খুঁটিনাটি কাজের মানুষদের আরো যত্নশীল হলেই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এগোবে আর তখনই ভাল ভাল সিনেমা এদেশের মানুষের বিনোদনের পুরো ভারটা নিতে পারবে। সুদিনের প্রত্যাশায়… 🙂
কন্টেন্ট ম্যাটারস ও হাফ স্টপ ডাউন-এর সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন এরকম ভাল একটা কাজের জন্য। আগামীতে এরকম আরো এবং উন্নত অনেক কাজ আশা করছি। অমিতাভ রেজা থেকে আরো অন্ততঃ ২৬টা চলচ্চিত্র চাই। সেটা কারাগারের ভিতর বা বাইরে, যেখান থেকেই হোক 😛
আয়নাবাজি টিম কে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ছবি দেয়ার জন্য । আমাদের এখান কার হলটা বছরের বেশির ভাগ সময়েই দর্শক শুণ্য থাকে আর আয়নাবাজি দর্শকের ভিড়ের জন্য হলে ঢুকতে অনেক সময় লাগছে ।বের হতে আরো বেশি সময় লাগছে । ১দিনের ব্যবধানে দুবার দেখলাম ছবিটা । যা আমার কয়েক বছরের ছবি দেখার অভিজ্ঞতায় ১ম । আগামী বৃহঃবার আবার যাব ।
নাবিলা আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ। নভাগত অভিনেত্রী হিসেবে আশাকরি ও অনেক ভাল করবে। নাবিলার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো এবং হলে গিয়ে এই ফিল্ম টা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ট্রেইলর অসাধারান। স্ক্রিনপ্লে, এডিট সব কিছুই বেশ হয়েছে। ক্যামেরার শট সিলেকশন পারফেক্ট। এবং চঞ্চল চৌধুরীর লুক। আশা করছি অনেক ভালো হবে।
অতিরঞ্জন হয়েছে এই ছবি নিয়ে। আহামরি কোনো ছবি নয় মোটেও।
এক কথায় অসাধারন একটা মুভি হয়েছে 😀
আয়নাবাজি নিয়ে দর্শকের যে আগ্রহ আর হলে উপচে পড়া ভীড়, বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আগে এমন দৃশ্য দেখেছি বলে মনে পড়ে না। মূল বাণিজ্যিক ধারার ছবির বাইরে এমন ছবি দর্শক টানতে শতভাগেরও বেশি সফল হয়েছে এটিই আয়নাবাজির সবচেয়ে বড় সাফল্য।
আয়নাবাজির সাফল্য বলতে গেলে দিন পেরিয়ে যাবে। প্রথমে আসি দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি। চমৎকার ক্যামেরার কাজ মন্ত্রমুগ্ধের মতো স্ক্রীণে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করে। ঢাকা শহরের চিত্রায়ণ এতো সুন্দরভাবে করা হয়েছে যে আপনি নতুন নজরে দেখবেন এই জাদুর শহরকে। এরপর আসি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে। এতো সুন্দর সাউন্ডট্র্যাক কবে শুনেছি কোন মুভিতে মনে নেই। আবহ সংগীতের জন্য ইন্দ্রদ্বীপ দাস গুপ্তর প্রশংসা প্রাপ্য। মুভির গানগুলো চমৎকার। ব্যক্তিগতভাবে আমার চিরকুটের ‘পাপ জমাই’ , অর্ণবের ‘এই শহর আমার’ আর ফুয়াদের কম্পোজিং এ এন্ডিং ক্রেডিট হিসেবে ‘লাগ ভেলকি লাগ’ বেশি ভালো লাগছে। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার যেটা লাগছে সেটা হচ্ছে কোন গানেরই খুব বেশিক্ষণ ব্যবহার হয় নি। ঠিক হলিউডি মুভির স্টাইলে কয়েক লাইন করে।
মুভির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে কাস্টিং। চঞ্চল চৌধুরী যা অভিনয় করছে তা বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। স্পযলার হয়ে যাওয়ার ভয়ে বেশি কিছু বললাম না। এমন ক্যারেক্টারে এমন অভিনয়…দুর্দান্ত!! অন্যদিকে সমান পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছে নায়িকা নাবিলা। এত সাবলীল নায়িকা বাংলা মুভিতে বিরল। কোন এক্সট্রা গ্ল্যামার নেই। তবু নায়িকার উপর ক্রাশ খেয়ে গেছি। নাবিলার ক্যারেক্টারের পেছনে অবশ্য আরো ডিপ কাহিনী আশা করেছিলাম। তবে মুভি যেভাবে এগিয়েছে এরপর আর সেটা মাথায় থাকে নি। পার্থদা’র অভিনয় দেখে মনে হইছে এই লোক গান না গাইয়া আরো আগে থেকেই অভিনয়ে আসল না কেন? পিচ্চিটার সামান্য রোল থাকলেও মজা পাইছ বেশ। দুটো অতিথি ক্যারেক্টার আছে। সারপ্রাইজ নষ্ট করলাম না। গাউসুল আলম শাওন এর অভিনয় ভালো এবং মজার ছিলো। জেনে অবাক হইছি উনিই গল্পকার এবং চিত্রনাট্যও তার লেখা। সবচেয়ে বড় স্যালুট টা মনে হয় উনারই প্রাপ্য। সবশেষে বলব পরিচালক অমিতাভ রেজার কথা। কতটুকু শ্রম আর ত্যাগ-তিতীক্ষা দিয়ে এমন একটা মুভি বানানো সম্ভব তা হয়তো উনি বাদে কারোই বোঝার কথা নয়। শুধু বলবো আপনাকে অভিবাদন……আয়নাবাজির যে ভেলকি মানুষ দেখলো তা মোহাচ্ছন্ন করে রাখবে অনেকদিন। বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে আপনি সফল হয়েছেন এক অনন্য মাইলফলক স্থাপনে।
এই মুভি নিয়ে শেষ একটাই কথা। জাতীয় পুরস্কারে এবার সব ক্যাটাগরিতে ‘আয়নাবাজি’র চমক দেখার আশা করি। সবাইকে অনুরোধ করছি হলে যেয়ে দেখতে।
আমার ব্যক্তিগত রেটিং – ১০/১০ 🙂
আমার দেখা বাংলা সিনেমার মধ্যে এটা অসাধারন একটা সিনেমা !! এটা বাংলাদেশের জন্য একটা অর্জন । এই মানের আরো সিনেমা আশা করি।
প্রসঙ্গ – আয়নাবাজি (Aynabaji – The Movie)
আমি ব্যাক্তিগতভাবে আমার নিজের এক্সপেকটেশন অনেক উঁচুতে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওই তুলনায় হতাশ হইনি। বাংলাদেশের সিনেমাতে আর যাই থাকুক, ভাল গল্প থাকে না। এ সিনেমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। আয়নাবাজির গল্প চমৎকার। পরিচালক অমিতাভ রেজা আর সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামান তাদের কাজের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন দারুণ ভাবে। আর চঞ্চল চৌধুরী… “অসাধারণ, অপূর্ব”… পুরো সিনেমাতে শক্তিশালী অভিনয় দিয়ে সম্পূর্ন আলো টেনে রেখেছেন নিজের দিকে। স্ক্রিনপ্লেও চমৎকার! সমসাময়িক অনেক ইস্যু সিনেমাতে দারুণভাবে উপস্থিত। ক্রাইম থ্রিলার এর মাঝে কৌতুকও ছিল পরিমাণমত, কোন রকম ভাঁড়ামি চোখে পরবে না।
তবু… অনেক উন্নতি করার জায়গা আছে (সিনেমার খুঁটিনাটি ৩-৪ মাস পর আলোচনা করা যাবে। নয়তো spoiler দেয়ার দোষে না আবার আমাকেই শারাফাত করিম আয়না’র খোঁজ করতে হয় 😛 )। বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এখনো পুরো তৈরি নয়। পরিচালক, গল্পকার, স্ক্রিপ্ট রাইটার বা সিনেমাটোগ্রাফার ভাল হলেই হবে না, পুরো টিমটা শক্তিশালী হতে হবে। খুঁটিনাটি কাজের মানুষদের আরো যত্নশীল হলেই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এগোবে আর তখনই ভাল ভাল সিনেমা এদেশের মানুষের বিনোদনের পুরো ভারটা নিতে পারবে। সুদিনের প্রত্যাশায়… 🙂
কন্টেন্ট ম্যাটারস ও হাফ স্টপ ডাউন-এর সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন এরকম ভাল একটা কাজের জন্য। আগামীতে এরকম আরো এবং উন্নত অনেক কাজ আশা করছি। অমিতাভ রেজা থেকে আরো অন্ততঃ ২৬টা চলচ্চিত্র চাই। সেটা কারাগারের ভিতর বা বাইরে, যেখান থেকেই হোক 😛
আয়নাবাজি টিম কে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ছবি দেয়ার জন্য । আমাদের এখান কার হলটা বছরের বেশির ভাগ সময়েই দর্শক শুণ্য থাকে আর আয়নাবাজি দর্শকের ভিড়ের জন্য হলে ঢুকতে অনেক সময় লাগছে ।বের হতে আরো বেশি সময় লাগছে । ১দিনের ব্যবধানে দুবার দেখলাম ছবিটা । যা আমার কয়েক বছরের ছবি দেখার অভিজ্ঞতায় ১ম । আগামী বৃহঃবার আবার যাব ।
valoi
অনলি আয়নাবাজি ইজ রিয়েল!!!
আশা করছি অনেক ভালো হবে।